ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন বিটকয়েন) একটি ডিসিঞ্চার্জ হোয়ার সবদার্শনীয় প্রযুক্তি স্থায়ীভাবে অভিনিত করে না, এটি বৃদ্ধি এবং ক্রিপ্টো বিপদের মধ্যে আছে এবং মূলত বিনিয়োগের একটি উচ্চ ঝুঁকি সাম্প্রতিক বিপদ ছাড়াই থাকতে পারে। এটি অনিয়মিত স্থিতি বা বৃদ্ধির পরিবর্তনের অনুমতি দেয় যেখানে বিনিয়োগের মুনাফা সম্পর্কে কোনও নিশ্চিততা নেই। আপনি বিনিয়োগ করার পূর্বে আপনি কেবল বিশেষজ্ঞ বা পেশাদার বিত্ত পরামর্শকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যারা আপনার ব্যক্তিগত অর্থনীতি ও বৃত্তান্ত মৌলিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি। একে ভার্চুয়াল কারেন্সিও বলা যেতে পারে।
অর্থাৎ মানুষের কাছে যেমন খুচরো পয়সা বা নোট থাকে। সেই ধরণের কোন টাকা এই ক্রিপ্টোকারেন্সি নয়। এটা ভার্চুয়াল কারেন্সি। অর্থাৎ ফিজিক্যালি এর অস্তিত্ব নেই কারো কাছে। ক্রিপ্টো ও কারেন্সি এই দুটি শব্দের মিশ্রনে তৈরি হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি।
ক্রিপ্টো-র অর্থ হল লুকানো বা গোপন। আর কারেন্সির অর্থ হল টাকা বা মুদ্রা। অর্থাৎ লুকানো বা গোপন টাকা বা মুদ্রা হল এই ক্রিপ্টোকারেন্সি। প্রকৃতপক্ষে এই ভার্চুয়াল কারেন্সি কে ক্রিপ্টোগ্রাফি এর মাধ্যমে সিকিউর করে রাখা হয়ে থাকে। এবং যে কেউ নির্দিষ্ট ওয়ালেটে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে সঞ্চয় করে রাখতে পারে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কে অনেক উলামায়ে কেরাম হারাম বলেছেন আবার অনেকে হালালও বলেছেন। কিন্তু এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো:- ইসলাম শুধু সোনা ও রূপাকেই মুদ্রা হিসেবে নির্ধারণ করেছে।
আর টাকা বা অন্য যেকোনো কারেন্সিকে মুদ্রা ধরা হচ্ছে কারণ, টাকা বা অন্য যেকোনো কারেন্সির বিপরীতে কিছু এসেট জমা থাকে। সেটা হতে পারে সোনা কিংবা রুপা অথবা ডলার। ডলার থাকলেও সমস্যা নেই। কেননা ডলারের এসেট হিসেবে সর্বদা সোনাকে ব্যবহার করা হয়।
তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন। কারণ ক্রিপ্টো কয়েন এর বিপরীতে কোন এসেট থাকে না। যদিও এটা বলা হয়ে থাকে ক্রিপ্টোতে এসেট হিসাবে বিটকয়েন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিটকয়েন ও একটা ডিজিটাল মুদ্রা আর এটা কোনো দেশের সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় না। তাই বিটকয়েনের বিপরীতে কোন এসেট আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
তাছাড়া ক্রিপ্টোতে কোন কয়েনই স্টেবল না। সুতরাং এটাতে ঝুঁকির পরিমানটা অতিরিক্ত। এইতো গত এক বছরে বিটকয়েনের দাম 70 হাজার ডলার পর্যন্ত চলে গিয়েছিল আবার এটা 20 হাজার ডলারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ একটা বিটকয়েন থেকে অনেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করেছে আবার কেউ সবকিছু হারিয়ে পথে বসেছে।
তাছাড়া সবগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সি মোটামুটি এইরকম হঠাৎ করে দাম অনেক বেশি বেড়ে যায় আবার হঠাৎ করে অনেক বেশি কমে যায়। এগুলার টাকা বা ডলারের মত না, একদমই না। ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলার দাম স্টেবল হয়না। সুতরাং একটু ভালো করে তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে, এগুলা মোটামুটি জুয়া খেলার মতো। অনেক বেশি ঝুঁকি নিয়ে এই কারেন্সিগুলো কেনাবেচা করতে হয়।
পক্ষান্তরে হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهُ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ” الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَدْرِي كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَمِنَ الْحَلاَلِ هِيَ أَمْ مِنَ الْحَرَامِ فَمَنْ تَرَكَهَا اسْتِبْرَاءً لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَمَنْ وَاقَعَ شَيْئًا مِنْهَا يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَ الْحَرَامَ كَمَا أَنَّهُ مَنْ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ ” . حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ .
নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ হালালও সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট এবং এ দুটির মাঝে অনেক সন্দেহজনক বিষয় আছে। তা হালাল হবে না হারাম হবে সেটা অনেকেই জানে না। যে লোক এই সন্দেহজনক বিষয়গুলো নিজের দ্বীন এবং মান-ইজ্জাতের হিফাযাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবে সে নিরাপদ হল। যে লোক এর কিছুতে লিপ্ত হল তার হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ারও সংশয় থেকে গেল। (উদাহরণস্বরূপ) নিষিদ্ধ এলাকার আশেপাশে যে লোক পশু চড়ায়, তার এতে প্রবেশের ভয় আছে। জেনে রাখ! প্রতিটি সরকারেরই কিছু সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহ্ তা’আলার সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারাম করা বিষয়গুলো’।
– (সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৮৪),বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি ১২০৫)
তাছাড়া সরকারীভাবে এর লেনদেন আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। শরীয়তের মাসয়ালা হলো, বৈধ বিষয়ে রাষ্ট্রের আনুগত্য করা ওয়াজিব। এর জন্য রাষ্ট্র ইসলামী হওয়া জরুরী নয়। এছাড়া দেশের প্রতিটি নাগরিকই বক্তব্য বা কর্মে একথার স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, সে বৈধ বিষয়ে সরকারের আইন মানবে। এ হিসাবেও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ইনভেস্ট করার কোন সুযোগ নেই।