চুলের খুশকি দূর করুন প্রাকৃতিক উপায়ে:
চুলের খুশকি দূর করার জন্য কত কিছু করে থাকেন, ব্যাবহার করে থাকেন অনেক ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী। তারপরও চুলের খুশকি দূর হচ্ছেনা?তাহলে চলুন যেনে নেই প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে খুশকি দূর করা যায়।
১. অ্যাসপিরিনঃ
অ্যাসপিরিনে একধরণের উপাদান যাতে স্যালিলিক অ্যাসিড থেকে। স্যালিলিক অ্যাসিড একটি সক্রিয় উপাদান যা খুশকির থেকে নিস্তার দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ২-৩ টি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট নিয়ে, গুঁড়ো করে নিন। এবার এই গুঁড়ো আপনার শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে নিন। মাথায় ভাল করে শ্যাম্পু মেখে ২-৩ মিনিট রাখুন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, শ্যাম্পু করার সময় প্রতিবারই অ্যাসপিরিন ব্যবহার করবেন, কারণ এটি খুশকিকে আর বারতে দেয়না।
২. অ্যাপেল সীডার ভিনিগারঃ
খুশকিকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে অ্যাপেল সীডার ভিনিগার খুব ভাল একটি উপাদান। এটি খুশকি নিরাময়ে সাহায্য করে এবং স্কাল্পের পি.এইচ. লেভেল বজায় রাখে। আপনাকে ১ কাপ অ্যাপেল সীডার ভিনিগারের সাথে ১ কাপ জল মেশাতে হবে। এই মিশ্রণটিকে একটি স্প্রে বোতলে ভরে, চুলের মধ্যে স্প্রে করুন। এবার একটি গরম ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল ভাল করে মুড়ে নিয়ে, এইভাবেই কিছু সময়ের জন্য রেখে দিন। ১০ মিনিট পরে জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকির থেকে সম্পূর্ণরূপে নিস্তার পেতে এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে দুইবার অনুসরণ করুন।
৩. মাউথওয়াশঃ
যারা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সাথে যুযছেন, মাউথওয়াশ তাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। মাউথওয়াশের আরেকটি ব্যবহারও রয়েছে, এটিকে সাংঘাতিক খুশকির সমস্যা উপশমেও ব্যবহার করা যেতে পারে। সামান্য পরিমান অ্যালকোহল ভিত্তিক মাউথওয়াশ নিয়ে তা স্ক্যাল্পে লাগান। নরম ও রেশমী চুল পেতে নিয়মিত কনডিশনার ব্যবহারের সাথে সাথে এটি লাগান। মাউথওয়াসে, যথেষ্ট পরিমানে অ্যালকোহল থাকে ফলে তা খুশকি নির্মুল করতে সাহায্য করে।
৪. চা গাছের তেলঃ
চা গাছের তেলে, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহ দূরকারী বৈশিষ্ঠ রয়েছে যা খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে। আপনার শাম্পুতে অল্প পরিমান চা গাছের তেল মিশিয়ে নিন ও পরে তা আপনার স্কাল্পে লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনি চা গাছের তেল বা টি ট্রি ওয়েল ওষুধের দোকানে খুঁজে না পান তবে টি ট্রি ওয়েল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৫. ওলিভ ওয়েলঃ
চুল ধোয়ার ৫-১০ মিনিট আগে অলিভ ওয়েল দিয়ে মাসাজ করুন। তারপর গরম ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল মুড়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন। স্কাল্পে তেল শুষতে দিন তারপরে হাল্কা গরম জলে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৬. নারকেল তেলঃ
খুশকি দূর করতে সব থেকে সেরা নারকেল তেল। নারকেল তেল খুশকিও দূর করে আর এটি খুবই সুগন্ধি। নারকেল তেল সামান্য গরম করে, চুল ধোয়ার ৪-৫ ঘন্টা আগেই চুলে মাসাজ করুন। তেল শুষে নিতে দিন, এরপরে হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
৭. লবনঃ
লবন একটি বহুমূখী উপকরণ যা স্কাল্প থেকে শুষ্ক খুশকি ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। সামান্য পরিমানে লবন নিয়ে আপনার শুষ্ক স্কাল্পে মাখিয়ে দিন। এরপর হাল্কা হাতে সেই লবন দিয়েই স্কাল্প মাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পরে হাল্কা গরম জল ও মৃদু কোন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৮. রসুনঃ
ভীষণ খুশকি উপশমে রসুন খুবই কার্যকরী যেহেতু এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রসুনের কয়েকটি কোয়া ভাল করে থেঁতো করে নিন। এবার এটিকে স্কাল্পে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। প্রয়োজন হলে, খুশকি দূর করতে এর সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। রসুন ও মধুর মিশ্রণও খুশকির থেকে নিস্তার পেতে সাহায্য করে।
৯. লেবুর রস ও দইঃ
একটি পাত্রে দই ও সামান্য লেবুর রস নিন। ভালভাবে মিশিয়ে, স্কাল্পে লাগান। মিশ্রণটাকে লেবুর খোসা দিয়েই স্কাল্পে লাগান ও অল্পকরে ঘষতে থাকুন। স্কাল্পে দই লাগানোর পর কিছুক্ষণ ধরে মাসাজ করুন যতোক্ষণ না লেবুর রস ভালকরে শুষে যায়। এরপরে, হাল্কা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর করতে এই প্রক্রিয়াটি নিয়মিত ব্যবহার করুন।
১০. সীডার উড ওয়েলঃ
১০ ফোঁটা যে কোন চুলের তেলের সাথে, ৭ ফোঁটা সীডার উড অয়েল নিন। তেলের এই মিশ্রণটি স্কাল্পে ভালকরে মাসাজ করে, হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুশকি দূর করতে এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
3 Comments
Pingback: ঘরোয়া উপায়ে পাকা Hair চুল কালো করুন - BestIncomeidea.com
Pingback: খুশকি মুক্ত ঝলমলে চুল Hair শীতের - BestIncomeidea.com
Pingback: ছেলেদের চুলের Hairstyles যত্নে করণীয় - BestIncomeidea.com