একজন বিসিএস (BCS) দিয়ে ফরেন ক্যাডার হলো । সে ভাবতেছে, “সে সবার থেকে ভালো করেছে।” অথচ আরেক জন engineering পাশ করলো। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো বিসিএস দিবে কিনা? সে উড়িয়ে দিল , বললো, “বিসিএসই যদি দিতে হয় এতো কষ্ট করে Engineering পড়লাম কেন?” তার কাছে বিসিএস এর মূল্যই নেই !
অথচ কিছুদিন আগে আমার পরিচিত একজন সরকারী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হলো, কদিন বাদে চাকুরী ছেরে দিল এবং একটা প্রাইভেট জব শুরু করলো তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বললেন, ব্যাংকের চাকুরি ইসলামের দৃষ্টিতে সরাসরি হারাম বলা হয়েছে তাই তিনি হালাল পথে জীবনযাপন এর জন্য প্রাইভেট জব বেছে নিয়েছেন।

আরেক জন জজ হয়েছেন। সে ভাবছে, “আমিই পৃথিবীর সেরা জব হোল্ডার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও যদি মামলা হয়, তবে আমার কোর্টে আমাকে স্যার বলতে হবে” । একজন জজ হলো। জয়েন করার কিছুদিন পরই চাকুরি ছেড়ে দিলেন। তারপর তিনি টিচার হলেন। তিনি ভেবেছেন নিজে জজ হওয়ার থেকে জজ বানানোটা বেশি সম্মানের। বর্তমানে তিনি জজ নিয়োগের ভাইবাবোর্ডে থাকেন।
আবার আরেকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, ডিপার্টমেন্ট ফাস্ট হয়েও সে এখন ব্যবসায়ী। সে ভাবছে, “চাকুরিজীবীরা হচ্ছে চাকর। এ জাতীয় পেশায় স্বাধীনতা নেই ।অপরদিকে আমার পেশায় চাইলেই ছুটি কাটানো সম্ভব। সেই দিক দিয়ে আমার পেশাই সেরা। দেশের অর্থনীতিতে আমাদের অবদানই বেশি। আমাদের কাউকে স্যার বলতে হয়না। তাছাড়া ব্যবয়ায়ীদের সন্তানেরা যতটা স্বাচ্ছন্দ্য পায়,অন্য প্রফেশনালিস্টরা তা চিন্তাও করতে পারেনা।তাই আমাদের প্রফেশনই সেরা।”
সবশেষে আসলে সেরা কে?

কয়েক বছর আগে একদিন আমার প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,” স্যার, ক্যাডারদের মধ্যে কোন ক্যাডার হওয়াটা বেশি সম্মানের?” স্যার বললেন,” সম্মান যে কার বেশি এটা বলা খুব মুশকিল। পদমর্যাদার দিকে একজন সচিব একজন ডাক্তারের থেকে উপরে। আবার ঐ সচিবের ছেলেটা যখন ইন্টার পাশ করে তখন সচিবও চায় তার ছেলে যেন ডাক্তারিতে চান্স পায়।”
আসল কথা হচ্ছে, এক পেশার সাথে অন্য পেশার কখনও তুলনা করতে নেই। পৃথিবীতে প্রত্যেকটা সৎ পেশা সম্মানের।
যাদের মূলত দৃষ্টিভঙ্গির অভাব রয়েছে তারাই তুলনা করে। তারাই বিতর্ক করে, “আপেল ভালো, নাকি কমলা? সাগর, নাকি পাহাড়?
গাড়িতে চড়া উচ্চ মানের, না প্লেনে-ইত্যাদি”।
– অনলাইন থেকে সংগৃহীত
Share the post "বিসিএস (BCS) দিয়ে ফরেন ক্যাডার"