যতই দিন যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তি। সব কিছুই হয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল। অনলাইনে মানুষের অ্যাক্টিভিটি যত বেড়ে যাচ্ছে
(Digital Marketing) ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদাও ততোটাই বেড়ে যাচ্ছে।
আজকের এই ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব কিনা। যদি আয় করা যায় তাহলে কিভাবে মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং আয় করতে পারবেন।
ক্যাড়িয়ার গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে এটি আপনার জন্য একটি ভাল সিদ্ধান্ত হতে পারে। কেননা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বর্তমানে ইন্টারনেট এর ব্যবহার এতোটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইন্টারনেট ছাড়া লোকেরা চিন্তাও করতে পারেনা। ইন্টারনেটের প্রভাবে বর্তমানে লোকেরা তাদের মূল্যবান সময় গুলো ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কাটিয়ে দেয়।
সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, লাইভ টিভি দেখা, অনলাইনে শপিং সহ নানা কাজে লোকেরা তাদের মূল্যবান সময় ব্যায় করছে।
মূলত এই কারণে বর্তমানে যে কোন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, পরিসেবা অথবা প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে অফলাইন বা Physical মার্কেটিং এর চেয়ে Digital Marketing বা অনলাইন মার্কেটিং এর চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে। একই সাথে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে অনলাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিং।
মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং আয় 2023
যেহেতু, সবাই কমবেশি অনলাইনে বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে দেয়। তাই, বিভিন্ন কোম্পানি গুলো তাদের কোম্পানির প্রচার প্রচারণা অনলাইনে করে যাচ্ছে।
এছাড়া এখন প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলো অনলাইনের মাধ্যমেই প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা অফলাইনের থেকে বর্তমানে অনলাইনে বিক্রয় করা সহজ হয়ে গিয়েছে।
আর তাছাড়া, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে কম খরচেই টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে সরাসরি পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারণা করা সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে চলুন মার্কেটিং বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করে দেখি।
মার্কেটিং বা প্রচারণা একটি পন্থা। যার মাধ্যমে সাধারণত লোকেদের কাছে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা পরিসেবাগুলো সম্পর্কে প্রচার করা হয়। অনলাইনে এরকম প্রচার প্রচারণাকে করাকেই বলা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং বা অনলাইন মার্কেটিং।
আরও সহজ করে বলতে গেলে, Digital Marketing হলো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন একটি ওয়েবসাইট, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করাকে বোঝায়।
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন তাহলে এই সেক্টরে প্রচুর কাজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এবং আপনি মোবাইলের মাধ্যমেও ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন এবং ঘরে বসেই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো শিখবেন?
আগেই বলেছি ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবং ক্যাড়িয়ার গড়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা টা খুব ভাল একটি অপশন হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা খুবই সহজ। এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি লোকাল ক্লায়েন্ট এর কাজ ও করতে পারবেন।
বরাবরের মতোই কাজ শেখার আগে এমন কাজ শেখা উচিৎ যে কাজের চাহিদা বর্তমান ও ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বর্তমানে ও ভবিষ্যতে ব্যাপক হারে বাড়বে।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব কিনা?
ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া ( Social Media), সার্চ ইঞ্জিন ( Search Engine), ইউটিউব (YouTube), ও ইমেইল ( E-mail) এর ব্যবহার করতে হয়।
কেননা এই প্ল্যাটফর্ম গুলো লোকেরা অনেক বেশি ব্যবহার করে। আর এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যাবহার করে ইচ্ছেমতো প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করা সম্ভব। আর মার্কেটিং এর ফলে অল্প সময়ে লোকেদের কাছে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানো সম্ভব হয়। যার ফলে লোকেরা আগ্রহী হয়ে চাহিদা মতো প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হন।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্ভব কিনা বা কতটা সম্ভব তা জানার আগে আপনাকে আগে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কি কি কাজ রয়েছে। চলুন আগে জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি কাজ রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( Social Media Marketing )
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোন সেবা বা পণ্যের মার্কেটিং করাকেই মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে নিজেদের মার্কেটিং পরিচালনা করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কয়েকভাগে বিভক্ত যেমন, ফেসবুক মার্কেটিং (Facebook Marketing), ইউটিউব মার্কেটিং (YouTube Marketing), ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং (Instagram Marketing)
ফেসবুক মার্কেটিং ( Facebook Marketing)
বর্তমানে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মার্কেটিং করার প্রক্রিয়াটি খুবই জনপ্রিয়। এবং প্রতিনিয়ত এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে।
মূলত ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করাকেই ফেসবুক মার্কেটিং ( Facebook Marketing) বলা হচ্ছে।
ফেসবুক মার্কেটিং করে নির্দিষ্ট এলাকা বা শহড় জুড়ে মার্কেটিং করা যায়।
ইউটিউব মার্কেটিং ( YouTube Marketing)
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউটিউব সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আজকাল ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির প্রচার করা হয়ে থাকে। ইউটিউব sponsorship কিংবা advertisement এর মাধ্যমে ভিডিওর মাধ্যমে অনলাইনে মার্কেটিং করা হয়। একে মূলত বলা হয় ইউটিউব মার্কেটিং।
ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং ( Instagram Marketing)
ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে মার্কেটিং করাকে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং বলা হচ্ছে।
ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলছে। একই সাথে বাড়ছে এর ব্যাবহারকারি সংখ্যা।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing)
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি এবং প্রতিদিন বেড়েই চলছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর উপর কনটেন্ট লিখে কাস্টমার খুজে বের করা সত্ত্যি খুব দারুন একটি বিষয়।
অ্যাফিলিয়েট একটি স্মার্ট মার্কেটিং পন্থা।
ইমেইল মার্কেটিং ( Email Marketing)
ইমেইল এর মাধ্যমে মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি। কেননা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সবথেকে কম খরছে বেশি প্রমোশন করা সম্ভব।
একই সাথে ইমেইল মার্কেটিং করে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা অথবা সরাসরি যে কোন পণ্যের মার্কেটিং করা সম্ভব।
কিভাবে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?
উপরের লেখাগুলো মনযোগ সহকারে পড়লে আপনি খুব ভালভাবেই বুঝতে পারবেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে। এবং সবগুলো কাজ মোবাইলের মাধম্যে করা সম্ভব হবে না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল কাজ আপনি মোবাইল ফিয়ে করতে না পারলেও কিছু সংখ্যক কাজ আপনি মোবাইল এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে যেমন, ফেসবুক মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর কাজ গুলো আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন। কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, বা ইমেইল মার্কেটিং এর মতো কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করতে চাইলে তেমন একটা সুবিধা পাবেন না।
যেমন, আপনি যদি ইমেইল মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনি সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন।
কিন্তু ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনি কোন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন না। আর সফটওয়্যার গুলো বিশেষ করে ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য যেগুলো ব্যাবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অনেক বড় একটা রোল প্লে করে থাকে।
আশা করি আপনি এ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছেন যে, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কিছু কাজ করা সম্ভব।
তবে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে আপনি মোবাইল দিয়েই শিখতে পারেন। মনে রাখবেন, ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই লাভজনক। কেননা বর্তমানে সব জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে কিন্তুবেই কাজের সাথে জড়িত লোকের সংখ্যা তেমন বেশি নেই।
আর ক্যারিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিতে চাইলে কেবল মোবাইল দিয়ে নয়, আপনার একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ অবশ্যই থাকা লাগবে।
আশা করি এই ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে মোবাইলের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে সম্পুর্ন একটা ধারণা দিতে পেরেছি। এবং এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন কিভাবে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।
আমাদের এই ব্লগে আমরা প্রতিনিয়ত অনলাইন থেকে আয় সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস ও ট্রিক্স সম্পর্কে আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি। অনলাওইন ইনকাম, টেকনোলজি সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য সবার আগে জানতে আমাদের ব্লগটি আপনার বুকমার্কে সেভ করে রাখতে পারেন ।