হোস্টিং মূলত অনলাইনে তথ্য আপলোড করার সার্ভার। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মালিক যত মেগাবাইট বা গিগাবাইট ওয়েব হোস্টিং কিনবেন তিনি ততটুক তথ্যই আপলোড করতে পারবেন। অনেকটা এ রকম—একজন ব্যবসায়ী যত বড় গোডাউন ভাড়া নিচ্ছেন, ততটুকুই মাল রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। ব্যক্তিগত আর ছোট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৫ গিগাবাইট হোস্টিংই যথেষ্ট। যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে একটু বেশি ছবি আপলোড করতে হবে সেগুলোর ক্ষেত্রে হোস্টিং ৫ গিগাবাইট থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী নেওয়াটাই ভালো। অনেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওয়েব হোস্টিং নিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজনের বেশি ওয়েব হোস্টিং নিলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় না; অতিরিক্ত কিছু টাকাই শুধু নষ্ট হয়। ১ গিগাবাইটের ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ওয়েব হোস্টিং পাওয়া যায়।
হোস্টিং কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। যেসব ওয়েবসাইটে একই সময়ে কয়েক হাজার ব্যবহারকারী থাকে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড সার্ভার কিনতে হয়। এ ধরনের একটি সার্ভারের পেছনে প্রতি মাসে দেড় শ থেকে হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
যেসব ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারী কম, তাদের শেয়ারড সার্ভার হলেই চলে। ডোমেইন ও হোস্টিং স্পেস কেনার আগে অবশ্যই সে প্রতিষ্ঠানের সেবার মান যাচাই করে নেওয়া উচিত। ওই প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিক্রয়োত্তর সেবা দেবে কি না সেটিও যাচাই করে নিতে হবে। বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য ব্যবহারকারীকে অতিরিক্ত কোনো টাকা পরিশোধ করতে হবে কি না বা হলেও তার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে নিতে হবে।
shebahost.com
ওয়েবসাইটে কোনো পরিবর্তন আনার জন্য প্রয়োজন ওয়েবসাইট কন্ট্রোল প্যানেল। আবার ডোমেইনটি অন্য প্রতিষ্ঠানের সাইটে হোস্ট করার জন্যও ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের প্রয়োজন। এ জন্য যে প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাটি নেবেন সেখান থেকে অবশ্যই ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল (ইউজার নেইম, পাসওয়ার্ড) নিজের কাছে রাখবেন। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের ধরে রাখার জন্য কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশাধিকার দেয় না। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলা উচিত।
হোস্টিং কেনার সময় আপনার বাজেট, হোস্টিংয়ের পরিমাণ, ব্যান্ডউইডথ, হোস্টিংয়ের আপটাইম অর্থাৎ সাইট কতক্ষণ লাইভ থাকবে, মানিব্যাক গ্যারান্টি, সাপোর্ট, কম্পানির অবস্থা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি, হোস্টিংয়ের ধরন, ফিচার, সার্ভার লোডিং টাইম, সার্ভার কনফিগারেশন, ই-মেইল সুবিধা, সাব-ডোমেইন বা একাধিক ডোমেইন ব্যবহার করার সুবিধা ইত্যাদি পাওয়া যাবে কি না বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে নেবেন।
বাংলাদেশী হোস্টিং কি?
বাংলাদেশী হোস্টিং বা বাংলাদেশের ওয়েব হোস্টিং একটি ওয়েবসাইট বা অনলাইন প্রজেক্ট গুলির ডেটা স্টোর এবং অনলাইন অমূল্য প্রসারণের সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের একটি হোস্টিং প্রদানকারী সংস্থা বা কোম্পানির সেবা সাধারে অবহিত করে। এই সেবা সাধারণভাবে ওয়েবসাইটের হোস্টিং স্পেস, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন, ডেটা সিকিউরিটি, ইমেইল হোস্টিং, ডাটাবেস সাপোর্ট, সার্ভার ম্যানেজমেন্ট, ডেডিকেটেড সার্ভার বা শেয়ার্ড হোস্টিং সার্ভিস সহ সব সর্বক্ষেত্রে সহায়ক সেবা সরবরাহ করতে সক্ষম।
বাংলাদেশে হোস্টিং সেবা প্রদানকারী কোম্পানির সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছে এবং এই কোম্পানিগুলি স্বাধীন ওয়েব হোস্টিং সার্ভিসের সাথে সম্প্রসারণে ব্যবস্থাপনা করে আসছে। বাংলাদেশের ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারী সংস্থা গুলি বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং প্ল্যান এবং মূল্যের সাথে ব্যবস্থা করে, যেটি সাইটের মূল্য এবং আপেক্ষিক প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশী হোস্টিং সেবা সংস্থা গুলির উদাহরণ হতে পারে নিম্নলিখিত:
1. হোস্টমী (HostMee)
2. সেবাহোস্ট (ShebaHost)
3. ইনফোবিন (InfoBin)
4. হোস্টবারো (HostBaro)
5. ব্যাংকইট (BangIt)
বাংলাদেশে ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারী সংস্থা গুলির সেবা সমৃদ্ধ এবং উপকারী তাদের ক্লায়েন্টদের ওয়েবসাইট এবং অনলাইন প্রজেক্ট সাথে সম্প্রসারণ ও অভিজ্ঞ তথ্য সরবরাহে।
বাংলাদেশী ওয়েব হোস্টিং একটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস সরবরাহকারীর দ্বারা প্রদান করা হয়, যা বাংলাদেশে স্থানান্তরিত ওয়েবসাইট ও অনলাইন প্রোজেক্টস জন্য সার্ভিস ও স্টোরেজ স্পেস উপলব্ধ করে। এই সার্ভিস দ্বারা ব্যবহারকারীরা তাদের ওয়েবসাইট, ই-কমার্স সাইট, অনলাইন ব্লগ, ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, মেইল সার্ভার, এবং অন্যান্য ইন্টারনেট সম্প্রদানের জন্য সার্ভার স্থাপন করতে পারে।
বাংলাদেশী ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস প্রদানকারী সব ধরণের ওয়েব হোস্টিং পরিষেবাগুলি সরবরাহ করতে পারে, যেমন:
1. Shared Hosting: এই প্রকারের হোস্টিং প্ল্যান ব্যবহারকারীদের সার্ভার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনের দরকারী প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করে এবং একই সার্ভারে অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে সংকটের সাথে স্থানান্তরিত হয়।
2. VPS Hosting: ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (VPS) হোস্টিং প্ল্যানে একটি ভার্চুয়াল সার্ভার সরবরাহ করা হয়, যা একটি পূর্বনির্ধারিত স্পেস, রিসোর্স, ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা এবং কনট্রোল দেয়।
3. Dedicated Hosting: ডেডিকেটেড হোস্টিং প্ল্যানে একটি সার্ভার পূর্বনির্ধারিত করা হয়, এবং সেটি একটি ব্যবহারকারীর একমাত্র। এই প্ল্যানটি উন্নত সার্ভার নিরাপত্তা এবং কনট্রোল সরবরাহ করে।
4. Cloud Hosting: ক্লাউড হোস্টিং সেভাবে কনফিগার করা যেতে পারে এবং স্কেল আপ অথবা স্কেল ডাউন করা যেতে পারে, যা ওয়েবসাইটের ট্রাফিকের মাধ্যমে রিসোর্স ব্যবহার করে।
5. Reseller Hosting: রিসেলার হোস্টিং ব্যবহারকারীদের অন্যান্য লোকের জন্য হোস্টিং স্পেস ও সার্ভার সারবরাহ করার সুযোগ দেয়, এবং এটি ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে।
বাংলাদেশী ওয়েব হোস্টিং প্রদানকারীরা সাধারণভাবে এই সেবা গুলি অনুমোদন দেয়, এবং এই প্ল্যানগুলির মধ্যে মূল্য, স্পেস, ব্যবস্থাপনা সুবিধা, সার্ভার নিরাপত্তা, স্থাপনা, এবং অন্যান্য ফীচার ভিন্নভাবে আপেক্ষিত হতে পারে। এছাড়া, কিছু ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস প্রদানকারী মানব সাপোর্ট সেবা ও ডোমেইন নেম নিবন্ধন সেবা ওয়ান-স্টপ সলিউশন প্রদান করতে পারে।
3 Comments
Pingback: ডোমেইন কি? | বেস্টআর্নআইডিয়া.কম
Pingback: এডন ডোমেইন বা একটা একাউন্ট এ একাধিক ওয়েবসাইট কেনো চালাবেন না? | বেস্টআর্নআইডিয়া.কম
Pingback: ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে অবশ্যই ডিলিট করুন Google অ্যাকাউন্ট। - বেস্টআর্নআইডিয়া.কম