এফ কমার্স কী
ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্সই এখন পরিচিত এফ-কমার্স নামে। এটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের (এসএমএম) একটা শাখা।
অল্প পুঁজিতে, এমনকি বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা করা যায়। কোনো দোকানঘর লাগে না, ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ঘরে বসেই। দেশের যেখানেই থাকুন না কেন, ক্রেতার চাহিদামতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারলে এ ব্যবসায় সাফল্য আসবেই।এফ-কমার্সে সফলতা নির্ভর করবে সামাজিক যোগাযোগে আপনার পারদর্শিতার ওপর।
আর এ কাজটির জন্য খরচার দরকার নেই। পেজের লাইক সংখ্যা যতবেশি হবে, আপনার পণ্য তত বেশি
মানুষের কাছে পৌঁছবে। লাইক বাড়াতে আপনার চেষ্টাই যথেষ্ট।
শুরুর দিকে পরিচিতজনদের ‘ইনভাইট’ করুন, বেশি বেশি শেয়ার দিন।
বিশ্বের বড় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচারে নির্ভর করছে ফেসবুকের ওপর।
বাংলাদেশেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং স্বল্প পুঁজিতে অনেকেই এখন এফ-কমার্স বা ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন, দিচ্ছেন নানা সেবা। আপনিও শুরু করতে পারেন।
ই-কমার্সের সঙ্গে এফ-কমার্সের পার্থক্য
ওয়েবসাইটে পণ্য বা সেবার তথ্য সাজানো থাকে ই-কমার্সে, থাকে একটি পেমেন্ট গেটওয়ে, যার সাহায্যে ক্রেতারা পণ্য অর্ডারের পর মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পণ্য পৌঁছে দেয় ক্রেতার কাছে।
অন্যদিকে এফ-কমার্সে কোনো ওয়েবসাইটের দরকার হয় না। ব্যবসা পরিচালনা করা যায় ফেসবুকে একটা ব্যবসায়িক পেজে খুলে। এতে থাকে বিভিন্ন পণ্যের ছবি, বিবরণ, দরদাম, যোগাযোগের ঠিকানা প্রভৃতি তথ্য।
এখানে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে থাকে না। পণ্য বা সেবা নিতে হলে ফেসবুক পেজে পণ্যের অর্ডার দিতে হয়।
চাইলে শোরুমে গিয়েও পণ্য বা সেবা নিতে পারেন ক্রেতা বা গ্রাহক।
আপনি হয়তো মাটির তৈজসপত্র বানাতে পারেন। কিংবা বাইরে থেকে উপহারসামগ্রী বা অন্য কোনো পণ্য আনার সোর্স আছে আপনার। হতে পারে, একটা নির্দিষ্ট এলাকায় ভালো মানের খাবার সরবরাহ করতে চান।
অথবা কোনো এলাকায় টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটার মেরামতের সেবা দিতে চান। শুরু করে দিন।
প্রথম প্রথম হয়তো অর্ডার কম পাবেন। আস্তে আস্তে দেখবেন ভোক্তারা আপনাকে ঠিকই বেছে নিচ্ছে।
একপর্যায়ে দেখবেন আপনি আর একা সামলাতে পারছেন না, ব্যবসার পরিসর বাড়ানোর জন্য তখন দরকার হচ্ছে লোকবল। ব্যস, আপনি হয়ে গেলেন একজন সফল ব্যবসায়ী।
এফ-কমার্স শুরু করা যায় ঘরে বসেই, দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে।