গুগল এডসেন্স এর কিছু টিপস Google Adsense Tips। পে পার ক্লিক [Pay Per Click(PPC)] সম্বন্ধে যাদের ধারণা আছে তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন যে গুগল এডসেন্স (Google Adsense) অন্য সমস্ত পিপিসি সাইটগুলোর চাইতে বেস্ট।
কারন গুগল ক্লিক প্রতি সবচাইতে বেশি টাকা দেয় (একটা ক্লিকে ১ সেন্ট থেকে শুরু করে ৩-৪ ডলার পর্যন্ত) শুধুমাত্র একটি ব্লগ বা পেজ থেকে কখনো বেশী আয় করা যায়না তাই আপনার সাইট বা ব্লগে অনেকগুলো পেজ রাখুন আর সহজেই যেন সব পেইজে যাওয়া যায় তাই হোমপেজে অন্যান্য পেজে যাওয়ার লিংক দিন।
আর লিংকগুলো যেন নতুন পেজে ওপেন হয় তাহলে ইউজার অন্য পেজে গেলেও একইসাথে হোমপেজে থাকবে। তাতে করে অন্যন্য পেজগুলোও ভিজিট করবে।
আর প্রচুর মৌসুমী সাইট বা ব্লগ তৈরী করুন। যে কোন ঘটনা ঘটা মাত্রই তা নিয়ে ব্লগ তৈরী করুন।
তাতে সারাবছরই একটা নির্দিষ্ট পরিমান ভিজিটর পাবেন।
আর এসব মৌসুমী সাইট বিশেষ করে খেলা বা বিনোদন নির্ভর যে সাইটগুলো বানাবেন তাতে একসাথে অনেক ভিজিটর পেতে পারেন বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইট থেকে।
যেমন ধরুন আগামীকাল ইউরোপীয়ান ফুটবল লীগের কোন খেলা আপনি সেটাকে টার্গেট করে একটা ব্লগ বানাবেন। ওই খেলাটি অবশ্যই জাস্টিনটিভিতে সম্প্রচার করা হবে তখন তার পাশে একটি চ্যাট রুম থাকবে এবং এর ভিজিটর থাকবে ৬০-৭০ হাজার।
আপনি সেই চ্যাট রুমে কিছুক্ষণ পরপর আপনার সাইটের এ্যাড্রেস দিয়ে কমেন্ট করুন এবং আপনার সাইটে আসার আমন্ত্রন জানান দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার সাইটে ১০-১৫ ভিজিটর কমপক্ষে চলে আসবে। মাসে এমন চার-পাঁচটি ইভেন্টের সময় এই পদ্ধতি যদি অবলম্বন করেন আর কনটেন্ট ভাল রাখতে পারলে তো কেল্লা ফতে। আমি আইপিএল এবং টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপের সময় এভাবে অনেক ভিজিটর এনেছি।
এছাড়া ইয়াহূ এবং ফেসবুকে এমন অনেক গ্রুপ আছে যাদের সদস্য সংখ্যা কয়েক লাখ এসব গ্রুপের সদস্য হয়ে একটি মাত্র মেইল করেই আপনার সাইট ভিজিটের আমন্ত্রন জানাতে পারেন কয়েক লাখ মানুষকে এবং এদের মাঝথেকে বেশকিছু ভিজিটরও পেয়ে যাবেন।
আর ফেসবুকের জনপ্রিয় গ্রুপে ছবি, কমেন্ট পোষ্ট এবং ইউটিউবে জনপ্রিয় বিষয়ের ভিডিওতে আপনার সাইটে লিংক দিয়ে পোষ্ট করলে এভাবেও প্রচুর ভিজিটর পাবেন। আর এই ভিজিটর কখনোই কমবে না কারন ওইসব সাইটে যখনই নতুন কেউ ওই পেজে আসবে সাথে সাথে বাড়বে আপনার ভিজিটরও।
এডসেন্স একাউন্ট সচল রাখতে :
মনে রাখতে হবে গুগল আমাদের চরম বন্ধু। কোন প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। নিজে কখনও ভুলেও একটা ক্লিক করবেন না বা
কাউকে ক্লিক করতে উৎসাহিত করবেন না। কয়েকটা ইনভ্যালিড ক্লক পরলে গুগল এডসেন্স একাউন্ট বাতিল হয়ে যেতে পারে।
একবার বাতিল হলে চির জীবনের মতো বাতিল, আপনি তখন গুগলের শত্রু, আপনার নামে আর কোন এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারবেন না। শুরুতেই গুগলের ট্রামস এন্ড কন্ডিশন পরোপুরি পড়ে নেওয়া ভাল। ট্রামস পুরো ১০০% মেনে চলতে হবে, ৯৯% মানলেও হবে না।
মোটকথা, সুন্দর ছিমছাম একটা ওয়েবসাইট বানান, কপি পেস্ট ছাড়া নিয়মিত আপডেট দিন, লেখার জন্য স্ট্যান্ডার্ড টপিক (যে বিষয়গুলোতে মানুষের আগ্রহ বেশি) বাছাই করুন, এসইও সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা নিন।
সার্চ ইঞ্জিন আর গুগল এডসেন্স এর ব্যপারে আরো জানতে পারবেন জিন্নাত উল হাসান ভাইয়ের ব্লগে
গুগল এডসেন্স এ সাফল্য অর্জন করতে কিছু টিপস এবং সেবাগুলির সঠিক ব্যবহার করতে কিছু সাধারণ পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলো:
1. ভাল কন্টেন্ট তৈরি করুন: গুগল এডসেন্স আপনার সাইটের কন্টেন্ট দেখে মোটামুটি প্রকাশ করে এড দেয়। উচ্চ গুণগতিসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করুন যাতে আপনার পাঠকরা আপনার সাইটে সময় কাটান এবং ক্লিক করার সম্ভাবনা বাড়ে।
2. অ্যাড প্লেসমেন্ট সঠিকভাবে বেছে নিন: গুগল এডসেন্স অ্যাড ইউনিট গুলি আপনার সাইটের মৌখিক ডিজাইনে সাজানো যেতে পারে। যদি সম্ভাবনা থাকে, এড ইউনিটগুলি কন্টেন্টের সাথে সংগতিপূর্ণ এবং নির্দিষ্ট স্থানে প্লেস করুন।
3. বিশেষ লক্ষ্য দেওয়া কাস্টম অ্যাড ইউনিট: গুগল এডসেন্সে আপনি কাস্টম অ্যাড ইউনিট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার সাইটের ডিজাইন এবং জনপ্রিয়তা অনুযায়ী সেগুলি কাস্টমাইজ করতে পারেন।
4. মোবাইল প্রিয়তা দেওয়া: আপনার সাইট মোবাইল ডিভাইসে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে, কারণ বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে।
5. দরকারী জ্ঞান প্রাপ্ত করুন: গুগল এডসেন্স এ সঠিক প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞতা প্রাপ্ত করার জন্য সময় নিয়ে শেখা গুরুত্বপূর্ণ। গুগলের আধিকারিক ব্লগ, ফোরাম, এবং টিউটরিয়ালগুলি সহ অন্যান্য সূত্রগুলি দেখুন এবং জানা হোক কীভাবে গুগল এডসেন্স সার্ভিস সেট আপ করতে হয় এবং সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়।
6. স্বতন্ত্রতা দেওয়া: গুগল এডসেন্সে আপনি নির্দিষ্ট অ্যাড ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে পারেন যা আপনার সাইটের কন্টেন্ট এবং পাবলিকের আগ্রহে ভিত্তি করে।
7. সুরক্ষা ও নৈতিকতা প্রবর্তন করুন: গুগল এডসেন্সের নিয়ম এবং নৈতিকতা প্রবর্তন নিশ্চিত করুন। অবশ্যই ক্লিক বোট, ক্লিক ব্যাঙ্ক স্কিম, বা অবৈধ ক্লিক প্রবর্তনের মধ্যে থাকবেন না, কারণ এটি গুগলের নৈতিকতা নীতি ব্যতিক্রমণ করে।
8. পাবলিশার বোর্ড ব্যবহার করুন: গুগল এডসেন্সের পাবলিশার বোর্ডে আপনার এড ক্লিক এবং আয়ের সাথে সম্পর্কে পূর্বদর্শন প্রাপ্ত করুন এবং আপনার পারফর্ম্যান্স সরকারি করুন।
9. ট্র্যাকিং এবং এয়ারটাইম স্ট্যাটিস দেখুন: আপনি আপনার গুগল এডসেন্স প্রকাশনার পারফর্ম্যান্স মানিতে ট্র্যাক করতে পারেন এবং এয়ারটাইম স্ট্যাটিস দেখতে পারেন যেটি আপনাকে আপনার এড ইউনিটের দরকারী পরিবর্তন স্থান নির্দিষ্ট করতে সাহায্য করতে পারে।
10. গুগল প্রেমিয়াম পাবলিশার প্রোগ্রামে যোগ দিন: গুগল এডসেন্স প্রেমিয়াম পাবলিশার প্রোগ্রামে যোগ দিলে, আপনি বেশি গুনগুন আয় করতে পারেন এবং বিশেষভাবে স্থানীয় পাবলিশার পরিচালকের জন্য প্রিমিয়াম বিশেষজ্ঞতা প্রাপ্ত করতে পারেন।
স্বতন্ত্রভাবে সঠিক রকমে গুগল এডসেন্স সেট আপ করতে এবং পরিচালনা করতে নির্দেশনা প্রাপ্ত করতে, গুগল এডসেন্সের আধিকারিক সাইটে যান এবং তাদের স্থানীয় সামগ্রী পরীক্ষা করুন। এছাড়া, সময়ের সাথে আপনি আপনার এডসেন্স প্রদানকারী সাইটে তাদের সামগ্রী এবং মার্কেটিং উপায়ের বিশেষজ্ঞতা তৈরি করতে পারেন।