কেন পড়বেন গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে Green University । একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাই উদ্দেশ্য নয়, পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাও আজ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘কোয়ালিটি এডুকেশন শব্দটি যেমন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে, তেমনি উন্নত ভৌত-কাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিশা পাচ্ছে এখানকার হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকমন্ডলী
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে চাকরিরত সব শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সদা সচেষ্ট গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে ফার্স্টক্লাসধারী লিখিত, প্রেজেন্টশন ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, নিয়োগদানের পর তাদের (শিক্ষক) শিক্ষাদান দক্ষতা বৃদ্ধিতে সেমিস্টারজুড়ে (চার মাস) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যে ধারা গ্রিন ইউনিভার্সিটি ছাড়া মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে। ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান করা প্রবীণ শিক্ষকরাও তুলনামূলক অধিক যোগ্য ও অভিজ্ঞ। প্রশিক্ষণ জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক এই উপ-উপাচার্য দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রের এসআইটি গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউটে ‘ভিজিটিং প্রফেসর’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক আছেন উপদেষ্টা হিসেবে। ডিসটিংগুইজ্ড প্রফেসর হিসেবে অধ্যাপনা করছেন টেক্সটাইলের ওপর দেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুটেক্স’-এর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য (সাবেক) অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর।
আইইবি অ্যাক্রেডিটেশন
অভিজ্ঞ শিক্ষকমÐলী, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) কর্তৃক অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ‘কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই)’ ও ইলেক্ট্রিক্যাল এ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ। বাংলাদেশে যতগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে; এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আইইবি স্বীকৃতির আওতাভ‚ক্ত।
স্কলারশিপে বিদেশে পড়ার সুবিধা
গ্রিন ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হাডারস্ফিল্ড, অস্ট্রেলিয়ার ডেকিন ইউনিভার্সিটি চীনের বেইজিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচারাল ইউনিভার্সিটি (বিএলসিইউ), উহান টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়ার বাইনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইতালি-ভারতের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলোতে স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অনলাইন শিক্ষায় এগিয়ে
করোনাকাল শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই ইউজিসির নির্দেশনা মেনে অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এর আগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিডিরেনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী অনলাইন ক্লাস পরিচালনায় পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। ক্লাস ছাড়াও সব ধরনের শিক্ষা সেবা নিশ্চিত করছে অনলাইনের মাধ্যমে।
গবেষণায় অনন্য অবদান
গবেষণায় অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ সময়ে দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবেশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্যোগ। এছাড়াও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে ‘জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম’।
‘ক্যারিয়ার’ গড়তে সহায়তা
গ্রিনই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়- যারা প্রত্যক্ষভাবে তাদের গ্রাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণে সহায়তা করছে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চশিক্ষা শেষে প্রতিবছর যত সংখ্যক শিক্ষার্থী চাকরির প্রতিযোগিতায় নামছে, সে তুলনায় দেশে শূণ্যপদের সংখ্যা অনেক কম। মূলত এ চিন্তা থেকেই শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। ইউএস-বাংলা গ্রæপের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সিজিপিএ ও ইংরেজিতে দক্ষ হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসহ গ্রæপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে চাকরি পাচ্ছেন গ্রিনের গ্রাজুয়েটরা। এর বাইরেও গ্রাজুয়েটদের চাকরি সুবিধা দিতে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিসিডি)। যে সেন্টারের প্রত্যক্ষ তত্তবধানে দেশি-বিদেশি কর্মক্ষেত্রে আবেদনের মাধ্যমে কাক্সিক্ষত চাকরি বেছে নিতে পারছেন গ্রিনের শিক্ষার্থীরা।
নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস ও আন্তর্জাতিক মানের মাঠ
ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। যার শিক্ষা কার্যক্রম দু’বছর আগেই শুরু হয়েছে। চলছে ভর্তি কার্যক্রম, নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য কর্মকাÐ। ক্যাম্পাসটিতে যেতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠ
গ্রিন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে রয়েছে ইনডোর এবং আউটডোরে খেলাধুলার সব আয়োজন। এজন্য স্থায়ী ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বিশাল খেলার মাঠ। আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামগুলোর সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে মাঠটির ব্যাসার্ধ ৭০ থেকে ৮০ মিটারের মধ্যে রাখা হয়েছে। যদিও পুরো মাঠের আয়তন আরও বেশি। পিচ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে।
শিক্ষক-কর্মকর্তার বেতনে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ফান্ড
গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো ‘স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ গঠন। যে ফান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা মাসের শুরুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ (সর্বনিম্ন ১০০টাকা থেকে শুরু) টাকা প্রতি মাসে দিয়ে থাকেন। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক সেমিস্টারে এই ফান্ড থেকে বৃত্তি পেয়ে থাকেন। পুরো বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্টুডেন্ট মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম
মানসম্মত শিক্ষার্থী নিশ্চিত করতে ‘স্টুডেন্ট মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যে ধারা প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়। এরপর ২য় সেমিস্টার থেকে শুরু হয় একাডেমিক এ্যাডভাইজিং। এর মাধ্যমে বিভাগীয় শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে ‘ওয়ান টু ওয়ান’ যোগাযোগ করে থাকেন। যা পরবর্তী চার বছর পর্যন্ত চলতে থাকে।
আছে ১৭টি ক্লাব
শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম বেগবান রাখতে গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ১৭টি ক্লাব। এগুলো হলো ডিবেটিং ক্লাব, গ্রিন বিজনেস ক্লাব, মার্কেটিং ক্লাব, ইংরেজি ক্লাব, স্পোর্টস ক্লাব, ল’ ক্লাব, সোস্যাল বন্ডিং ক্লাব, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ক্লাব, টেক্সটাইল ক্লাব, কম্পিউটার ক্লাব, জেএমসি ক্লাব, গ্রিন ওয়ারিয়র ক্লাব, রিডিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, থিয়েটার ক্লাব, বøাড ক্লাব।
জাপানে ভর্তিচ্ছুদের জন্য ‘নাট টেস্ট’
জাপানি ভাষায় দক্ষতার আন্তর্জাতিক পরীক্ষা ‘নাট টেস্ট’ বাংলাদেশে একমাত্র গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়। আগে এই পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের নেপাল যেতে হতো। জাপানে পড়াশোনায় ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এবং ভিসা আবেদনে আগ্রহীদের এ সুযোগ করে দিচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
দুই আন্তর্জাতিক সম্মেলন
চতুর্থ শিল্প চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গত দুই বছর ধরে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলোজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৪.০’ সম্মেলন করে আসছে সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ। এ বছর বিজনেস, ল’ ও স্যোশাল সায়েন্সের উদ্যোগে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হলো ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্র্যান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, উপদেষ্টা, গ্রিন ইউনিভার্সিটি
বিশবিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার ক্রমাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে শিঘ্রই গ্রিন ইউনিভার্সিটির কাক্সিক্ষত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। এক্ষেত্রে আউটকাম বেসড এডুকেশন (ওবিই) পদ্ধতি গ্রিন ইউনিভার্সিটি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, করোনাকালে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে বড় সফলতা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করা। আমরা অনলাইন ভর্তি, অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষা, ভাইভা, কোর্স রেজিস্ট্রেশন, ফলাফল মূল্যায়ন ও প্রকাশ, সার্টিফিকেট ও মার্কশিট প্রদানসহ সব ধরনের সেবা অনলাইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পেরেছি। এটা বড় অর্জন। অগ্রগতির এই ধারা বজায় রেখে অচিরেই গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপাচার্য
গ্রিন ইউনিভার্সিটি তিন মূলমন্ত্রে বিশ্বসী। আমরা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক্যালি কমপিট্যান্ট দেখতে চাই। অর্থ্যাৎ একজন শিক্ষার্থী যে বিষয়েই পড়–ক না কেন, তাকে ওই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একইসাথে তাদেরকে নৈতিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন এবং সামাজিক দায়িত্ববোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট। শিক্ষার এই মান উন্নয়নে আমরা মোট পাঁচটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এগুলো হলো- মানসম্মত শিক্ষা, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমÐলী, উন্নত কোর্স কারিকুলাম, দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উন্নত ভৌত অবকাঠামো।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য- নৈতিক মূল্যবোধ ও কর্মমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে দেশে প্রজন্ম পরম্পরায় শিক্ষিত, চরিত্রবান ও প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার মত দক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করা; যারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি নৈতিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।