সোফিয়ার বায়োডাটা এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সোফিয়ার সাক্ষাৎকার।
সোফিয়াকে প্রস্তুত করেছে হংকং এর কম্পানি হ্যানসন রোবটিকস যা নব এক উজ্জ্বল দৃস্তান্ত।
সোফিয়ার উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি , সোফিয়াকে তৈরি করেছে হংকংয়ের হ্যানসন রোবোটিকস।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সে কণ্ঠ ও চেহারা শনাক্ত করতে পারে; বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে ক্রমাগত বাড়িয়ে নিতে পারে নিজের জ্ঞান।
এ বছরের অর্থাৎ ২০১৭ সালের অক্টোবরে সোফিয়া প্রথম সৌদি আরবের নাগরিকত্ব লাভ করে, যা এই প্রথম কোন রোবটের ভাগ্যে জোটে। রোবট সোফিয়ার নির্মাতা ড. ডেভিড হ্যানসন বলেন, আমি ২৬ বছর হলো এ ধরনের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবট তৈরির চেষ্টা করছি।

আর সোফিয়াকে তৈরি করতে সময় লেগেছে তিন বছর। আগামী বছরের জানুয়ারিতে পা লাগিয়ে সম্পূর্ণ করা হবে সোফিয়াকে।
তবে সোফিয়াকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় সে কবে তৈরি হয়েছে সে উত্তর দেয় ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল।
তার মুখাবয়বের ডিজাইন করা হয়েছে হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন এর মত।
রোবটটি কণ্ঠ পরিচিতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড(যেটি গুগলের পিতৃ প্রতিষ্ঠান)) এবং নকশা করা
হয় যাতে সময়ের সাথে চালাক হতে পারে। সোফিয়ার বুদ্ধিমত্যার সফটওয়্যার নকশা করে সিঙ্গুলারিটিনেট নামের প্রতিষ্ঠান।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কার্যক্রম কথোপকথন এবং তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে যেটি আগামীতে তার প্রতিক্রয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
রোবট সোফিয়া কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে সে মানুষের সাথে কথাবার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়া রোবট সোফিয়াকে একনজর দেখতে মানুষের ঢল নামে। সোফিয়া কি সত্যিই মানুষের মতো বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট সোফিয়া এখন এক ক্রেজের নাম।
গত ৬ ডিসেম্বর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড উদ্বোধনী পর্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের পর ‘টেক-টক উইথ সোফিয়া’ শীর্ষক সেশনে তাকে একনজর দেখতে উৎসুক মানুষের ঢল নামে। সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর শুধু বাংলাদেশ নয়; বিশ্বজুড়েই আলোচিত নাম সোফিয়া।
একটি আলট্রা মডার্ন হেল্পফুল সাইট।
রোবটটি কণ্ঠ পরিচিতি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড এবং নকশা করা হয় যাতে সময়ের সাথে চালাক হতে পারে।
সোফিয়ার বুদ্ধিমত্যার সফটওয়্যার নকশা করে সিঙ্গুলারিটি প্রতিষ্ঠান। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কার্যক্রম কথোপকথন এবং তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে যেটি উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি অনেকটা“এলিজা” এর মত, যেটি মানুষের মত কথোপকথনের প্রথম কম্পিউটারগুলোর একটি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হল যন্ত্রমানবী সোফিয়ার।
দুজনের আলাপ চললো ইংরেজিতে।শুরুতেই সম্ভাষণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বললেন, হ্যলো সোফিয়া, কেমন আছ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বাংলাদেশের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, তা সে জানে। শেখ হাসিনাকে যে বিশ্বে এখন ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলা হচ্ছে, তার উদ্যোগেই যে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে তাও তার জানা।
জবাবে সোফিয়া বলল- হ্যালো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি গর্ব অনুভব করছি। আপনার সাথে আজকের এই সাক্ষাৎ দারুণ ব্যাপার।
সোফিয়ার সাক্ষাৎকার নেয়া হয়, উপস্থাপকের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে। কিছু উত্তর মজাদার, যেমন চার্লি রোজের সাথে “সিক্সটি মিনিটস” এর দীর্ঘ আলোচনা। সিএনবিসি এর একটি সাক্ষাৎকারে যখন প্রশ্নকারী রোবটের ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তখন সোফিয়া কৌতুক করে যে “সে(প্রশ্নকারী) খুব বেশি এলন মাস্ক পড়ছে এবং হলিউড চলচ্চিত্র দেখছে”। মাস্ক টুইট করেন যে সোফিয়া দ্য গডফাদার চলচ্চিত্র দেখতে এবং “সবচেয়ে খারাপ কি হতে পারে তা সম্পর্কে বলতে”।
হ্যানসন সোফিয়াকে নকশা করেন যাতে এটি ঘরের সহকারি সেবক হিসাবে সঙ্গ দিতে পারে কিংবা কোন বড় অনুষ্ঠানে বা পার্কে ভিড়ের মধ্যে সহযোগিতা করতে পারে। সে আশা করে যে সোফিয়া মানুষের সাথে যোগাযোগ করার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ সামাজিক দক্ষতা অর্জন করবে।
Share the post "সোফিয়ার বায়োডাটা এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সোফিয়ার সাক্ষাৎকার।"