সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করবেন? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?
মার্কেটিং প্লেসগুলোতে যতগুলো মার্কেটিং আছে তার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সব থেকে বেশি কার্যকরী ।
যদি আপনার ক্যারিয়ার হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বেছে নেন তাহলে হয়ত সামনের পথ চলা
আপনার জন্য অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। কেননা আপনার ব্যাবসার প্রচার প্রচারণা চালাতে বর্তমান
সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া সব থেকে বেশি প্রয়োজন।
অনেকে মনে করে ওয়েবসাইট এর জন্য এসইও খুবি গুরুত্বপূর্ণ।এটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
এতে করে দেখা যায় যে, এই রেজাল্ট টা হয়ত গুগল এর প্রথম পেজে কিছুদিন থাকবে। কিন্ত লম্বা সময় অবস্থান করবে না।
তাই আপনাকে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া তে কাজ করতে হবে।
একটা সময় যখন আপনি সোশ্যাল মিডিয়া তে কাজ করবেন তখন আপনার পোস্ট গুলোতে অনেক অনেক ভিউ আসবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট, গুগল প্লাস এই গুলাকেই বেশি বুঝে থাকি। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক আর ইউটিউব অনেক অনেক বেশি কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ।
সারা পৃথিবীতে অনেক গুলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আছে।
তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি কার্যকর। যেমন- ইন্ডিয়াতে ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ, ইমো, ভাইবার এই সোশ্যাল মিডিয়া খুব বেশি জনপ্রিয়। আবার আমেরিকাতে
পিন্টেরেস্ট ও রেদ্দিট অনেক বেশি জনপ্রিয়, রাশিয়াতে ভিকে, স্তাম্বলআপন ও টুইটার অনেক বেশি জনপ্রিয়।
ঠিক তেমনই বাংলদেশে ফেসবুক, ইউটিউব এই গুলো অনেক জনপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সবসময়
কার্যকর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের কার্যকলাপের উপর। ফেসবুক এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করি তা
ফেসবুক মার্কেটিং এর অন্তগত। একইভাবে ইউটিউবে আমরা যে ভিডিও শেয়ার করে বা পোস্ট করে যে
মার্কেটিং করি তা ইউটিউব মার্কেটিং এর অন্তগত।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রয়োজন?
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটা সময় মানুষ টেলিভিশন দেখে বিনোদন নিতো, সংবাদ দেখত, খেলা দেখত।এর জন্য তাদেরকে সব সময় টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকতে হত অথবা দেখা যেত টেলিভিশন এর নির্দিষ্ট সময়ে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হত। কিন্ত এখন সময়টা পাল্টেছে, আপনি এখন চাইলে যেকোনো সংবাদ, বিনোদন, খেলাধুলা এই সব নিউজ দেখতে ও পরতে পারবেন খুব সহজে এবং যখন তখন।
তাহলে বুঝতেই পারছেন সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। আপনি চাইলে এই গুরুত্ব টাকেই কাজে লাগিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন।
আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করে দিন।
একটা সময় পর এর ফলাফল খুব ভালভাবে দেখতে পাবেন। সমগ্র পৃথিবী এখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। আপনি একটু ছিন্তা করে দেখুন না, আপনি লাস্ট কবে ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করেন নি।
তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এটার গুরুত্ব কতখানি।
কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করবেন?
আপনি চাইলে বিভিন্ন ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি ফেসবুক, ইউটিউব এর
মাধ্যমেও শুরু করতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে ফেসবুক আর ইউটিউব মার্কেটিং অনেক অনেক বেশি
জনপ্রিয় এবং এই দুইটা সোশ্যাল মিডিয়া তে মানুষ অনেক বেশি সময় পার করে থাকে। তাই আপনি শুরু তে
এই দুইটা মার্কেটিং করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার প্রোডাক্ট এর জন্য। আসুন আবার কিভাবে
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুলাতে কাজ করবেন তার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরন দিব আপনাদেরকে।
গুগল প্লাস মার্কেটিংঃ আপনার যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কিছু গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার। কেননা আপনি যদি ওয়েবসাইটের সব পোস্ট গুলো গুগল এ ইনডেক্স না করান তাহলে কখনই আপনার পোস্ট গুলো গুগলে প্রথম পাতায় শো করবে না। তাই গুগল প্লাস মার্কেটিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্য। আপনার যদি প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে চান তাহলে গুগল প্লাস অনেক বেশি দরকারি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য। কেননা গুগল প্লাস গুগলের একটা প্রোডাক্ট। আপনি যখন গুগল প্লাস এ কিছু শেয়ার করছেন তখন গুগল প্রোডাক্ট তা ইনডেক্স করে নিচ্ছে। এটা আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখই আপনার কোন ক্রেতা এই প্রোডাক্ট এর নাম লেখে সার্চ দিবে গুগল তখন আপনার প্রোডাক্ট তা প্রথমে বা প্রথম পাতায় শো করবে। আপনি যদি গুগল প্লাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে রেড মারুনের ব্লগে দেখুন।
ফেসবুক মার্কেটিংঃ বাংলাদেশের কম-বেশি সবাই আমরা ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। সাধারণত যাদের বয়স ১৬-৫০ বছর এর মধ্যে এদের সংখ্যা খুব বেশি। আপনি চাইলে ফেসবুক এর মার্কেটিং করতে পারেন, কেননা ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে সব থেকে বেশি ট্রাফিক ওয়েবসাইট এ আনা সম্ভব। আপনি যেকোনো একটা নিস নিয়ে কাজ করে আপনি ফেসবুক এর মাধ্যমে অসংখ্য ট্রাফিক আনতে পারবেন। আপনি নিউজ, খেলাধুলা, শিক্ষা-সংক্রান্ত্, ফান এই সব সাইট নিয়ে কাজ করতে পারেন। আর ফেসবুক এ ভাল কিছু গ্রুপ এবং পেজ তৈরি করে আপনি অনেক অনেক ট্রাফিক আনতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইট টিতে। এতে করে একটা সুবিধা হবে আপনার জন্য। আপনার ওয়েবসাইট যদি ফেসবুক এ জনপ্রিয় হয়ে উঠে তাহলে খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করবে। তাই বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মধ্যে ফেসবুক মার্কেটিং সব থেকে বেশি কার্যকর। ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আরও জানতে আপনি রেড মারুনের ব্লগে দেখুন।
ইউটিউব মার্কেটিংঃ বর্তমানে ইউটিউব এর অবস্থান দুই নাম্বারে। গুগল এর পরেই ইউটিউবের অবস্থান। কিন্ত মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ফেসবুক এর পরেই ইউটিউব এর অবস্থান। আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন তাহলে ফেসবুক এ মার্কেটিং হবে আপনার জন্য সব থেকে আদর্শ। আর যদি নিউজ নিয়ে কাজ করেন তাহলে ইউটিউব আপনার প্রথম পছন্দ থাকা উচিত। কেননা এখন মানুষ টেলিভিশনের সামনে বসে যতটা সংবাদ থেকে তার থেকে বেশি সময় এখন ইউটিউব এ সংবাদ বেশি দেখে। আপনার ওয়েবসাইট যদি হয় শিক্ষা সংক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই ইউটিউব নিয়ে মার্কেটিং করতে পারেন। কেননা শিক্ষার জন্য ইউটিউব এখন সব থেকে বড় প্লাটফর্ম। এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আপনি আমাদের রেড মেরুনের ব্লগ এ ক্লিক করুন।
গুগল প্লাস মার্কেটিংঃ আপনার যদি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কিছু গুগল প্লাস অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার। কেননা আপনি যদি ওয়েবসাইটের সব পোস্ট গুলো গুগল এ ইনডেক্স না করান তাহলে কখনই আপনার পোস্ট গুলো গুগলে প্রথম পাতায় শো করবে না। তাই গুগল প্লাস মার্কেটিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনার জন্য। আপনার যদি প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতে চান তাহলে গুগল প্লাস অনেক বেশি দরকারি আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য। কেননা গুগল প্লাস গুগলের একটা প্রোডাক্ট। আপনি যখন গুগল প্লাস এ কিছু শেয়ার করছেন তখন গুগল প্রোডাক্ট তা ইনডেক্স করে নিচ্ছে। এটা আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ। তাই যখই আপনার কোন ক্রেতা এই প্রোডাক্ট এর নাম লেখে সার্চ দিবে গুগল তখন আপনার প্রোডাক্ট তা প্রথমে বা প্রথম পাতায় শো করবে। আপনি যদি গুগল প্লাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে রেড মারুনের ব্লগে দেখুন।
লিঙ্কডইন মার্কেটিংঃ বর্তমান সময় লিঙ্কডইন মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লিঙ্কডইন মার্কেটিং এখন অনেক কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ। লিঙ্কডইন এর মাধ্যমে আপনি চাইলে অনেক ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইট এ আনতে পারবেন এবং খুব ভাল একটা ইমেজ তৈরি করে ফেলতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইট সব গুলা পেজ বা সব গুলো প্রোডাক্ট আপনি লিঙ্কডইন এ নিয়মিত শেয়ার করলে খুব ভাল ফিডব্যাক পাবেন। লিঙ্কডইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ভাবে জানতে রেড মেরুনের ব্লগে দেখুন।
টুইটার মার্কেটিংঃ টুইটার মার্কেটিং বর্তমান সময়ে সব থেকে স্মার্ট মার্কেটিং। কেননা এটা সারা পৃথিবীতে খুব বেশি ব্যবহার করা হলেও বাংলাদেশে এর ব্যবহার খুবি কম। তারপরও আপনি টুইটার মার্কেটিং এর আপনি খুব ভাল একটা ইমেজ তৈরি করতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য টুইটার অ্যাকাউন্ট খুবি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা টুইটার অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি বাহিরের এবং দেশের অনেক ট্রাফিক পাবেন। আপনার যদি প্রোডাক্ট রিলেটেড ওয়েবসাইট না হয়ে থাকে তাহলে টুইটার আপনার জন্য একটা আদর্শ মার্কেটিং হবে। টুইটার মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে রেড মেরুনের ব্লগে দেখুন।