আস্সালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?
আপনার অনলাইন আকাউন্ট গুলো তে Two-Factor Auth ব্যবহার করুন
Two-Factor Auth কি?
যদি আপনি না জানেন তো বলে রাখি, Two-Factor Auth হলো ২ টি পাসওয়ার্ড ব্যাবস্থা।
মানে এক দরজাই ২ টি তালা। একটি পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে গেলেও আরেকটি পাসওয়ার্ড আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।
সাধারণত আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে যখন আপনি আপনার প্রয়োজনীয়
আকাউন্ট সাইন ইন করবেন তখন আপনার মোবাইল এ আরেকটি কোড পাঠিয়ে দেওয়া হবে, সেই কোডটি
সাইট এ প্রবেশ করানর পর আপনার আকাউট সফল ভাবে লগ ইন হবে।
তো কোনো কারনে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে গেলেও আপনার আকাউন্ট এ লগিন করতে পারবেনা কেও।
কারন তার কাছে আপনার ফোন থাকবে না যেখানে দ্বিতীয় পাসওয়ার্ড সেন্ড করা হবে এবং এই ২য়
পাসওয়ার্ড প্রত্যেক বার ই আলাদা আলাদা।
আমি মনে করি Two-Factor প্রতিটি সুরক্ষিত আকাউন্ট এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যদি আপনি আপানার আকাউন্ট এর সর্বাধিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চান। তাই আপনার ইমেইল, ফেসবুক ও ব্যাংক আকাউন্ট সহ
সকল আকাউন্ট Two-Factor দ্বারা সুরক্ষিত করে রাখুন।
জিমেইল, ফেসবুক সহ বড় বড় সকল সাইট এ ই Two-Factor বাবস্থা আছে।
দীর্ঘ এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ
যখন আপনি কোনো সাইট এ পাসওয়ার্ড সেট করবেন তখন অবশ্যয় দীর্ঘ এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
যখন আপনি কনো সাইট এ পাসওয়ার্ড সেট করেন তখন তারা সেই পাসওয়ার্ড কে
hashing and salting পদ্ধতিতে encrypt করে রাখে।
hashing and salting পদ্ধতি আপনার জানার দরকার নাই, শুধু যেনে রাখুন ওয়েবসাইট ডাটাবেস
এ আপনার পাসওয়ার্ড encrypt অবস্থায় থাকে।
যদি কেও সেই ওয়েবসাইট ডাটাবেসটি করে হ্যাকিং এর মাধ্যমে তখন তারা সেই পাসওয়ার্ড ডাটাবেসটি
decrypt করার চেষ্টা করে। যদি আপনি দীর্ঘ এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন তাহলে
আপনার পাসওয়ার্ডটি crack হওয়ার সুযোগ কমে যায়। তো বুঝলেন তো দীর্ঘ এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এর গুরুত্ব!
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে দীর্ঘ এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করবেন? আমি কিছু টিপস দিচ্ছি। সর্বনিম্ন ১০ অক্ষরের পাসওয়ার্ড সেট করুন। আরো বড় পাসওয়ার্ড সেট করলে আরো ভালো। যদি আপনার সাইট
==================================
আপনাকে অনুমতি দেয় তবে আপনি ২০ অক্ষরের
পাসওয়ার্ড ও সেট করতে পারেন। মনে রাখবেন ২০
অক্ষরের পাসওয়ার্ড বা তার চেয়েও বড় পাসওয়ার্ড
সর্বাধিক সুরক্ষিত। পাসওয়ার্ড এ ছোটো হাতের অক্ষর, বড় হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং কিছু
বিশেষ চরিত্র যেমন [.,%#@$] ইত্যাদি একসাথে ব্যবহার করুন।
যখন আপনি সাধারন পাসওয়ার্ড যেমন সুধু ছোটো এবং বড় হাতের অক্ষর দিয়ে তাতে কনো সংখ্যা নাই বা কনো বিশেষ
চরিত্র না থাকে তবে ওয়েবসাইট ডাটাবেস টি থেকে আপনার পাসওয়ার্ডটি হ্যাকার রা সহজেই decrypt করে ফেলবে।
প্রত্যেক সাইটে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ
সর্বাধিক সুরক্ষিত থাকতে চাইলে আপনাকে অবশই প্রত্যেক সাইটে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার
করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাংক সাইট, শপিং সাইট, পেপাল, ফেসবুক, ইমেইল ইত্যাদি তে।
হাঁ আমি জানি এত পাসওয়ার্ড মনে রাখা এক্কে বারেই সম্ভব না। কারন দীর্ঘ এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এমনি তেই
কিম্ভূতকিমাকার হয়, তার উপর আবার প্রত্যেক সাইটে আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড! তবে এই কাজটি সহজেই
করতে আপনি বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন।
যেমনঃ Last pass অথবা KeePass এই পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আপনার পাসওয়ার্ড কে encrypt
করে সংরক্ষন করে রাখে। Last Pass এর মত অনলাইন পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যেটা আপনাকে সর্বাধিক সুরক্ষিত রাখবে। ব্রাউজার এর পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এর চাইতে তৃতীয় পক্ষ পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করায় ভালো। কারন এই সব সফটওয়্যার শুধু পাসওয়ার্ড সংরক্ষন করার জন্য ই তৈরি করা হয়েছে।
আপনার Hard Drive কে Encrypt করে রাখুনঃ
Hard Drive Encryption করা মানে সুরক্ষিত থাকার আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
কারন Hard Drive Encryption আপনার কম্পিউটার এর সর্বাধিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
কনো হ্যাকার যদি আপানার কম্পিউটার এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেও ফেলে তবেও সে আপনার ডাটা পড়তে সক্ষম হবে না।
কিছু উপায়ে Hard Drive Encryption করানো যায়।
১ নং হলো BitLocker।
যেটা কিনা উইন্ডোজ এর সাথে ডিফল্ট ভাবেই থাকে। BitLocker দিয়ে আপনি সহজেই Hard Drive Encrypt করতে পারবেন। তাছাড়া আরো একটি টুল আছে TrueCrypt আমি মনে করি এটি শুধু অগ্রসর ব্যবহারকারি গনদের জন্য।