ব্ল্যাক ম্যাজিক কি?
ম্যাজিক বলতে আমরা বুঝি চকমকে ড্রেস পরা একজন লোক তার হ্যাট থেকে খরগোশ ,কবুতর বের করবেন অথবা মানুষ কেটে আবার জোড়া লাগাবেন।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা চোখকে ধোঁকা দিয়ে করা হয়। কিন্তু ব্ল্যাক ম্যাজিক সম্পূর্ন আলাদা।
মূলত অপ্রাকৃতিক উপায়ে নানাভাবে মন্ত্র –
তন্ত্র কিংবা উপাসনার মাধ্যমে জীবের ক্ষতি সাধন করা হয় এই ম্যাজিকের মাধ্যমে, এটাই ব্ল্যাক ম্যাজিক নামে পরিচিত।
প্রথমত অনেকেই এগুলো শুনে বলবেন:-
ধুরর, ফালতু, আজাইরা, বিশ্বাস করিনা। আপনি জানেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) কে এইরকম ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কুফরী কালাম দ্বারা ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছিলো? এরই পরিপ্রেক্ষিতে “সূরা নাস” ও “সূরা ফালাক” নাযিল হয়েছিল জাদুর ক্ষমতাবল নষ্ট করতে ।
ব্ল্যাক ম্যাজিক কিংবা কালো জাদু কিভাবে হয়?
আমরা জানি সব ধর্মেই মৃতের সৎকার করার নিয়ম রয়েছে। অনেক ধর্মের মতে ব্যাপারটা করা হয় আত্মার সন্তুষ্টির জন্য।
মূলত এই ধারনা থেকেই ব্ল্যাক ম্যাজিকের উৎপত্তি।
অতৃপ্ত আত্মার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের ব্যবহার করে মানুষের নানা ক্ষতি সাধন করা।
ভৌগলিক অবস্থান ও জাতিবিভেদে একেক এলাকায় কালো জাদুর ধরন একেক ধরনের হয়ে থাকে, এদের প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন।
আমাদের দেশে শোনা যায়:–
বান মারা , বশ করা হয় কুফরী কালামের সাহায্য। এই কুফরী কালাম হয় পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াতের উল্টো প্রয়োগ বা ব্যবহার করে।
অনেকে হয়তো এটা জেনে থাকবেন যে সূরা জ্বিন – এর সাহায্য জ্বিনদের সাথে যোগাযোগ করা যায়, এটা কালো জাদু কি না আমি জানি না।
তবে এটা দ্বারা অনেকেই অন্যের ক্ষতি করে থাকে।
জেনে রাখা ভালো যে, আপনি যদি কালো জাদু চর্চা কিংবা ব্যবহার করেন তবে আপনি আপনার ধর্ম থেকে বিচ্যুত হবেন।
কারন কালো জাদুর মাধ্যমে আপনি শয়তানের দাসত্ব স্বীকার করবেন।
আমরা যারা ধর্মে বিশ্বাসী তারা মনে করি, ইশ্বর আমাদের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা। ইশ্বর আমাদের অলৌকিক শক্তি দেন না সাধারনত।
কিন্তু কালো জাদুর চর্চাকারীরা মনে করে তারা যদি শয়তানের দাসত্ব স্বীকার করে তবে তারা সেই অপ্রাকৃতিক বা অলৌকিক শক্তির অধিকারী হতে পারবে।
ডাইনিবিদ্যা বা উইচক্র্যাফট নামে একটা বিদ্যা আছে। পৌরানিক অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে কিভাবে মানুষের ক্ষতি করা
হতো অতিপ্রাকৃতিকভাবে ।যুগ যুগ ধরে এই বিদ্যা চর্চা গোপন চর্চা করে আসছে কিছু মানুষ।
ভু-ডু নামে একটা জাদুবিদ্যা আছে, প্রচলিত আছে যে তা ব্যবহার করে কবর দেয়া মৃত ব্যাক্তিকে জ্যান্ত করে নিজের গোলাম হিসেবে খাটানো যায়।
দক্ষিন আমেরিকা ও আফ্রিকায় এ বিদ্যার ব্যাপক প্রচলন আছে ।
হলিউডি বা বলিউডি ছবিতে আমরা দেখি একটা পুতুলে বিভিন্নভাবে সুঁচ গেঁথে মানুষকে আঘাত করা হয় কিংবা মেরে ফেলা হয়, ব্যাপারটা ডাকিনীবিদ্যারই অন্তর্গত।
জেনে অবাক হবেন যে, এখনও কিছু মানুষ শয়তানের দাসত্ব স্বীকার করতে বা শয়তানকে খুশি করতে মানুষ বলি দেয়া হয়, জ্যান্ত শিশুকে ।
হিন্দু ধর্মসহ নানা ধর্মে যেভাবে দেবতারা আছেন মানুষের কল্যানের জন্য তেমনি অপদেবতাও আছে । কিছু মানুষ এই অপদেবতার পূজা করে তাদের কাছ থেকে শক্তি পাওয়ার আশায়।
পোস্টটা আরও বড় লেখার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু কিছু কথা চিন্তা করে এখানেই ইতি টানলাম।