রিকভারি কি?
রিকভারি বলতে বুঝায় একটি নির্দিষ্ট বুটেবল পার্টিশনকে বুঝায়।
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি বুট হওয়ার আগে কয়েকটি নির্দিষ্ট কী এর কম্বিনেশন ব্যবহার করে
আপনি রিকভারি মোডে যেতে পারেন।
এতে বিভিন্ন ভাবে ঢুকা যায়, যেমনঃ ডিভাইস বন্ধ অবস্থায় বিভিন্ন বাটন একসাথে চেপে ধরলে এতে ঢুকা যায়।
সাধারণত Volume Down/Up + Power Button চেপে ধরে রাখলে রিকভারি মেনু আসে।
আবার বিভিন্ন কমান্ড লাইন এর সাহায্যেও বুট করা যায়।
বিভিন্ন ধরনের কাস্টম রিকভারি রয়েছে। সবচেয়ে পপুলার এবং প্রয়োজনীয় দুটি কাস্টম রিকাভারির নাম হলঃ
- CWM বা Clock work Mod Recovery
- TWRP বা TeamWIn Recovery project.
স্মার্টফোনের রিকভারিতে কাস্টম রম জিপ ফ্ল্যাশ, ফ্যাক্টরি রিসেট, Cache partition এবং Dalvik Cache ক্লিয়ার
এবং ব্যাকআপ এবং রি-স্টোর আরও অপশন থাকে।
একটু নেটে ঘাটলেই পাবেন, তাছারা ওয়ালটন এর cwm তাদের ফোরাম এ পাবেন।
স্টক এবং কাস্টম রিকভারির মধ্যে তুলনা করা যাক।
স্টক হল ফোনে যা থাকে তাই। স্টক রিকভারির ফাংশন লিমিটেড। এই স্টকের মুল কাজ হচ্ছে ফোন রিসেট করা আর সিস্টেম আপডেট করতে সহায়তা করা । যদিও এসব কাজ আপনাকে করতে হবে না, এন্ড্রয়েড নিজে নিজেই করে নিবে।
যখন আপনি সেটিংস এ ঢুকে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে বলেন তখন এন্ড্রয়েড বন্ধ হয়ে নিজে নিজে রিকভারিতে চলে যাবে, তারপর
সেখান থেকে রিসেট করে নিজে নিজে অন হয়ে যাবে। একইভাবে সিস্টেম আপডেটও।
যদিও সিস্টেম আপডেট থাকে তখন করে নিয়ে রকভারিতে ঢুকে আপডেট করে নিবে।
অবশ্য আপনি নিজেও কাজ টা করতে পারবেন, তবুও স্টক রিকভারির অনেক সীমাবদ্ধতা আছে।কাস্টম রিকভারির সাথে সাথে স্টকের তুলনা চলে না, কাস্টম রিকভারি অনেক অনেক ফিয়েচার সম্বলিত হয়।
যেমনঃ আপনি চাইলে পুরো সিস্টেমের ব্যাকাপ নিয়ে ফেলতে পারবেন, এতে পরবর্তীতে যদি এমন কিছু করেন যাতে ফোন অন হচ্ছে না, তখন রিকভারিতে ঢুকে ব্যাকাপটা রিস্টোর করে নিলেই ফোন আগের মত হয়ে যাবে।
আবার আপনি এর সাহায্যে বিভিন্ন আপডেট ও ইন্সটল করতে পারবেন। স্টক রিকভারি ‘Signed Zip’ ছাড়া ইন্সটল নেয় না।
কিন্তু কাস্টম রিকভারিতে আপনি নিজে বানিয়েও জিপ ফ্ল্যাশ করতে পারবেন।
ফ্যাক্টরি রিসেট করার ক্ষেত্রে অনেক অপশন পাবেন, ফলে আপনাকে সম্পূর্ণ ড্যাটা মুছে ফেলতে হবে না।
কাস্টম রম ইন্সটল করতে চাইলে কাস্টম রিকভারি ছাড়া পারবেন না।
এত এত অপশনের জন্য কাস্টম রিকভারি অনেক বেশি জনপ্রিয়, সব ডেভেলপারদের কাছে তো অবশ্যই।
কাস্টম রিকভারি না থাকলে কাস্টম রম, পোর্ট করা এপ, বিভিন্ন টুইক সম্ভব হত না।
ডেটা রিকভারি (Data Recovery) হলো তথ্য পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া, যা কোনও ডেটা স্টোরেজ ডিভাইস থেকে সংগ্রহণ করা তথ্য যেমন ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও, ডেটাবেস, অথবা অন্যান্য ধরনের ডেটা যেগুলি সংগ্রহণ করা থাকে যা যেকোনো কারণে হারিয়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ডেটা রিকভারি প্রক্রিয়াটি ডেটা লস প্রতিরোধ এবং ডেটা পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ডেটা লসের কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন কম্পিউটারের ক্র্যাশ, স্টোরেজ ডিভাইসের ক্ষতি, অপুরুপ ডেটা মুছে যাওয়া, ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের আক্রমণ, আপডেট বা সফটওয়্যার সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যা, এবং অন্যান্য কারণে।
ডেটা রিকভারি প্রক্রিয়া সাধারণভাবে নিম্নলিখিত উপায়ে করা হতে পারে:
1. সফটওয়্যার ব্যবহার: সফটওয়্যার টুল ব্যবহার করে লুপ্ত হওয়া ডেটা পুনরুদ্ধার করা হয়। এই সফটওয়্যার ডিলিট ফাইল, ফর্ম্যাটেড ড্রাইভ, পরিবর্তিত ফাইল সিস্টেম, এবং অন্যান্য সমস্যার সাথে সাহায্য করতে পারে।
2. হার্ডওয়্যার রিকভারি: যদি সফটওয়্যার ফেইল করে তা হওয়া থাকে তাহলে ফিজিক্যাল হার্ডওয়্যার রিকভারি সেবা সরবরাহকারী সাধারণভাবে ডেটা পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়া অসম্ভব কঠিন এবং ব্যাপার্য খরচের সাথে সম্প্রসারিত হতে পারে।
এই প্রক্রিয়াটি একটি ব্যক্তি বা কোম্পানি দ্বারা পুনরুদ্ধার করা হতে পারে, এবং এটি ডেটা লসের মাত্রার মধ্যে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে কাজ করে। তথ্য সুরক্ষা এবং ব্যাকআপ সূচনা এই ধরনের সমস্যার পূর্ববর্তী প্রতিরোধ হতে পারে, যাতে ডেটা লসের ঝুঁকি ন্যায়ে কমে আসে।