সার্ভার জিনিষ টা আসলে কি? অনেক দিন লেখি না কিছুই! আচ্ছা আসেন, একেবারে সহজে সার্ভার, হোস্টিং ব্যাপার গুলো বুঝি। এই লেখা টা পড়লে আপনার আর কোন কনফিউশন ই থাকবে না।
সার্ভার জিনিষ টা আসলে কি?
তো একটা ওয়েবসাইট আসলে একটা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন। থামেন, আমাকে বুঝায় বলতে দেন, ধরেন আপনার বাসায় একটা কম্পিউটার আছে, আপনি আমাকে রিমোট এক্সেস দিলেন যে ভাই নেন আমার পিসিটা আপনি চালান, এতে থাকা ফাইল, মুভি ইত্যাদি দেখেন। আমি আমার মোবাইল দিয়ে আপনার কম্পিউটার টা ব্রাউজ করা শুরু করলাম, সেখানের প্রোগ্রাম, মুভি, গান, লেখা ইত্যাদি দেখা, পড়া শুনা শুরু করলাম, এইটাই টেকনিক্যালী একটা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা।
এখন কিভাবে এইটা করা যায়? মানে আপনার কম্পিউটার টা আমাকে ব্যাবহার করতে দিবেন কিভাবে? বিভিন্ন এপ দিয়ে করা যায় তাই না? যেমন এনিডেস্ক বা এরকম যেকোন কিছু, তো আমার ফোন আপনার কম্পিউটার টাকে চিনবে কিভাবে? আইপি দিয়ে।
IP আইপি কি?
আইপি মানে সহজে ইন্টারনেট প্রটোকল, কঠিন কিছু না, প্রতিটা ডিভাইসের একটা করে নাম্বার ধরেন। প্রতিটা ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইসের ই একটা করে আইপি থাকে, মানে মনে করেন একটা নাম্বার। যে নাম্বার টায় আমি কল করলে আপনাকে পাবো। তো আপনার কম্পিউটার টার আইপি নাম্বারে কল দিলে আপনাকে পাবো, আবার ফেসবুকের আইপি কে কল করলে ফেসবুক রে পাব।
তো এইখানে এইযে কম্পিউটার গুলো, যেগুলা ওয়েবসাইট রে চালায়, সেগুলোকে সার্ভার বলে। আপনার মোবাইল আর একটা ওয়েব সার্ভারে তেমন কোন ইম্পর্টেন্ট পার্থক্য নাই, সিম্পলী সার্ভার গুলো শক্তিশালী কম্পিউটার, বাট ওগুলায় কিছু ফিচার কম। ওখানে তো ক্যামেরা দরকার নাই, ডিসপ্লে দরকার নাই, বা ধরেন আপনার কম্পিউটার টার মত শক্তিশালী গ্রাফিক্স কার্ড ও দরকার নাই, আবার RGB লাইট বা সুন্দর CPU টাওয়ারের দরকার নাই। কেউ দেখবে না তো, তো আমার ওখানে একটা সার্ভার চালাইতে দরকার হবে প্রচুর ইলেক্ট্রিসিটি, মাদারবোর্ড, র্যাম, প্রসেসর, আর লাগবে প্রচুর ঠান্ডা করার ক্ষমতা। কেনো? বিকজ , ঐ কম্পিউটার টা পুরা বছর অন থাকবে, কখনোই বন্ধ করা হবে না সাধারনত, মামায় তো গরম হবে অনেক, বোঝেন ই, রাইট?
তো ধরেন আমেরিকায় এরকম একটা সার্ভার বানানো হইলো। যেহেতু ফ্যান্সি লুকের দরকার নাই, একটা বেশ ঠান্ডা রুমে অনেক গুলা কম্পিউটার রেখে দেয়া হইলো একটা র্যাকের মধ্যেই, মানে কেচিং ছাড়া তাকের পর তাক সুধু একেকটা করে কম্পিউটার আর সেইটা অন আছে কিনা বোঝার জন্য হয়তো স্পেশাল কোন ডিসপ্লে, পেছনে পাওয়ার সাপ্লাই, ব্যাস, এইতো হয়ে গেলো ডাটাসেন্টার।
এইখান থেকে যখন আপনি একটা কম্পিউটার একা ভাড়া নেন, সেইটা হয় একটা ডেডিকেটেড সার্ভার, যে ঐ কম্পিউটার টা আপনি একাই ইউজ করবেন, আর কাউকে ভাগ দেবেন না।
আবার ঐ একটা কম্পিউটার টারে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ফেললে ( কম্পিউটারে ফোল্ডার বানান না? ওনেক টা ওরকম। ) সেগুলো হবে একেকটা করে ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার বা VPS ।
এখন আমি ঐ আমেরিকার কম্পিউটার টারে এক্সেস করবো কেমনে? সহজ, ঐটার ও আইপি আছে, আইপি টারে এক্সেস করতে পারলেই, মানে ঐ নাম্বারে কল করতে পারলেই এক্সেস পেয়ে যাব, যদিও মাঝখানে অনেক সিকুরিটির ঝামেলা আছে, আমরা সেগুলা নিয়ে পরে কথা কমুনি। তো এত এত নাম্বার মনে রাখা তো কঠিন, তাই নাম্বার টাকে একটা ডোমেইন নাম দিয়ে সেইভ করে ফেলা গেলে সবার জন্য ই মনে রাখা সোজা !
আপনি এখন বোঝেন একটা সার্ভার কি, রাইট? বোঝেন না???
1 Comments
Pingback: ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে যে সকল বিষয় জানতে হবে। - বেস্টআর্নআইডিয়া.কম