ওয়ার্ডপ্রেস WordPress বর্তমান সময়ের বহুল ব্যবহৃত এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। ওয়ার্ডপ্রেস WordPress এমন একটি সিএমএস যার মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট এবং ব্লগ তৈরি করা যায়। এটি ওপেনসোর্স সফটওয়ার হওয়ায় বিশ্ব দরবারে অধিক জনপ্রিয়।
ওয়ার্ডপ্রেস WordPress এর জন্মের ইতিহাসঃ
ওয়ার্ডপ্রেস WordPress এর সস্ট্রা হলেন ম্যাট মুলেনওয়েগ। তিনি ২০০৩ সালের ২৭ শে মে মাসে সর্বপ্রথম ওয়ার্ডপ্রেস প্রকাশ করেন।
ওয়ার্ডপ্রেস সর্বপ্রথম ২০০৩ সালে ম্যাট মুলেনওয়েগ ওবং মাইক লিটিল কর্তৃক বি২ ইভুলুয়েশন এর একটি ছোট প্রেজেক্ট ছিল। আর আমরা বর্তমানে যে “ওয়ার্ডপ্রেস” নামে এটাকে চিনি এটা ম্যাট মুলেনওয়েগ এর বন্ধু ক্রিস্টিন সেল্লেক ট্রিমুলেট এর পছন্দ করে দেয়া নাম।
ওয়ার্ডপ্রেসের সাফল্যের চাবিঃ
ওয়ার্ডপ্রেস এর সাফল্যের মুল চাবি হল এর আধুনিকায়ন। যুগের সাথে তাল মিলাতে ওয়ার্ডপ্রেস পায় প্রতি বছরই ওয়ার্ডপ্রেসের বড় ধরনের আপডেট নিয়ে আসে। তাছাড়া প্রতিনিয়তই ছোট ছোট আপডেট নিয়ে আসে ওয়ার্ডপ্রেস। যা এর ব্যবহারকারীদেরকে দেয় নতুনত্তের ছোঁয়া। তাছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস হল সহজ এবং নিরাপদ একটি কন্টেন্ট মেনেনেজমেন্ট সিস্টেম। ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে নিজস্ব থিম এবং প্লাগিন ডাইরেক্টরি যেখানে আছে অসংখ্য থিম এবং প্লাগিন। এটাও এর জনপ্রিয়তার একটি কারন।
ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা সমূহঃ
আসলে ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তারপরেও ওয়ার্ডপ্রেসের প্রধান কিছু সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করছিঃ
- ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেনসোর্স সিএমএস বিধায় এর জন্য কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না।
- ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস, যা অদক্ষ ব্যবহারকারীও খুব সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারে।
- ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে অগণিত থিম এবং প্লাগিন এর ফ্রি ডাইরেক্টরি, যা আপনার কাজকে করে তুলবে গতিময় এবং আরও সহজ।
- ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ব্লগসাইট, বিজনেস সাইট, ই-কমার্স সাইট, বিভিন্ন ওয়েব এপ্লিকেশন সাইট ইত্যাদি সহ যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায়।
- ওয়ার্ডপ্রেসের রয়েছে অসাধারন একটি টেক্সট এডিটর যেখানে আপনি একসাথে ভিজুয়াল এবং HTML ভিউতেই লিখতে পারবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে বিল্ট-ইন মিডিয়া আপলোডার, যার মাধ্যমে খুব সহজেই লেখার মাঝে ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি যুক্ত করতে পারবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে ইউজার ফ্রেন্ডলি নেভিগেশন সিস্টেম। যা, আপনার ওয়েবসাটকে করে তুলবে সুন্দর এবং সহজ।
- ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটটিকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সাথে যুক্ত করতে পারবেন। এতে বিশ্বের সাথে আপনার ওয়েবসাইটটি পরিচিত হবে।
- ওয়ার্ডপ্রেস একটি সম্পূর্ণ এসইও ফ্রেন্ডলি CMS, ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ওয়েবসাইট থাকবে এক ধাপ এগিয়ে।
- ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে ইউআরএল স্ট্রাকচার নিয়ন্ত্রন করার ব্যবস্থা। ফলে আপনি আপনার ইচ্ছামতো এটাকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
- ওয়ার্ডপ্রেসের সব গুন এভাবে বলা সম্ভব না। আপনি এটা ব্যবহার করলেই এটার প্রেমে পরে যাবেন নিশ্চিত।
এই হল ওয়ার্ডপ্রেস, যাকে ব্লগিং জগতের রাজা বলা হয়। বর্তমানে ব্লগিং এর কথা বলতে গেলেই ওয়ার্ডপ্রেসের নাম চলে আসে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় সাইট ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। আপনারা যেই ওয়েবসাইটে এই পোস্টটি পড়ছেন, এটিও ওয়ার্ডপ্রেস দিয়েই করা। ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা দারুন এবং আকর্ষণীয় সাইটগুলি দেখতে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শোকেস এ যেতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস শোকেস এখানে।
ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) একটি পরিচালনার সিস্টেম এবং ওয়েবসাইট নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত প্লাটফর্ম বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা ব্যবসা, ব্লগ, নিজেকে সাময়িক বা স্থায়ী ওয়েবসাইট তৈরি এবং পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়। ওয়ার্ডপ্রেস খুবই জনপ্রিয় এবং দুর্দান্তভাবে উপযুক্ত একটি সরল এবং পাওয়ারফুল ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট প্লাটফর্ম।
ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে এসে আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং এটি ব্যবসা, সবেক্ষন, ব্লগিং, ই-কমার্স, শিক্ষা, বিজ্ঞান, এবং অন্যান্য বিষয়ে নিজের সাইট নির্মাণ করতে ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং উপকারিতা নিম্নলিখিত:
1. সহজ ব্যবহার: ওয়ার্ডপ্রেস সহজভাবে ব্যবহার করা যায়, এটি একটি ব্যবহারকারী-মন্য ইন্টারফেস প্রদান করে যা নতুন ও অপেক্ষা করে শেখা সম্ভব।
2. বিস্তারিত স্বায়ত্তকরণ: ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন এবং থিম সিস্টেমের সাথে সম্পূর্ণ স্বায়ত্তকরণ সাপেক্ষে ব্যবহারকারীদের একটি বিস্তারিত স্বায়ত্তকরণ অফার করে, যাতে ওয়েবসাইটটি তাদের প্রয়োজনীয় প্রয়োজনে কাস্টমাইজ করতে পারেন।
3. ব্লগিং: ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগিং এর জন্য খুবই জনপ্রিয়, এটি ব্লগ পোস্ট এবং ব্যবহারকারী মতামতের প্রদান সহ ব্লগিং জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
4. স্থায়ী ও স্থানান্তর: ওয়ার্ডপ্রেস স্থায়ী এবং স্থানান্তর ওয়েবসাইট দুটি ধরণেই তৈরি করতে ব্যবহার করা যায়, যা ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীদের নিজেদের প্রয়োজনীয় সময় সময় সংগৃহীত এবং স্থানান্তরিত হওয়া সহজ করে।
5. প্লাগইন এবং থিম: ওয়ার্ডপ্রেস বেশ কিছু ফ্রি এবং পেইড প্লাগইন এবং থিম সরঞ্জাম প্রদান করে, যা ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় ফিচার এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন দিতে সাহায্য করে।
ওয়ার্ডপ্রেস একটি মুক্ত ওপেন সোর্স প্রজেক্ট, তাতে বিশ্বের ভাবে প্রয়োজনে পরিস্থানীয় ডেভেলপারদের দ্বারা স্বাধীনভাবে পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট নির্মাণ এবং পরিচালনা করা খুব সহজ হয় এবং আপনি কোনও পেশাদার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অথবা কোডিং জ্ঞান ছাড়াই এটি ব্যবহার করতে পারেন।