নিয়মিত ভিডিও আপলোড করছেন কিন্তু কোন আর্ন হচ্ছে না বা ভিউ বাড়ছে না তাদের জন্য ভিডিও এসইও এর বিকল্প নেই। আজ ইউটিউবেরজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যারা প্রফেশনাল ইউটিউবে কাজ করেন তারা হয়ত জানেন এসইও কি।
ইউটিউব এর হাজারো ভিডিও এর মধ্যে আপনার ভিডিও কে নিয়ে আসুন রাঙ্কিং এ। প্রতি মিনিটে ১০০ ঘন্টার বেশি ভিডিও আপলোড হয় ইউটিউব এ।তাই আপনার ভিডিও কে রাঙ্কিং এ নিয়ে আসতে আজই করে ফেলুন SEO।নিচে তার বর্ণনা করা হল-
১. সুপার-লং ভিডিও ডিসক্রিপশন :
ইউটিউব এবং গুগল ভিডিও দেখতে পারে না বুঝতেও পারে না । সে জন্য ইউটিউব কে ভিডিওর বর্ণনার উপর নির্ভর করে ভিডিও কে বুঝতে হয় । ইউটিউব ভিডিও সম্পর্কে যত ভাল বুঝতে পারবে, জানতে পারবে ততই সহজে রাঙ্ক করতে পারবে। ইউটিউব super-long tail কীওয়ার্ড কে রাঙ্কের জন্যব্যবহার করে।
যেমন কেউ যদি “Seo strategy” কীওয়ার্ড হিসেবে ব্যাবহার করে আরেকজন “Info-graphic Seo Strategy” কে কীওয়ার্ড হিসেবে ব্যাবহার করে এবং description এ ব্যাবহার করে তাহলে “ Infographic Seo Strategy” তারাতারি রাঙ্ক হবে । উদাহরন হিসেবে : এই “SEO Strategy 2014: How to Rank in Google Today” কীওয়ার্ড এ এই description ।
তাই অবশ্যই ভিডিও description বা বর্ণনা লিখতে হবে এবং description বা বর্ণনা তে কীওয়ার্ড উল্লেখ করতে হবে ।
#অন্তত ২০০ শব্দের ভিডিও description লিখতে হবে।
২. “Video Keywords” ব্যবহার করা :
ইউটিউব – এ রাঙ্কিং করা ভাল তবে ইউটিউব এবং গুগল উভয়ই এ রাঙ্কিং করতে পারলে সেটা অনেক ভাল।আপনারা যখন গুগল সার্চ দেন মাঝে মাঝে কিছু ভিডিও দেখায় আবার দেখায় না।যখন কোন কীওয়ার্ড দিয়ে ভিডিও দেখায় সেই গুলি কিছু নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড । সেই কীওয়ার্ড কে বলা হয় “Video Keywords”. যেমন এখানে cute cats এবং ankle sprain এর মধ্যে cute cats ভিডিও কীওয়ার্ড ।
ভিডিওর জন্য কোন কীওয়ার্ড নির্বাচন করার আগে সেই কীওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চ করুন। যদি সার্চ result এ ভিডিও দেখতে পান তখন সেই কীওয়ার্ড কে বিশেষ গুরত্ব দিন।
৩. Online communities থেকে ভিডিও views বাড়ানো :
online communities যেমন Quora এবং Linkedln ইত্যাদি ভিডিও views বাড়ানোর জন্য অন্যতম মাধ্যম।মানুষ সাধারণত কোন লিঙ্ক এ ক্লিক করতে চায় না। কিন্ত অন্য কেউ শেয়ার করা ভিডিও দেখে।তাই এই সাইট গুলিতে ভিডিও শেয়ার করলে তাদের ভাল লাগলে তারা শেয়ার করে।
ভিডিওর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের মাঝে শেয়ার করলে সেটা অনেক ভাল। ভিডিও সম্পর্কিত বাক্তি দ্বারা views বারলে এবং ভিডিওর কোয়ালিটি ভাল হলে ইউটিউব সেটাকে আগে রাঙ্কিং করে।
অর্থাৎ ভিডিও কে online communities তে শেয়ার করুন যাতে related views বারে যা ইউটিউব রাঙ্কিং এ সাহায্য করে তবে অবশ্যই ভাল কোয়ালিটির ভিডিও হতে হবে।
৪. Subscribing and Liking এর জন্য আহ্বান করা:
ইউটিউব এলগরিদম এ কোন backlinks ব্যবহার করে না। যা ব্যাবহার করে তা হল user experience বা যারা ভিডিও দেখে তাদের অবিজ্ঞতা। Subscribing and Liking ইউটিউব এর জন্য সবচেয়ে গুরত্বপুর্ন বিষয়।
যখন কেউ ভিডিও দেখার পর সাবস্ক্রাইব করে এত করে ইউটিউব মনে করে সেই ভিডিও টা খুবি প্রয়োজনীয় এবং সবার পছন্দ করার মতা একটা ভিডিও। ভিডিও লাইক অপেক্ষাকৃত কম গুরত্বপুর্ন কিন্তু এটাও ইউটিউব গননা করে।আপনি এই কাজ গুলি করতে পারেন ভিডিও তে সাবস্ক্রাইব এবং লাইক আহ্বান করার মধমে। ভিডিও র শেষ দিকে সাবস্ক্রাইব এর আহ্বান করতে পারেন।
অর্থাৎ মানুষ কে ভিডিও তে সাবস্ক্রাইব, লাইক, কমেন্ট করার জন্য আহ্বান করুন।
৫. Keyword-Rich Playlists তৈরি করা :
ইউটিউব এ ট্রাফিক বৃদ্ধি করার একটি অন্যতম সহজ পদ্ধতি হল ইউটিউব এর ভিডিও Playlists কে সুন্দর ভাবে সাজানো।কারন সুন্দর ভাবে সাজানো থাকলে একটা ভিডিও দেখার পর আরেকটা ভিডিও দেখার প্রতি আগ্রহ জাগে।
অর্থাৎ ভিডিও Playlists কে সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে।
আপনারা যদি অন পেজ অপটিমাইজেশন ও কীওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই আর্টিকেল পড়ুন অনপেজ অপটিমাইজেশন