ওয়াই-ফাই স্পীড কি ভাবে বাড়াবেন।
কিভাবে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগের গতি আরও বাড়িয়ে তোলা যাবে তা এই টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হলো। অনলাইনে কাজের জন্যই বেশি ব্যবহার হচ্ছে । এ জন্য ইন্টারনেটের খরচ বাঁচাতে অনেকেই বাসার ব্রডব্যান্ড সংযোগটিকে ওয়াই-ফাই করে থাকেন।
নানা কারনে এ ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি ধীর হয়ে যায়।
ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি কমার প্রথম কারণ হতে পারে একত্রে একাধিক ব্যক্তির ওই সংযোগের ইন্টারনেট ব্যবহার।
অনেক সময় বাসার আশাপাশের অনেকেই পাসওয়ার্ড জেনে যায়। ব্যবহারকারীর অগোচরে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকেন।
তাই ইন্টারনেটের গতি ধীর মনে হলে প্রথমে চেক করতে হবে অচেনা বা অজানা কারও আপনার ওয়াই-ফাই ব্যবহারের বিষয়টি।
এটি চেক করতে ওয়াই-ফাই রাউটারের ড্যাশবোর্ড প্রবেশ করে আইপিগুলো চেক করতে হবে।
এতে দেখা যাবে বর্তমানে কয়টি সংযোগ আপনার ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছে। সেখান থেকে অচেনা আইপিগুলো ব্লক করে দেওয়া যায়।
এ ছাড়া ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে স্বয়ংক্রিয় আপডেট অনেক সময় চালু থাকে। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক অ্যাপ্লিকেশন আপডেট হতে থাকে।
এতে ইন্টারনেটের গতি কমে যায়। ব্রাউজ করার সময় ওয়াই-ফাই সংযোগ ধীর মনে হয়।
তাই ওয়াই-ফাই সংযোগ স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর মনে হলে ডিভাইসটিতে কোনো সফটওয়্যার অটো আপডেট হচ্ছে কিনা তা চেক করে নিতে হবে।
রাউটারটি বাসার কোন জায়গায় অবস্থান করছে সেটির ওপরও নির্ভর করে এর গতি। তাই ওয়াই-ফাই সংযোগের গতি কম হলে সেটি এমন এক স্থানে রাখতে হবে যেখান থেকে ডিভাইসের দূরত্ব যাবে খুব বেশি মনে না হয়।
এক্ষেত্রে রাউটারটি উপরে রাখা হলে খুব ভালো ফল মিলবে। যত উপরে রাখা হবে ততো ভালো গতি পাওয়া যাবে। রাউটারটিকে উপরে রাখা হলে এর রেডিও ওয়েভগুলো সর্বোচ্চভাবে ব্রডকাস্ট করতে সক্ষম হয়। তাই সম্ভব হলে রুমের উঁচু স্থানে রাউটারটি রাখা ভালো।