ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
এক হিসেব অনুযায়ি, প্রতি মাসে প্রায় ১মিলিয়ন ওয়েবসাইট অনলাইনে যুক্ত হচ্ছে। সেখানে প্রথমেই দেখা যাচ্ছে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত কাজ ।
সেখানে কাজের চাহিদা অনুযায়ি রিপোর্ট করা এমন ১ম ৫টি কাজের লিস্ট দিচ্ছি।
- Web Programming
- Article Writing
- PHP
- HTML
- Graphics Design
মজার বিষয় হচ্ছে কাজ সবচাইতে বেশি ওয়েব প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত হলেও সারাবিশ্বে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জানা লোক গ্রাফিক ডিজাইনার কিংবা এসইও জানাদের তুলনায় অনেক কম। আর এ বিশাল কর্ম ঘাটতির সত্যতা চোখে পড়ে যখন মার্কেটপ্লেসে এ সম্পর্কিত জব অফারগুলো দেখি। একটা এসইও সম্পর্কিত জব কিংবা গ্রাফিকস সম্পর্কিত কাজের জন্য যত আবেদন জমা পড়ে ওয়েব প্রোগ্রামিং/ ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত কাজের জন্য তার তুলনায় অনেকগুন কম আবেদন জমা পড়ে। যেখানে কাজ সবচাইতে বেশি কিন্তু কাজ করার জন্য আবেদন পড়ে অনেক কম, সেখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক বেশি হবে, এটাতো আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারি।
ওয়েব ডিজাইন বলতে আসলে কি বুঝায় ?
ওয়েব ডিজাইন অনেকগুলো স্কীল ও সেটিংস এর সমষ্টি যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ইন্টারফেস ডিজাইন, অথরিং, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেসন ইত্যাদি। তাই ওয়েব ডিজাইন শিখতে অনেক কিছু সম্পর্কেই ধারণা রাখতে হয়। যদিও স্পেসালাইজেসন আসে শুধু ওয়েব ডিজাইনার নামেই। ওয়েবডিজাইন কে ওয়েবসাইট বানাবার কলা বা শিল্প বলেও অভিহিত করা হয়। কারন আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন নির্ধারণ করবে ভিজিটর ও ট্রাফিক, ডিজাইন আকর্ষণীয় হলে ট্রাফিক বাড়বে না হয় কমবে। বর্তমানে সাইবার স্পেসে শত শত মিলিয়ন ওয়েবসাইট রয়েছে যার সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে। একজন ওয়েব ডিজাইনারের দায়িত্ব থাকে পুরো ওয়েবসাইটের লে-অাউট, কালার স্কীম প্রভৃতির। ওয়েবসাইটটি শুধু দৃষ্টিনন্দন হলেই হবে না তা যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিজিটররা যেন খুব সহজে নেভিগেট করতে পারে। ওয়েবসাইট ডিজাইনারকে ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিং এর বিষয়টাও মাথায় রাখতে হয় । এমনকি সাইটের কোথায় অ্যাড বসানো যাবে তাও একজন ওয়েব ডিজাইনার সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে।একজন ওয়েব ডিজাইনারকে ওয়েব ডিজাইনের কিছু নির্দিষ্ট ফ্যাক্টর জানতে হয় যার মধ্যে রয়েছে-
- স্ক্রীন রেজ্যুলিউসন
- ইমেজ কম্প্রেসন
- ইউজেবিলিটি
- অ্যাক্সেসিবিলিটি
- ওয়েবসাইট আর্কিটেকচার
ওয়েব ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে হলে কি কম্পিউটার সায়েন্স ব্যকগ্রাউন্ড হতে হবে ?
আসলে ক্যারিয়ার হিসেবে ওয়েব ডিজাইনার হতে চাইলে তাকে যে সিএসই ব্যাকগ্রাউন্ড হতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই, এমন অনেক ডিজাইনার রয়েছেন যারা আত্ম প্রণোদিত হয়ে ডিজাইন ও প্রোগ্রামিং স্কীল শিখে এই পেশায় এসেছেন। একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার কে ডিজাইন এর পাশাপাশি টেকনোলজি নিয়েও আগ্রহী হতে হয়, তাছাড়াও ডিজিটাল মিডিয়া কোর্স ও ওয়েব প্রোগ্রামিং বিষয়েও জানা থাকা দরকার । কিছু বেসিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানাও আবশ্যক বিশেষ করে এইচটিএমএল ও সিএসএস। এছাড়াও ধারণা রাখা যেতে পারে এমন কয়েকটি বিষয় হচ্ছেঃ
- জাভা স্ক্রিপ্ট
- জেকুয়েরি
- পিএইচপি
- ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
- ইউজার ইন্টারফেস (ইউ/আই) ডিজাইন ইত্যাদি
কারা ওয়েব ডিজাইনে ভালো করছে
একজন ওয়েব ডিজাইনার কে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টিম এর অংশ হয়ে কাজ করতে হয় অথবা সে একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবেও কাজ করতে পারে, এর জন্য তার মাঝে কিছু দক্ষতার সমন্বয় ঘটাতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ-
- ভালো যোগাযোগ দক্ষতা
- কল্পনা শক্তি
- ডিজাইন টুলে পারদর্শিতা।
- নানা ধরনের ডক ফাইল( ব্রসিউর,স্লাইড, প্রিন্ট অ্যাড ইত্যাদি) কে মাল্টিমিডিয়াতে রূপান্তরিত করা।
- পাবলিশিং টুল ও ট্রাবলসুটিং সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকা।
- ব্রোকেন ও এক্সপায়ার্ড হাইপারলিঙ্ক খুঁজে বের করার দক্ষতা।
অভিজ্ঞদের মতে একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনারের নীচের বিষয়গুলো শিখে রাখা উচিত
- অ্যাডোবি ফটোশপ
- অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর
- মাইক্রোসফট ফ্রন্টপেজ
- অ্যাডোবি ড্রিমউইভার
- ডিরেক্টর, শকওয়েভ, ফ্ল্যাশ ইত্যাদি।
ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য যেসব ক্যারিয়ারের দরজা খোলা
- ওয়েব গ্রাফিক ডিজাইনার
- ওয়েব ডিজাইনার
- মাল্টিমিডিয়া/ওয়েবডিজাইনার
- ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইনার
লোকালি একজন ওয়েব ডিজাইনারের সর্বনিম্ন মাসিক আয় ২৬,০০০ টাকা
ওয়েব ডিজাইনারদের স্বপ্ন পুরনের জগত থিমফরেস্ট
থিম ফরেস্ট এমন একটি প্রফিটেবেল অনলাইন বেসড মার্কেটপ্লেস যেখানে এইচটিএমএল টেমপ্লেটস , থীমস (ওয়ার্ডপ্রেস,জুমলা,ম্যাগনেটো ইত্যাদি) বিক্রি করা হয়। থিম ফরেস্ট কিছু প্রধান ক্যাটাগরিতে ভাগ করা,যার মধ্যে রয়েছেঃ ওয়ার্ডপ্রেস, সাইট টেমপ্লেটস, মার্কেটিং, সিএম এস, ই- কমার্স, পিএসডি টেমপ্লেটস ও প্লাগ ইনস ইত্যাদি। থিম ফরেস্ট বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থিম মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ও থিম ফরেস্ট এর ব্যবহারিক জ্ঞান এর একদম প্রাথমিক জায়গায় থাকেন তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম সিএমএস সম্পর্কে জানতে হবে। সিএমেএস এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সিএমএস এর জনপ্রিয়তার পিছে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলোঃ-
- বিশাল মাপের ওয়েব ডেটা স্টোরেজ হিসেবে ডেটা সংযোজন, শেয়ার ও সংরক্ষন করতে পারে।
- যে কোন ডেটার ব্যবহার, নিয়ন্ত্রন ও চাহিদা মাফিক প্রদান করা যায়
- সহজে ডেটা সংরক্ষন ও পুনরুদ্ধার করা যায়
- ডেটা ডুপ্লিকেটিং ও ইনপুট প্রতিহত করা যায়
- ডেটা অডিট, ওয়েবসাইট অডিট, রিপোর্ট ইম্প্রুভিং করা সহজ হয়
- ওয়েবসাইটের ট্রাফিক অপ্টিমাইজ করা সহজ হয়
এছাড়াও থিম ফরেস্টে থিম এক্সসেপ্ট করানো আসলেই কঠিন, ভালো ও ইউনিক কাজ ও সঠিক গাইডলাইন ছাড়া এটা সম্ভব নয়। থিম ফরেস্টের কিছু পলিসি রয়েছে, যেমনঃ- থিম গ্রাফিক্স,থিম প্রাইসিং, থিম সাপোর্ট, থিম লাইসেন্স ইত্যাদি।
ওয়েব ডিজাইনার নাকি ওয়েব ডেভেলপার হব ?
এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আগে জানা দরকার ওয়েব ডিজাইন কিংবা ওয়েব-ডেভেলপিংয়ের মধ্যে পার্থক্য।
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েবসাইটের বাইরের দিকটা যা দেখছেন, অর্থাৎ ডিজাইন, লে-আউট, কালার সব কিছু ওয়েব ডিজাইনের মধ্যে পড়ে। আর এজন্য জানা থাকতে হয়, Photoshop, html, css, jquery, java script ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ওয়েবসাইটটির পিছনে যদি কোন অ্যাপ্লিকেশন থাকে কিংবা ওয়েবসাইটটিরে যে যে অংশটুকু কোডিংকে স্পর্শ না করে পরিবর্তন করা যায়, সেইটুকুই ওয়েবডেভেলাপ।
উদাহরণ দিলে বিষয়টি বোঝা আরও বেশি সহজ হবে। আমরা যে ফেসবুক ব্যবহার করি সেটি দিয়েই বোঝানোর চেষ্টা করি। ফেসবুকের কালার, লেআউট যা দেখতেছি, সেগুলোকে মিলিয়ে বলা যায় ওয়েবডিজাইন। কিন্তু সেখানে রেজিঃ করা, তারপর সেই আইডি দিয়ে লগইন করা, সেখানে যেকোন পোস্ট করছেন নিজের ইচ্ছামত স্ট্যাটাস দিচ্ছেন , কিভাবে ছবি আপলোড করছেন, এ কাজটি হচ্ছে ওয়েবডেভেলপিং এর কারনে। ওয়েবডেভেলপিং কাজ করার জন্য জানা থাকতে হবে, php, mysql
পার্থক্যটা জেনে গেলাম, এবার চলে আসি আসল প্রশ্নে অর্থাৎ আমি কোনটা হব? ওয়েবডিজাইনার নাকি ওয়েবডেভেলপার?
যেকোন ওয়েবডেভেলপারকে আগে অবশ্যই ওয়েব ডিজাইনটা ভালভাবে জানা থাকতে হয়। কিন্তু একজন ওয়েব ডিজাইনারের ওয়েব ডেভেলপিংয়ের বিষয়ে কোন জ্ঞান থাকার দরকার নাই। অর্থাৎ ওয়েব ডিজাইনাররাই পরবর্তীতে তাদের ক্যারিয়ারের উপরের ধাপে যাওয়ার জন্য ওয়েব ডেভেলপিংটা শিখে বা শিখতে পারে।
কতদিন লাগবে, যদি ওয়েব ডিজাইনার কিংবা ওয়েবডেভেলপার হতে চাই?
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি নির্ভর করে ৩টি বিষয়ের উপর।
- নিজের পরিশ্রমের পরিমান।
- সঠিক গাইডলাইন
- প্রশিক্ষণের মাধ্যম।
যতবেশি পরিশ্রম করবেন তত দ্রুত শিখতে পারবেন ওয়েব ডিজাইনিং সম্পর্কিত কাজ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫-৭ ঘন্টা এ কাজে দেওয়ার জন্য মনমানসিকতা না থাকলে এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার আশাটা ছেড়ে দেওয়া উচিত। যদি আরও বেশি দিতে পারেন, তাহলে অবশ্যই অন্যদের চাইতে বেশি দ্রুত শিখতে পারবেন। তবে এটা বলে নেওয়া উচিত, ওয়েবডিজাইন কিংবা ওয়েবডেভেলপিং শিখার শেষ বলতে কিছু নাই। এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়লে সারাজীবন ধরেই শিখতে হবে। তবে কাজ শুরুর জন্য যেটুকু শিখা দরকার সেটি আশা করা যায়, ৪-৬ মাসের মধ্যেই শিখা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে সময়টা বেড়ে যেতে পারে শিখছেন কিভাবে?
যদি এমন হয় আপনি অনলাইন হতে নিজে নিজে শিখতে চাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে হয়ত সময়টা অনেক বেড়ে যাবে। কারও তত্ত্বাবধানে শিখা উচিত। অনেকেই রয়েছে, যারা নিজেরা কাজ করেননা, শুধু প্রশিক্ষণ দেন, তাদের কাছেও সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শেখার জন্য এমন কাউকে বেছে নিন যার নিজের এধরনের প্রচুর কাজ করার বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। কোন ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে শিখতে গেলেও তাদের প্রশিক্ষকদের মধ্যে এ গুণটি রয়েছে কিনা সেটি জেনে নিন। সঠিক ব্যক্তির কাছ থেকে সঠিক গাইডলাইন পেয়ে এবং নিজের পরিশ্রম করলে অবশ্যই একজন ভালমানের ওয়েবডেভেলপার হতে পারবেন। তবে এ ৩টি বিষয় থাকার পরও যারা ব্যর্থ হয়েছেন তাদের ব্যর্থতার কারণ খুজতে গিয়ে ৩টি বিষয় খুজে পেয়েছি।
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ ব্যর্থতার ৩টি কারণ
১) কোডের জটিলতাকে ভয় করা
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সবসময়ের জটিল কোডের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মনপ্রাণ দিয়ে আশা করবেন। ওয়েবডেভেলপিং করতে গিয়ে যতবেশি কোডের জটিলতার সম্মুখীন হবেন, ততবেশি নিজের ভিতর কনফিডেন্ট তৈরি হবে। ওয়েবডেভেলপারদের মনে রাখা দরকার, একজন ওয়েবডেভেলপারদের কাছে অসম্ভব বলতে কিছু নাই। এ বিশ্বাসটা্ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজের মধ্যে তৈরি রাখতে হবে। যেটুকু শিখেছি, এর বাইরে কিছু দেখলেই পারা যাবেনা, এ বিশ্বাসটা একজন ওয়েবডেভেলপারের ব্যর্থ ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত বেশি দায়ি।
২) খুব বেশি অন্যের উপর নির্ভরশীল
একজন ওয়েবডেভেলপারকে সারাজীবন ধরেই শিখতে হয়, সেটি আগেই বলেছিলাম। আপনি কারও কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটা পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারেন। কিন্তু বাকি পথটা একা একাই হাটতে হবে। আর সেজন্য প্রচুর পরিমাণ গুগল থেকে সার্চ করে নিজে নিজে কাজ শেখার অভ্যাসটা শুরু থেকেই করে নিতে হবে।
৩) রিয়েল লাইফ প্রজেক্ট না করা
যত শিখবেন তার চাইতে বেশি প্রজেক্ট করার চেষ্টা করে যেতে হবে। যতবেশি প্রজেক্ট করবেন, ততবেশি কোডিংয়ের জটিলতার সম্মুখীন হবেন। আর এবিষয়টি আপনাকে ভালমানের ওয়েবডেভেলপার হিসেবে প্রস্তুত করবে। সুতরাং কোডিংয়ের জটিলতা আছে এরকম কাজ করার চেষ্টা করুন প্রচুর পরিমানে। কাছের কারও ওয়েবসাইট ফ্রি ডেভেলপিং করে কিংবা নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ডেভেলপিং করেও রিয়েল লাইফ প্রজেক্টের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
৪) নিজের কাজের পোর্টফোলিও না থাকা
কমপক্ষে ৫টি কাজের অভিজ্ঞতা থাকা ছাড়া আসলে চাকুরী খুঁজলে কিংবা আউটসোর্সিং করতে গেলে কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনাটাই বেশি। এটা শুধু ওয়েব ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডেভেলপিংয়ের ক্ষেত্রে না। যেকোন সেক্টরের জন্য একই কথা। এ কাজটি আমরা করিনা দেখেই দক্ষ হওয়ার পরও বেশিরভাগ সময়ই বেকার বসে থাকি। শেখার শুরুর দিক থেকেই এদিকটাতেও সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নজর দেওয়া উচিত। ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে একই ধরনের না করে আলাদা আলাদা ধরনের এবং জটিল কোডিংসহ ওয়েবডেভেলপ করে সেগুলোকে কাজের পোর্টফলিও হিসেবে প্রস্তুত করুন। আশা করি পুরো পোস্টে ভাল কিছু গাইডলাইন দিতে পেরেছি। পুরোটি যদি অনুসরণ না করে অল্প কিছু বাদ দিয়েও অনুসরণ করেন, তাহলে ও সেটি আপনার জীবনের আরো একটি ব্যর্থ উদ্যোগ হয়েই থাকবে। সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ওয়েবডেভেলপিং হচ্ছে ১০০% নিশ্চিত ক্যারিয়ার, যেখানে আয়ের পরিমাণটাও অনেক বেশি।
একজন ওয়েব ডিজাইনার এর আয় কি রকম হতে পারে ?
একজন ওয়েব ডিজাইনার ওয়েবসাইট লে-আউট তৈরি, থিম তৈরি, এবং কোডিং করে থাকেন। এসইও বিষয়ক জ্ঞানগুলোও থাকা প্রয়োজন একজন ওয়েবডিজাইনারের। কারণ ওয়েবসাইটকে এসইও ফ্রেন্ডলী করে ডিজাইন করা একজন ওয়েবডিজাইনের দায়িত্ব। এসব বিষয়ে দক্ষ একজন ওয়েবডিজাইনারের বেতন সারাবিশ্বের যেকোন জায়গাতে কিংবা মার্কেটপ্লেসগুলোতে ঘন্টা প্রতি ২০ ডলার হতে ৫০ ডলার হয়ে থাকে, যেখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন হয়ে থাকে ১০-২০ ডলার/প্রতি ঘন্টা। এ রেট দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আর ও অনেক বেশিও হয়ে থাকে। যেমনঃ একজন ট্যালেন্ট এবং অনেক পরিশ্রমী ওয়েবডেভেলপারের বেতন বাৎসরিক ১০০,০০০ ডলার হওয়াটা অতি স্বাভাবিক ঘটনা।
ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে কি করতে হবে ?
এজন্য প্রয়োজন প্রচুর ধৈয্য, পরিশ্রম করার মনমানসিকতা, সঠিক গাইডলাইনসহ প্রশিক্ষণ। আর নিশ্চিত সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটু কষ্ট করতে, সাধনা করতে সবারই প্রস্তুত থাকার মনমানসিকতা না থাকলেতো জীবনটাকে সুখের করা সম্ভবনা। ২০হাজার টাকার চাকুরীর জন্য যদি জীবনের ৩০টি বছর পরিশ্রম করতে পারেন, তাহলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৭০-৮০ হাজার টাকার আয়ের জন্য মাত্র ৬মাস ভালভাবে পরিশ্রম করবেননা কেন? কিংবা এ পরিমাণ আয়ের জন্য এটুকু কষ্ট করতে যদি না চান, তাহলে স্বপ্নটা মনের মধ্যেই থেকে যাবে। আমরা অন্যব্যক্তির আউটসোর্সিংয়ের আয় দেখে লোভ কিংবা আফসোস করি। আমাদের উচিত তাদের আয়কে লোভ না করে তারা কি পরিমাণ পরিশ্রম, কিংবা ত্যাগ স্বীকার করেছে এটুকু পর্যায়ে আসার জন্য, সেই বিষয়টাকে লোভ করা। টাকার পিছনে না ছুটে, যোগ্যতা তৈরির জন্য দৌড়াতে হবে।