ভিপিএন VPN কি? এটার কাজ কি? VPN এর সুবিধা অসুবিধা কি?
ভিপিএন VPN কি?
VPN শব্দটা মাত্র ৩ টি শব্দের সংমিশ্রণ হলেও এর একটি পূর্ণাঙ্গ রুপ আছে।V= Virtual, P= Private, N= Network, অর্থাৎ VPN মানে হচ্ছে Virtual Private Network।সোজা বংলায় যদি বলি তবে VPN হচ্ছে এমন একটা ব্যাবস্থা যার মাধ্যমে আপনি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট জগৎ নিজের পরিচয় আড়াল করে চলতে পারবেন।
এটার কাজ কি?
ধরেন আপনি আপনার পাশের বাসার কোন একটা সুন্দরী মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য তার বাসায় যেতে চান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি নিজে কোনভাবেই নিজের নাম পরিচয় ব্যাবহার করে তার বাসায় যেতে পারবেননা কারন ঐ বাসার দারোয়ান আপনাকে চিনে ফেলবে।
তখন আপনি একটা বুদ্ধি করে একটা বোরকা পরে মেয়ে সেজে ঐ বাসায় কোন বাধা ছাড়াই চলে গেলেন।
এখন উপরের উদাহরনে বোরকা হচ্ছে VPN কারন এটা আপনার নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখে আপনার কাজে সহায়তা করেছে।
*VPN দিয়ে অাপনি অাপনার অাইপি চেন্জ করে অন্য একটা আইপি দিয়ে ইন্টারনেটে দিব্যি ঘুরতে পারবেন।
যার ফলে কেউ আপনার প্রকৃত পরিচয় বা প্রকৃত তথ্য পাবেনা।
যে সকল ওয়েবসাইটে আপনার প্রবেশে বাধা সেগুলি VPN ব্যাবহার করে সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন!
এই যে “হ্যাকার” যারাকিনা সাইবার জগৎ এর নেতা তারাও সবাই নিজেদের আড়াল করার জন্য VPN ব্যাবহার করে!
কাল্পনিক ‘Tunnel’ যার মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান প্রদান করা যায়। এই ‘Tunnel’ বা বাস্তবে সুড়ঙ্গের কোনো সংযুক্ত নেই, কিন্তু এটি একটি কাল্পনিক প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বোঝানো হয়েছে।যেটি দিয়ে ইন্টারনেটে নিরাপদে তথ্য পাঠানো যায়। ইন্টারনেট মূলত উন্মুক্ত তথ্য আদান প্রদানের জায়গা। যেহেতু এটি পাবলিক নেটওয়ার্ক অর্থাৎ, পৃথিবীর সবাই সংযুক্ত তাই এখানে সরাসরি তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাবার একটা ঝুঁকি আছে। এই ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়ার নিরাপদ পদ্ধতিই হল VPN। এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারী এবং প্রাইভেট নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করার জন্য ইন্টারনেটে একটি কাল্পনিক সুড়ঙ্গ তৈরী হয়।
VPN কেমন?
এটা মূলত একটে সফটওয়ার যা আপনি মোবাইল বা কম্পিউটারে ব্যাবহার করতে পারবেন। সফটওয়ারটির মাধ্যমে আপনি বাংলাদেশে বসে আমেরিকা সিলেক্ট করে গুগলকে বোকা বানাতে পারবেন!
অর্থাৎ গুগল তথা পুরো ইন্টারনেট জগৎ জানবে আপনি আমেরিকা থেকে নেট চালাচ্ছেনন আসলে কিন্তু আপনি বাংলাদেশে! কি অদ্ভুত তাইনা!
এক এক কম্পানির vpn এক এক নামে পরিচিত।
VPN-এর সুবিধাগুলো কি কি?
১। VPN ব্যবহার করলে আপনার অবস্থান কেউ ট্র্যাক করতে পারবে না।
2। VPN ব্যবহার করার অর্থ হল আপনি ডাটা নিরাপদে আদান প্রদান করতে পারছেন।
৩। IP address (Internet Protocol address) হাইড করে রাখে। অর্থাৎ, হ্যাকারদের কবলে পড়ার সম্ভাবনা নাই।
৫। VPN দিয়ে আপনি আইএসপি তে ব্লক করা সাইট ভিজিট করতে পারবেন। যেমন ধরেন, যদি ইউটিউব আমাদের দেশে বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলেও আপনি VPN ব্যবহার করে ইউটিউবে ঢুকতে পারবেন।
৬। এটি নিরাপদ যোগাযোগ এবং ডাটা encrypt করার একটি পদ্ধতি হিসেবে কাজে লাগে। মানে VPN আপনার মেশিনকে একটি ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে এবং আপনার পাঠানো সব data দ্রুততার সঙ্গে encrypt করে ফেলে অর্থাৎ public domain থেকে লুকিয়ে রাখে এবং এটা আপনার browsing history-র কোনো ট্র্যাক রাখে না। কাজেই আপনি অনলাইনে পুরোপুরি নিরাপদ।
ভিপিএন ব্যবহারে অসুবিধা কি?
তবে এত সুবিধার পরেও VPN-এর কিছু অসুবিধা রয়েছে।
এর প্রধান অসুবিধা হচ্ছে এটি আপনাকে টরেন্ট ফাইল সুবিধা দেবে না এবং এটি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট নির্ভর। VPN সার্ভিস ফ্রি কিংবা প্রিমিয়াম হতে পারে। যদিও
অধিকাংশ VPN সার্ভিসের ক্ষেত্রেই টাকা গুণতে হয়। তবে কিছু জনপ্রিয় ফ্রি VPN সার্ভিস রয়েছে, যা দিয়ে আপনি প্রিমিয়ামের কাছাকাছি সুবিধা পাবেন।
যেমনঃ ProXPN, Hotspot Shield, Cybershost, SecurityKiss, SpotFlux ইত্যাদি।
Share the post "ভিপিএন VPN কি? এটার কাজ কি? VPN এর সুবিধা অসুবিধা কি?"