সার্ভার কী?
সহজ কথায় সার্ভার হলো একটি কম্পিউটার যেটি অন্য কোন ডিভাইস বা কম্পিউটার থেকে রিকোয়েস্ট গ্রহণ করে এবং সেই অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করে ।
ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভার কে রিকুয়েস্ট দেয়া এবং সেটার রেসপন্স দেয়ার মতো কাজ হয়ে গেছে এরই মধ্যে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সার্ভার জিনিসটা আবার কি?
ধরেন গেমে আমরা সিংগাপুর সার্ভারে আছি। তো আমি যখন গেমে কোন একটা বাটনে প্রেস করবো ( ফায়ার বাটনে প্রেস করলাম) তখন সেই কমান্ডটা সিগন্যাল হিসাবে সার্ভারে যাবে আবার সার্ভার থেকে আমার ফোনে আসবে। তারপর ফায়ার কমান্ডটা এক্সিকিউট হবে। এইযে সিগনাল সার্ভারে যাওয়া আসার ব্যাপারটা এই যাওয়া আসাতে সে যতটুকু টাইম নেয় সেটাকেই আমরা বলি পিং।
ডোমেইন এবং হোস্টিং সমস্যা সমাধান
আর সেই পিং ডিপেন্ড করবে তিনটা মেজর বিষয়ের উপর :
- ফোনের নেট স্পিড
- ফোন থেকে সার্ভার কত দূরে আছে সেটার উপর
- সার্ভারটার ধারণক্ষমতা ও কর্মদক্ষতার উপর।
Region কী ?
গেমগুলায় যেসব রিজিওন দেয়া থাকে প্রত্যেকটাতেই একটা করে সেন্ট্রাল সার্ভার থাকে। মানে একটা সার্ভার বসানোর পর যেসব এরিয়াতে সেটা অ্যাভারেজে ভালো পিং দিবে সেই এরিয়াগুলা নিয়েই একটা রিজিওন ঠিক করা হয়।
এখন মূল কথা হচ্ছে আমাদের Indian রিজিওন/সার্ভারে এতো অসঙ্গতি ও সমস্যা কেন?
1. প্রধান কারণ হচ্ছে দূরত্ব যেটা সিঙ্গাপুর/মালয়শিয়া থেকেও বেশী । Garenar ইন্ডিয়ান সার্ভার মুম্বাইয়ে। Submarine Cable Map টা দেখলেই দূরত্বটা বুঝতে পারবেন(এটা নিয়ে বিষদ আলোচনা করার প্রয়োজন নেই আপাতত)
2. আরেকটি কারণ হচ্ছে সার্ভারের কর্মদক্ষতা। আমাদের সার্ভারে অধিক সংখ্যক ইউজার( ৭০ মিলিয়নেরও অধিক) । যার জন্যই প্রায়ই আমরা সার্ভারে বিভিন্ন সমস্যা ফেস করি। যখন সিস্টেম নর্মালি চলতে পারে না এর মানেই হচ্ছে সার্ভার লোড নিতে পারতেছে না।
3. সর্বশেষ কথায় আসলে এটাই বলবো আমাদের আন্দোলন হওয়া উচিত আমাদের সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। আর পাকিস্তান সার্ভারে যাওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। এর আগের একটা ভুলের মাশুল আমাদের এখনও দিতে হচ্ছে।
আমাদের দাবিগুলো হওয়া উচিত :
- পিং এবং সার্ভার প্রবলেমের স্থায়ী সমাধান করা।
- অফিসিয়াল টূর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশীদের সমান অধিকার দেওয়া।
- বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলি ও উৎসবগুলিতে ইভেন্ট দেওয়া।
আর Garenar পার্টনার প্রোগ্রামে থাকা আমাদের দেশী ভাইদের আমি এটাই বলবো বাংলাদেশের অধিকারগুলো নিশ্চিত করার দায়িত্ব তোমাদের মধ্যেই বেশী পরে । কারণ আমরা সারাদিন চিল্লাচিল্লি করলে যা হবে তোমাদের মুখের এক কথায় তা হবে।
দ্রত এর সমাধান আসুক এই কামনাই করি। ধন্যবাদ সবাইকে Bangla Unity এর সঙ্গে থাকার জন্য।
সার্ভার সবসময় চালু থাকে কেন?
সার্ভার সব সময় চালু থাকার কারণ খুব সহজ। চিন্তা করুন আপনি হয়তো রাত ২ টার সময় ফেসবুকে ঢুকবেন তখন যদি ফেসবুক সার্ভার অফ রাখে তাহলে তো আর আপনি ঢুকতে পারবেন না। কোন সময় কে সার্ভারের রিকুয়েস্ট পাঠাবে তার তো আর ঠিক ঠিকানা নেই সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই বলা যায় সার্ভার সবসময় ওপেন রাখা হয়। তবে কিছু কিছু সার্ভার এর ম্যানেজমেন্ট টিম আবার খরচ কমাতে ( বিদ্যুৎ খরচ সহ আনুষাঙ্গিক খরচ ) সবসময় অন রাখেনা।
তারা যেটা করে সেটা হচ্ছে যদি কখনো সার্ভারে দেখা যায় বেশ কয়েকঘন্টা ধরে কোন রিকুয়েস্ট নেই অর্থাৎ সার্ভার অকাজে বসে আছে তখন সেটা অটোমেটিক অফ হয়ে যায়। আবার যখন কোন ক্লায়েন্ট রিকুয়েস্ট পাঠায় তখন সেই রিকুয়েস্ট অনুসারে সার্ভার চালু হয় এবং এর পরে ডেটা রেসপন্স দেয়। তবে সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট এর কাছে ব্যাপারটা বিরক্তিকর হয় কারণ সময় বেশি লাগে। তাই এধরনের সার্ভিস খুব কমই দেয়া হয়।
এখন সার্ভার নিয়ে অনেক তো জানা হল কিন্তু দুনিয়ায় সার্ভারের অভাব নেই। দেখে আসি চলুন কি কি ধরনের সার্ভার আছে এই জগতে।