প্রতি মাসে 9,000,000 অনলাইন ব্যবহারকারীরা বাংলাদেশে গুগল অনুসন্ধান করছেন। এটি পণ্য বা সেবা হতে পারে।
যদি আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবাগুলি 9,000,000 ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রদর্শন করতে চান, তবে আপনাকে
SEO এর সাহায্য নিতে হবে, যা আমরা আপনাকে সল্প মূল্যে দিচ্ছি।
একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের ভাল অবস্থানে বা প্রথম পাতায় নিয়ে
আসার জন্য এবং সার্চ ইঞ্জিন হতে ভাল র্যাংকিং পাওয়ার জন্য বা সার্চ ইঞ্জিন হতে ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার জন্য
মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) করা হয়। একজন লোক যখন তার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করবে তখন সার্চ ইঞ্জিন হতে তার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বাড়তে থাকবে।
কারণ Search Engine Optimization করার ফলে সার্চ ইঞ্জিন তার ব্লগের কনটেন্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পাবে।
কাজেই যে কোন ওয়েবসাইট-কে সফল করতে হলে বা ওয়েবসাইট হতে আয় করার জন্য
প্রতিনিয়তই সঠিকভাবে তার ওয়েবসাইটটিকে Search Engine Optimization করতে হবে।
SEO হচ্ছে মূলত দুই প্রকারের।
যথাঃ
০১. অর্গানিক এসইও
০২. পেইড এসইও।
অর্গানিক এসইও আবার দুই ধরনের।
একটি হচ্ছে On Page SEO এবং অন্যটি হচ্ছে Off Page SEO.
১। সোশ্যাল বুকমার্কিং করাঃ এই ক্ষেত্রে অনেকেরই প্রথম চয়েজ থাকে সোশ্যাল বুকমার্কিং করা ।
কিন্তু সোশ্যাল বুকমার্কিং এর প্রধান খারাপ দিক বলে কি কিছু আছে ? হুম এখানেই কথা ।
এখানে কেউ বলে থাকে যে সোশ্যাল বুকমার্কিং করলে সহজেই ইনডেক্স হয়ে যায় । কিন্তু সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইট
গুলো বেশিরভাগ ই কিছু দিন পর পর নাই হয়ে যায় । এখানে কি সমস্যা হতে পারে ?
আপনি অনেক সময় নস্ট করে সোশিয়াল বুকমারকিং করলেন ।
কিন্তু দেখা গেল ১ সপ্তাহ পড়ে এর বেশিরভাগ ই ব্রোকেন লিংক হয়ে গেল অর্থাৎ নেই হয়ে গেল । তাহলে এত কস্ট করে যে
আপনি সময় নস্ট করে করলেন তার কি ফল ?
অনেকেই বলে যে এতে করে যেগুলো থেকে যাবে সেগুলোই আপনার জন্য যথেষ্ট ? আসলেই কি তাই ? এবার আরেকটি মেথড যেহেতু সোশ্যাল বুকমারকিং সাইট গুলোতে ব্রোকেন লিংক সমস্যা তাই
প্রথমে রিলেভেন্ট ব্লগ কমেন্ট কেমন সহায়তা দিতে পারে ? এখানে প্রথম যেই কথা আসে তা হল রিলেটেড ব্লগ কমেন্ট এ আপনি প্রথম
যেই সুবিধা পাবেন তা হল ব্লগ টি হঠাৎ করে গায়েব হয়ে যাবে না ফলে আপনি যদি একটি লিংক ও বিল্ড করেন সেটিও থাকবে ।
এটিই সবচেয়ে বড় সুবিধা । কিন্তু সমস্যা ? হুম সমস্যা তো থাকবেই ।
প্রথম সমস্যা হলঃ বর্তমানে প্রচুর পরিমান স্পাম কমেন্ট এর কারনে কমেন্ট ব্যাকলিংক করা মোটামুটি বেশ কঠিন হয়ে গিয়েছে । তাহলে কি করা উচিত ?
২। লিঙ্ক আউটরিচঃ এটি অনেকটা old school এর মত কিন্তু এখনো অনেক শক্তিশালি।
এটি করতে এমন ওয়েবসাইট বের করুন যা আপনার ওয়েবসাইটের সাথে প্রাসঙ্গিক, এবং তাদের সাইট থেকে তাদের যোগাযোগ এর তথ্য সংগ্রহ করুন। তাদেরকে কল করুন বা ইমেইল করে ভদ্রভাবে লিঙ্ক এর জন্য বলুন। এটা ভালো কাজ করে যদি তাদের
ব্যবসা আপনার ব্যবসা থেকে কিছুটা আলাদা হয় কিন্তু একই পাঠক শেয়ার করা যায়।
৩। ভাল কন্টেন্ট তৈরি করতে হবেঃ সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদমের সাথে সব কিছু পরিবর্তনের পরও সার্চ ইঞ্জিনের সাথে সব চেয়ে বড় প্রভাব রয়েছে ইনবাউন্ড SEO লিঙ্কে। অপরদিকে লিঙ্ক অর্জনের অন্য পদ্ধতিগুলো পরিবর্তিত হয়েছে।
কোন উঁচু মানের প্রাসঙ্গিক ওয়েব সাইট থেকে লিঙ্ক পাওয়া শুধু আপনার SEO এর সাহায্যে সম্ভব হবেনা।
এর সাথে দরকার হবে রেফারেল ট্রাফিক, যা আরো বেশি বিক্রি ও ব্র্যান্ড এর পরিচিতি বাড়াবে।
অবিশ্বাস্য কন্টেন্ট তৈরি যা মানুষ শেয়ার করতে চাইবে তা এখনও লিঙ্ক আয়ের প্রধান উপায় আছে।
৪।সাইটের এসইও অডিট রিপোর্টঃ কোন একটা সাইটের এসইও’র কাজ শুরু করার আগে প্রত্যেকটা বিষয় পুংখানুপুঙ্খ রূপে এনালাইসিস করতে হয়।
৫। SEO সাইট ম্যাপঃ গত কয়েক বছর ধরে আমরা গুগল এনালিটিক ও অন্যান্য টুল থেকে অধিকাংশ
কীওয়ার্ড হারিয়ে ফেলেছি। এর জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে SEO এর পুরণো সিস্টেম থেকে বেরিয়ে এসে শ্রোতাকে আকর্ষিত করার
নতুন পদ্ধতি বের করা। এর জন্য আমাদের অবশ্যই নতুন কী-ওয়ার্ডে মনযোগী হতে হবে। নতুন পদ্ধতিতে মার্কেটারদের প্রতিবেশি করা, এবং বের করা কোথায় SEO দিয়ে আমাদের মার্কেটিং সফল হচ্ছে এবং কীভাবে একে আরো ভালো করে তোলা যায়।
বাজে কন্টেন্টে কী-ওয়ার্ডের গাদাগাদি করে একে রেঙ্কে রাখার দিন অনেক আগেই ফুরিয়েছে।
এখন আপনার কন্টেন্ট এর জন্য জরুরী এর টার্গেট করা ব্যাক্তিরা, কীওয়ার্ড হতে হবে কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক।
এজন্যই বলা হয় কন্টেন্ট ও SEO একে অন্যের সাথে বাঁধা।