বাজারে প্রিন্টারের দাপটে এখন ইপসন এগিয়ে। থাকবেনা কেন? কার্টিজ কিনতে কিনতে আর রিফিল করতে করতে মানুষ এখন ক্লান্ত। চাই কালির ড্রাম মানে CISS.সবার চাহিদা কালি একবার ভরবো। 5-10 পয়সায় প্রিন্ট খরচ নামিয়ে আনবো! খরচের বিবেচনায় CISS এর কোন বিকল্প নেই । তবে CISS গুলোতে কিছু কমন সমস্যা সবাই ফেইস করেন, আজ এগুলোর সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো।
চিত্রঃ CISS সিস্টেম (প্রচলিত ভাষায়ঃ কালির ড্রাম)
সমস্য ১: Ink cartridges cannot be recognized!
CISS ব্যবহারকারীদের নিত্য সমস্যা। কার্টিজ চিনতে পারছেনা প্রিন্টার। সমাধান হতে পারে দুটি-
১. প্রথমে কার্টিজ গুলো প্রিন্টার থেকে খুলে চেক করুন এর টার্মিনালগুলোতে কোন কালি লেগে আছে নাকি। বেশীরভাগ সময় এই সমস্যা হয় কার্টিজে বা প্রিন্টারের জ্যাকগুলোতে কালি লেগে থাকার কারণে। কালি লেগে থাকলে স্যাভলন বা থিনার দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। (ছবির তীর চিহ্নিত জায়গাগুলো)
২. এতেও সমস্যার সমাধান না হলে কার্টিজ রিসেট দিন। (প্রক্রিয়া নিচে জানানো হয়েছে)
সমস্য ২: কালির লেভেল ফুরিয়ে গেছে
একটি প্রিন্টারের কালো কালি শেষ হয়ে গেলে নিচের মত ছবি পাবেন (কালোর পাশে ক্রস)
এছাড়া নিচের ছবিতে আমরা একটি Epson R2880 প্রিন্টারের কালির বিভিন্ন লেভেল দেখছি-
কালির লেভেল যাইহোক, একে ফুল করতে গেলে আপনাকে CISS ্এর কার্টিজ রিসেট দিতে হবে।
যেভাবে কাটিজ রিসেট দেবেনঃ
আপনি হয়তো লক্ষ্য করছেন প্রতিটি CISS এর কার্টিজে একটি রিসেট বাটন দেয়া থাকে।
প্রথমে আপনাকে প্রিন্টারের মেইনটেইনেন্স বাটনটি চাপতে হবে। তাহলে কার্টিজটি মাঝখানে চলে আসবে।
এরপর রিসেট বাটনটি 4-5 সেকেন্ড চেপে ধরে থাকলে কার্টিজ রিসেট হয়ে যায়। রিসেট করে আপনি কালির লেভেল আর Ink cartridge cannot be recognized! এই দুই সমস্যারই সমাধান পাবেন।
সমস্য ৩: কালির টিউবে বাতাস ঢুকে গেছে
CISS প্রিন্টারের কালির টিউবে বাতাস জমে। বেশী বাতাস জমলে কার্টিজ ঠিকমত কালি পায়না। বাতাস বের করে স্বাভাবিক ফ্লো বজায় রাখতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
প্রথমে কার্টিজটিকে প্রিন্টার থেকে বের করে নরম কোন কাপড়/পেপারের উপর রাখুন।
প্রত্যেক রঙ্গের কার্টিজের উপর রাবারের খাপ থাকে। নজেল প্লাস বা শক্ত টিমটা দিয়ে টেনে তা খুলে ফেলুন।
এবার একটি সিরিঞ্জ নিয়ে এর মুখে শক্ত করে লাগিয়ে সিরিঞ্জের পিস্টনে টান দিন। বাতাস বেরিয়ে আসবে। কালি সিরিঞ্জে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
সমস্য ৪: সার্ভিস লাইফ শেষ হয়ে গেছে
কিছু কিছু ইপসন প্রিন্টারে সার্ভিস লাইফ দেয়া থাকে। নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রিন্ট শেষে প্রিন্টার অটোমেটিক বণ্ধ হয়ে যায়, সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হয়। ওরা 300-500 টাকার বিনিময়ে প্রিন্টারকে রিসেট করে দেয়। এই টাকা খরচ না করে বাসায় বসেও আপনি নিজেই রিসেট দিতে পারেন SSC টুল ব্যবহার করে। যারা Epson T13 ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই টুল খুব একটা লাগবেনা, কারণ 32,000 (বত্রিশ হাজার) পেজ প্রিন্ট দেবার পর এর লাইফ শেষ হয়, এত পেজ প্রিন্ট দেয়া সহজ কথা নয়।
লিংক SSC Tool (967 KB মাত্র)
তবে এই টুলটি সব মডেল সাপোর্ট করেনা।
বাংলাদেশে সবাই মূলত Epson T13 প্রিন্টারটি ব্যবহার করেন কারণ এর দাম CISS সহ 5,000 টাকার মধ্যে পুষিয়ে যায়। এই প্রিন্টারের সার্ভিস লাইফ রিপেয়ারের জন্য আলাদা টুল ব্যবহার করতে হয়।
কালি ও পেপার ব্যবহার
সাধারণ প্রিন্টার দিয়েও আপনি অসাধারণ প্রিন্ট করতে পারেন ভাল মানের কালি আর পেপার ব্যবহার করে। আপনি যদি ইপসন T13 ব্যবহার করেন তো অনায়াসেই ভাল মানের ছবি প্রিন্ট করতে পারবেন এই প্রিন্টার দিয়ে। কাগজ কেনার সময় 230 গ্রামের উপরের ভাল ফটোপেপার যেমনঃ ”ফাইনপিক্সেল” বা ”ফুল কালার” ব্রান্ডের কিনুন। আর ডকুমেন্ট প্রিন্টের জন্য ডাবল এ সবচেয়ে ভাল। তবে ডাবল এ এর দাম অনেক বেশী হওয়ায় বসুন্ধরা ৮০ গ্রাম ব্যবহার করতে পারেন।
কালো কালি হিসাবে সবসময় Ep-Dye কালি ব্যবহার করবেন। অন্যন্য রঙ্গের জন্য ইপসনের ফটোকালি কোন ছবির কাচামাল বিক্রেতার দোকান থেকে কিনে নেবেন (যেমনঃ কোডাক, ফুজি কালার)।