সাইনাস Sinus-Polyps পলিপাসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। প্রথমেই জেনে নাওয়া যাক সাইনাস (Sinus-Polyps) কি?
সাইনাসের সমস্যা যে কতোটা যন্ত্রণাদায়ক তা শুধুমাত্র ভুক্তভুগিরাই বুঝে থাকেন। সাইনাসের সমস্যা সকলের জন্য একটা বিরক্তিকর সমস্যা। আর এটা যে কতটা বিরক্তিকর যাদের মধ্যে প্রকট আকার ধারণ করে শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারে। সাইনাসের কারন হল অতিরিক্ত গরমে, ঠাণ্ডায়, আবার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ সব কিছুতেই বেড়ে যায় এ সমস্যা। সাইনাস একবার কাউকে পেলে সারাজীবনেও ছাড়েনা। সাইনাস থেকে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যেমন- ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি।
https://www.bestearnidea.com/5-food-lessening-your-intelligence/
সাইনাসের সমস্যা হলে প্রথমে আপনার শরীরে জ্বর এবং দুর্বল একটা ভাব অনুভূত হয়। তবে সাইনাস রোগের জন্য একটু সচেতন হলে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে বর্ষাকালের স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে সাইনাসের প্রকোপ বাড়ে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে এটি বড় আকার ধারণ করে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি একটি মাথায় পড়লেই শুরু হয়ে যায় হাঁচি। এছাড়াও ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া তো রয়েছেই।
আপনি জানেন কি কেন হয় সাইনোসাইটিস?
আমাদের নাকের সংক্রমণের কারণে হতে পারে সাইনসাইটিস এর সমস্যা। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া জাতীয় বা নানা ধরনের জীবাণুর আক্রমণের ফলে এই সাইনোসাইটিস হয়ে থাকে। তবে দেখা যায় যে নাকে আঘাত পাওয়া, শরীরের অ্যালার্জি, ধুলা-বালু, নাকের বাঁকা হাড়, ঠান্ডা লাগা, নাকে টিউমার ইত্যাদি জাতীয় সমস্যা এ রোগের ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।আমাদের মাথার খুলিতে অবস্থিত এই সাইনাসের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। সাধারণত কিছু কাজ করে থাকে সাইনাস তার মধ্যে নাকের মধ্যস্থিত বাতাসকে উষ্ণ ও আর্দ্র রাখে। মাথাকে সম্পূর্ণভাবেই হালকা রাখতে সাহায্য করে এবং খুলির বিভিন্ন অঙ্গকে রক্ষা করে থাকে।
সাইনসাইটিসের লক্ষণগুলো কি কি?
১. সাইনুসাইটিসের সর্বপ্রধান লক্ষণ ব্যথা। সাইনুসাইটিস হলে সাধারণত কপালের সামনের অংশে এবং নাকের পাশের অংশে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়। যখন সামনের দিকে ঝুঁকা হয় তখন এ ব্যথা বাড়ে।
২. ঘুম থেকে উঠলে বা সকালের প্রথম দিকে সাইনুসাইটিসের ব্যথা বাড়ে। অনেকেই মনে করে থাকেন যে দীর্ঘমেয়াদি হাঁচি, কাশি বা নাক বন্ধ থাকলেই সেটি সাইনুসাইটিস, আসলে তা নয়। বিশেষ ধরনের এ ব্যথাটিই সাইনুসাইটিসের প্রধান লক্ষণ।
৩. সাইনসাইটিস ব্যথার সাথে সাথে জ্বর বা হাঁচি-কাশিও থাকতে পারে। তবে দেখা যায় যে দীর্ঘমেয়াদি এ সমস্যা থাকলে শরীরে জ্বর থাকে না।
৪. অনেক সময় নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া ও সবসময় মাথা ভার ভার মনে হওয়া এটি অন্যতম একটা লক্ষণ।
৫. সাইনসাইটিসের কারণে খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে না পারা।
৬. অনেক সময় দেখা যায় বিমর্ষ ভাব, অস্থিরতা এবং কাজের প্রতি অনীহা আসে।
সাইনাসের সমস্যা বাড়তে থাকলে যা হয়
শরীরে জ্বর জ্বর ভাব থাকবে সঙ্গে দুর্বলতা থাকবে। সাইনাসের আশপাশে চোখ, মস্তিষ্ক এগুলো আছে। সংক্রমণ হলে বা বাড়লে এসব জায়গায় চলে যেতে পারে। তবে এগুলো তেমন একটা হয় না বললেই চলে। সাইনাসে ফলে অনেক সময় মাথা ভারী ভারী লাগে। শরীর অনেক দুর্বল লাগবে। এতে করে কাজে মনোযোগ দিতে অনেক অসুবিধা হবে। অনেকেরই এই সমস্যা বারবার দেখা দেয়, যেমন বছরে কয়েকবারই হতে দেখা যায়, বিশেষ করে যাঁরা সবসময় অ্যালার্জিতে ভুক্তভুগি।
আপনি কি সাইনোসাইটিসের সমস্যাই ভুগছেন তাহলে জেনে নিন কিছু সমাধান
সাইনাসের সমস্যা সমাধানে কিছু প্রাকৃতিক উপায়
বেশি পানি পান করুণ: যদি পারেন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। আমাদের শরীরে ময়েসচার লেভেলের তারতম্য ঘটলেই সাইনাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। তাই যদি পারেন প্রচুর পরিমাণে পানি এবং পানীয় পান করুন। সঙ্গে থাকতে পারে পুষ্টিকর ফল ও সবজির জুস যা আপনার জন্য উপকারী।
পানের অভ্যাস গড়ে তুলুন: চায়ের পরিবর্তে আপনি পানীয় পান করুন যা আপনার সাইনাসের প্রকোপ একেবারেই কমিয়ে দেবে। আপনি যদি পারেন কুসুম থেকে মাঝারি গরম পানিতে ১ খণ্ড লেবু চিপে এতে মধু মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন। এছাড়াও গ্রিন টি পানের অভ্যাস করতে পারেন।
মিউকাস দূর করুণ: আপনি যদি মনে করে থাকেন সাইনাসের সমস্যার কারণে আপনার নাক বন্ধ আছে তাহলে একটি কাজ করুন। যদি পারেন কুসুম গরম স্যালাইন নাক দিয়ে টানার অভ্যাস করুন। পারলে নাকের একপাশ দিয়ে টেনে অন্য পাশ দিয়ে বের করে ফেলুন। এটি আপনার জন্য অনেক উপকার হবে দেখা যাবে এতে করে জমে থাকা মিউকাস দূর হবে এবং প্রকোপ কমবে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন: সাইনসাইটিসের সমস্যা হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহন করুন এবং আপনার মানসিক চাপটাকে দূরে রাখের চেষ্টা করুন। অবাক হলেও সত্য কথা এটা যে আপনার ঘুমের সমস্যা সাইনাসের সমস্যার সাথে অনেকাংশে জড়িত। সুতরাং ঘুম ও বিশ্রামকে অবহেলা করবেন না কোনোভাবেই।
সাইনসাইটিস থেকে সুস্থ হতে যা করতে হবে
আপনাদের যাঁদের ধুলাবালিতে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা ধুলার সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকতে পারেন। এ ছাড়া আপনি যখনই সর্দির সমস্যায় আক্রান্ত হোন, সর্বদা খেয়াল রাখুন যেন আপনার নাক সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়।এখানে আপনি অবহেলা করলে আপনার সাইনসাইটিসের সমস্যা আরও বাড়বে।
অনেক সময় দেখা যায় সর্দির কারণে নাক রুমাল বা টিসু দিয়ে মুছতে মুছতে নাক ফুলে যায়। আপনি নাকের সমস্যার জন্য কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। ওষুধে নাকে যে ফোলা ভাব হয়েছে, সেটা কমে যেতে সাহায্য করবে। তাহলে পথটা খুলে যাবে। একবার যদি আপনার নাকের পথটা খুলে যায় তখন আপনার সাইনাসের পথটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাই সর্বপ্রথমে আপনাকে নাকের পথকে খুলতে হবে। এ জন্য মেডিসিন ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। এতে করে সুস্থ হয়ে যাওয়া অনেকাংশে সম্ভব।
1 Comments
Pingback: ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে অবশ্যই ডিলিট করুন Google অ্যাকাউন্ট। | বেস্টআর্নআইডিয়া.কম