আজকে আমি আপনাদের সাথে অনলাইনে আয়ের অন্যতম একটি মাধ্যম সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করব। CPA এর ফুল মিনিং Cost Per Action, এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং।
আমি আপনাদের জন্য সিপিএ মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি যেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে সিপিএ মার্কেটিং থেকে আয় করবেন। সিপিএ মার্কেটিং এ আপনার এফিলিয়েট এর মত পোডাক্ট বিক্রি করতে হয় না। এখানে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে, কোন ভিজিটর যদি অফার শুধুমাত্র রেজিষ্টেশন করে তাহলে প্রতিটি রেজিষ্টেশনের এর জন্য পেমেন্ট করা হবে।
সিপিএ মার্কেটিং মূলত অনলাইন অন্য যেকোনো মার্কেটিং এর মতই। শুধু এখানে কোন কিছু বিক্রি বা কোন সার্ভিস প্রমোশন নয় বরং কোন বিশেষ ধরনের একশন প্রমোট করা হয়।
নিয়মিত ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজ শেয়ার করে এবং গুগল প্লাস কমিউনিটিতে শেয়ার করেই প্রচুর আয় করা যায়। তাছাড়া মার্কেটিং মেথড হিসেবে অনেকে ইমেইল এবং ক্রেইগলিস্ট সহ অনন্য মার্কেটিং মেথড ব্যবহার করেন।
তবে বুঝে শুনে কাজ না করলে নিজেকে স্পামার হিসেবে পরিচিত করতে খুব বেশি সময় লাগে না। আপনি যদি এমন কারো নিকট একটা সার্ভিস ইনফরমেশন প্রদান করেন যেটাতে সে মোটেই ইন্টারেস্টেড না তখনই ঘটে সমস্যা। এরকম কাজ করলে আপনার কারনে অন্য মার্কেটারগন কলঙ্কিত হন।
সিপিএ মার্কেটিং শিখার জন্য অনলাইনে অনেক রিসোর্স আছে। তবে সেগুলো থেকে আপনি খুব বেশি শিখতে পারবেন না। কারন সেগুলো থেকে শিখার গোছানো কোন উপায় থাকে না এবং প্রাক্টিকালি না দেখলে নতুনরা খুব ভালো বুঝতেও পারেন না। কোন বিশ্বস্ত ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করে শিখে নিতে পারেন। ট্রেনিং করলে আপনার ট্রেইনারের লাইভ কাজ দেখে যে ধারনা হবে তা অনলাইনে সহজে পাওয়া যাবে না।
শিখতে হলে প্রথমেই আপনার যেটা লাগবে তা হচ্ছে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট বেসিক স্কিল। এবং কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার নিজের পার্সোনাল কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আর সর্বোপরি নিয়মিত কাজ করে যাওয়ার ধৈর্য থাকতে হবে।
সিপিএ মার্কেটিং থেকে আয় করা টাকা কিভাবে তুলবেন?
সিপিএ মার্কেটিং বা কোস্ট পার এক্যুইসিশন (Cost Per Acquisition) মার্কেটিং একটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, যা উপকারকের প্রাপ্ত ক্রয়ের মৌলিক মূল্য নির্ধারণ করে তা প্রাপ্ত করতে যাত্রা নির্ধারণ করে। এটি ব্যবসায়ের জন্য দ্বিধা ছাড়ায় এবং স্বাধীন মার্কেটিং প্ল্যান তৈরি করতে সাহায্য করে। নিম্নে সিপিএ মার্কেটিং পরিচালনার জন্য কয়েকটি মৌলিক পদক্ষেপের সাথে ৫০০ শব্দের একটি নির্দেশিকা:
1. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন:
সিপিএ মার্কেটিং চালানোর আগে, আপনার লক্ষ্য সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন। আপনি কী ধরনের ক্রয়কারীদের সাথে সংযোগ করতে চান এবং কতটুকু খরচ করতে পারেন সেটা নির্ধারণ করুন।
2. নিশ্চিত উপায়ে লক্ষ্য সাধান:
সিপিএ মার্কেটিংে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবচেয়ে দ্রুত এবং কার্যকর উপায় নির্বাচন করতে হবে। আপনি পেই-পার-ক্লিক বিজ্ঞাপন, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারনা, এসইও (SEO) এবং অন্যান্য মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করতে পারেন।
3. স্পেন্ডিং পর্যবেক্ষণ করুন:
আপনার বাজেট সবসময় নির্ধারণ করুন এবং যত্নশীলভাবে স্পেন্ড করতে সাহায্য করতে নিশ্চিত হন। সিপিএ মার্কেটিংে কার্যকর হওয়ার জন্য খরচের নির্ধারণ এবং পর্যবেক্ষণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।
4. সুন্দর স্প্যান্ডিং প্ল্যান তৈরি করুন:
আপনি যে প্ল্যানটি পুনরায় নিরূপণ করতে চান তা নির্ধারণ করুন। স্পেন্ডিং প্ল্যানে কোনও নির্দিষ্ট সময় সীমার পরে মূল্য নির্ধারণ এবং নতুন বৈপ্লব বা সংশোধনী করার জন্য স্থান রাখুন।
5. ডেটা বিশ্লেষণ করুন:
সিপিএ মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানোর পর, ডে
টা বিশ্লেষণ করুন এবং কোনটি কার্যকর ছিল এবং কোনটি পর্যাপ্ত প্রাপ্ত করতে সাহায্য করে নির্ধারণ করুন। এটি আপনার মার্কেটিং প্রচারনা এবং বাজেট নির্ধারণে সহায্য করতে পারে।
6. পুনরায় ডিজাইন করুন:
সিপিএ মার্কেটিং প্ল্যান সময়ের সাথে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, সুতরাং নির্ধারণ করুন যে কোনও পরিবর্তন এবং সংশোধনী যদি প্রয়োজন হয়। নতুন স্ট্রেটেজি ও চ্যানেল পর্যাপ্ত কার্যকর না হলে পরিবর্তন করুন।
সিপিএ মার্কেটিং একটি কর্মদক্ষ এবং প্রভাবশালী ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি যা ব্যবসায়ের কর্তৃপক্ষে সঠিক লাভের সহীত উচ্চ প্রতিশ্রুতি সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি স্বাধীনভাবে সহজে নির্বাচন করা এবং বাজেটের সাথে সাবধানি নেওয়া প্রয়োজন, যাতে আপনি আপনার লক্ষ্য সাধন করতে পারেন এবং আপনার ব্যবসায় সাফল্য লাভ করে।
1 Comments
Pingback: সিপিএ মার্কেটিং শিখুন ফ্রি বাংলাতে। | বেস্টআর্নআইডিয়া.কম