আর্টিকেল লিখে আয় করার গাইডলাইন। বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ইউটিউব এ ভিডিও বানিয়ে আয় করা এবং ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখে আয় করা Online Income এর মধ্যে সেরা।
আজ সময় হলো ইন্টারনেটের, আর এই ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে অনেকেই অনলাইন থেকে বিভিন্নভাবে আয় করছেন। আবার অনেকেই বিভিন্ন ভাবে তাদের মুল্যবান সময় নষ্ঠ করছে ইউটিউব বা ফেসবুক এ ভিডিও দেখে। কিন্তু আপনি চাইলেই আপনার মূল্যবান সময় কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
আজকের এই ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে আপনারা ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় বা ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। আর্টিকেল রাইটিং বা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে আয় করা ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা অংশ। আপনার যদি ভালো লেখার অভিজ্ঞতা থাকে যেমন, আপনি ভালো English বা বাংলা লিখতে পারেন এবং আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে আপনার যদি Knowledge বা জ্ঞান থাকে । তাহলে আপনি আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখে আয় করার গাইডলাইন
তাহলে, চলুন দেখে নেই আজকের আই আর্টিকেল থেকে আপনি কি কি শিখতে পারবেন।
- আর্টিকেল রাইটিং কি?
- কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়?
- আর্টিকেল লিখে আয় করার মাধ্যম গুলো কি?
- আর্টিকেল লিখে আয় করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট।
আর্টিকেল সাধারনত একটি লেখা। সহজ ভাবে বলতে গেলে আর্টিকেল হলো তথ্য । একতি নির্দিষ্ট টপিক, বিষয় বা কি-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করে একটি সম্পূর্ণ পোস্ট কেই আর্টিকেল বলা হয়ে থাকে।
আগে সাধারনত, আর্টিকেল পাবলিশ করা হত বিভিন্ন পত্রিকা বা নিউজপেপার এ । কিন্তু যুগের পরিবর্তনে বর্তমানে এখন প্রায় সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ বা অনলাইন ফোরামে।
কোন নির্দিষ্ট টপিকের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে লেখা বা একটি ব্রিফ আলোচনা কে আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট বলা হয়।
কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়?
আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। আমরা আপনি যদি এই নিয়মকানুন না মেনে আর্টিকেল লিখেন তাহলে লোকেরা এই আর্টিকেল পড়ে আগ্রহী হবেন না বা তারা রুচি পাবেন না। আপনাকে চেষ্ঠা করতে হবে এমনভাবে কনতেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে। যাতে করে একজন মানুষ সহজেই আপনার লেখা পরে বুঝতে পারে।
আপনি তখনই একজন সফল আর্টিকেল রাইটার বা কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন যখন, লোকেরা আপনার লেখা আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট পড়ে আনন্দ পাবে এবং আরও জানতে চাইবে যেই বিষয়ে আপনি লিখছেন।
আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন এবং কতো শব্দের বা কোন ধরনের শব্দ নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর । আপনার লেখা নির্ভর করবে আপনি কোন বিষয়ে লিখছেন এবং সেই বিষয়ে আপনার Knowledge বা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার উপর।
আপনার যত বেশি জ্ঞান থাকবে আপনি তত বেশি তথ্য দিয়ে লিখতে পারবেন এবং লোকেরা যত বেশি তথ্য পাবে। তত বেশি আপনার লেখাগুলো পড়তে চাইবে।
তাই আপনি যখন আর্টিকেল লেখা শুরু করবেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে যেই বিষয়ে আপনি লিখছেন বা লিখতে যাচ্ছেন সেই বিষয়ে যেনো আপনার পুর্ন ধারণা থাকে। চলুন আর্টিকেল লেখার কিছু সাধারণ নিয়ম সম্পর্কে জানার চেষ্ঠা করি।
আকর্ষনীয় আর্টিকেল লেখার নিয়মঃ
আপনি যদি নিজেকে একজন সফল কনটেন্ট রাইটার হিসেবে দেখতে চান তাহলে আপনাকে কিছু সাধারণ নিয়ম ফলো অনুসরন করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আকর্ষনীয়, নির্ভুল, নিপুন ও ইউজার ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়। এছাড়া সঠিক শব্দ চয়ন ও জরুরি।
১) স্পষ্ঠ, আকর্ষনীয় এবং ছোট টাইটেল ( TITLE ) ব্যবহার করা। এতে করে ভিজিটররা সহজেই আপনার আর্টিকেল সমন্ধে জানতে পারবে। ছোট টাইটেল ব্যবহারের কারণে আপনার আর্টিকেল স্পষ্ট হয়ে যাবে এবং ভিজিটররা সহজেই এ সম্পর্কে বনুঝতে পারবে।
২) হেডিং (hedding) ব্যবহার করা। আর্টিকেলে হেডিং অনেক গুরুত্বপূর্ন রোল প্লে করে। বিভিন্ন হেডিং রয়েছে। যেমন, H1, H2, H2, H4, H5, ও H6 হেডিং ব্যবহারে আর্টিকেলের অংশগুলো ভাগ হয়ে যায় এবং দর্শকেরা সজেই আর্টিকেল টি পড়তে পারে।
৩) প্যারাগ্যারাফ ব্যবহার করা। মনে রাখবেন ইউজার ফ্রেন্ডলি আর্টকেল লেখার জন্য অবশ্যই ছোট ছোট প্যারাগ্যারাফ লিখতে হবে। ছোট ছোট প্যারাগ্যারাফ করে লেখার ফলে একজন ভিজিটর বা দর্শক সহজেই আপনার লেখা বুঝতে পারবে। ৩/৪ লাইনের প্যারা করে লিখলে লোকেরা সহজেই এটা বুঝতে পারে এবং আর্টিকেল পড়ার জন্য আরও আগ্রহী হয়।
৪) সঠিক শব্দ ব্যবহার করা । আর্টিকেল লেখার সময় আপনাকে সঠিক ভাবে শব্দ ব্যবহার করতে হবে । সঠিক ও নির্ভুল শব্দ ব্যবহার না করলে ইউজার রা পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই লেখার সময় আপনাকে নির্ভুল বানানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং অবশ্যই সঠিক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। আর্টিকেল লেখার সময় মনে রাখতে হবে যে, ৫০০ শব্দ থেকে শুরু করে ১৫০০ শব্দ লেখা জরুরি।
আপনি চাইলে ১৫০০ শব্দের ও বেশি শব্দ লিখতে পারবেন কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে সর্বনিম্ন ৫০০ শব্দ লিখতে হবে। আপনি যত বেশি তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখতে পারবেন। আপনার আর্টিকেলের মান তত বেশি ভালো হবে।
৫) ছবি ব্যবহার করা । আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই আপনাকে ছবি ব্যবহার করতে হবে। যে বিষটি লেখার মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব নয় সেই বিষয়টি সহজেই ছবির মাধ্যমে বোঝানো সম্ভব। এছাড়া একটি ভালো আর্টিকেল কখনো ছবি ছাড়া মানানসই হয় না। তাই আর্টিকেল কে আরও মানসম্মত করতে আর্টিকেল এর টপিক অনুসারে ছবি ব্যবহার করতে হবে।
আর্টিকেল লিখে আয় করার মাধ্যম গুলো কি?
আর্টিকেল বা ওয়েব কনটেন্ট লিখে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ৫০০ ডলার আয় করা সম্ভব। আমার দেখা অনেকেই আছেন যারা এর চেয়ে কয়েকগুন বেশি তাকা আয় করছেন শুধুমাত্র কনটেন্ট লিখে। তবে আয় নির্ভর করবে আপনার লেখার অভিজ্ঞতার উপর।
আপনার রাইটিং স্কিল ( Writing Skill ) যত ভালো হবে আপনার আয় ততো ভালো হবে। আপনি চাইলে কনটেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং কে বিজনেস হিসেবে নিতে পারবেন। আপনি বিভিন্ন ভাবে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।
যেমন,
- অন্যের ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন।
- নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখে Ads এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
- বিভিন্ন মার্কেটেপ্লেসে কনটেন্ট রাইটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারবেন।
- বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে রাইটিং জব করে আয় করতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখে আয় করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট
Kalaage – কনটেন্ট লিখে আয় করুন
OppinionsWall -Write and Earn
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সকল নিয়ম কানুন || All the rules and regulations of digital marketing
কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য আমরা বিভিন্ন ভাবে মার্কেটিং করি।
যেমন: লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি। বর্তমানে ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়েই সবচাইতে বেশি ব্যবসায়িক সফলতা পাওয়া যায়। আজকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কিছু কৌশল নিয়ে এখানে আলোচনা করব।
নিজের ব্যবসার সমগ্র সেবা সম্পর্কিত বিষয়াবলি কাস্টমারদের জ্ঞাতার্থে ওয়েবসাইট তৈরি করুন। যদি আপনি আপনার ব্রান্ডের প্রসার চান, তাহলে প্রথম কাজ হিসেবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন, যেখানে আপনার ব্যবসার সকল তথ্য পাওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে করণীয়-
- ভিজিটরদের জন্য সহজভাবে ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
- নিয়মিত সঠিক তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটটি সবসময় আপডেটেড রাখুন।
- কোম্পানীর কাজের মান অনুযায়ী ডিজাইন সুন্দর করুন।
- এমনভাবে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট তৈরি করুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার পণ্যের ব্যপারে আকর্ষণবোধ করে।
- প্রতিটি পেজে “call to action” যুক্ত করুন যাতে আপনার ভিজিটরকে পণ্যটি কিনতে কিংবা কিনার ব্যপারে যোগাযোগ করতে উৎসাহবোধ করে।
- ওয়েবসাইটে ভিজিটর ট্রেকিং করার জন্য যেকোন টুলস যেমন, গুগল এ্যানালিটিকস ব্যবহার করুন যাতে ভিজিটরদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।
- সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য ম্যানেজমেন্ট টুলস ব্যবহার করুন যা আপনার সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাল ফলাফল বের করতে সাহায্য করবে।
- আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহন করুন।
- কাউকে ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ কিংবা গ্রুপের লিংকগুলো সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করুন।
- আপনার নিজের ওয়েবসাইটে কিংবা কোন ব্লগে পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন।
- সহজেই টার্গেট বুস্ট করে (সেবাহোস্ট থেকে বুস্ট করুন) অল্প সময়ের মধ্যেই সারাবিশ্বের কাছে পণ্য বা ব্যবসার প্রসার ঘটানোর জন্য বর্তমানে সোসিয়াল মিডীয়ার চেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম আর নেই।
- আপনি যদি ব্লগিংয়ে নতুন হন, তাহলে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে এ সম্পর্কিত অনেক উপকারী তথ্য পাবেন। সেগুলো পড়ে জেনে নিন কিভাবে আপনার ব্লগ সাজাবেন?
- ব্লগের প্রতিটা নতুন পোস্টের পাবলিশের পর সেটা সাথে সাথে বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে শেয়ার করুন।
- এমনভাবে ব্লগের পোস্টগুলো তৈরি করুন যেন সেটা পণ্যের মার্কেটিং সম্পর্কিত কোন কিছু মনে না হয়। ক্লায়েন্টের জন্য উপকারী, তথ্যবহুল পোস্ট হতে হবে।
- নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে। সেটা একটা রুটিন অনুযায়ী করলে ভাল হয়ে। যেমন, প্রতিদিন ২টা করে, বা তিনটা করে। তাহলে নিয়মিত ভিজিটর আসবে নতুন কিছু পাবার আশায়।
আরও কিছু কৌশল আছে যা হলঃ
১। সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে এবং কাজের লক্ষ্য স্থির করতে হবে
একটি প্রতিষ্ঠান মার্কেটিং এর সময় কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করতে চায় এবং কি কি সমস্যা ধরা পড়ছে তা নিয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হবে। প্রত্যেকটি মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় কিভাবে সফলতা আসবে আগে থেকেই সেটা ধারণা করে নিতে হবে।
২। নজর দেয়া যেতে পারে ভিডিও মার্কেটিং-এর দিকে
বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট স্পিডও বেড়ে গেছে। সেই সাথে হাতের কাছের ডিভাইস থেকে ভিডিও দেখার সুযোগও বেড়ে যাচ্ছে। তাই ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করা হলে সেটি মানুষের কাছে আরও দ্রুত পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। প্রতিদিন ইউটিউবে ৪ বিলিয়ন ভিডিও দেখা হয় ইউটিউবে। তাই নতুন নতুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ভিডিও মার্কেটিং এর জুড়ি নেই। কারণ ভিডিও যদি সুন্দর হয় সেটি অনেকেই শেয়ার করবে। এতে করে আরও বেশী মানুষের কাছে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নামকে পরিচিত করার সুযোগ থাকছে।
৩। ডিজিটাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ সঠিক ব্যবস্থাপনা
প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময় পর পর মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট করা উচিৎ। সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট পোস্ট করা ক্ষেত্রে অটোমেটিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিৎ।
৪। মার্কেটিং এর বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
একেকটি পণ্যের মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া একেক রকম হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় কোন একটি বিজ্ঞাপনের ছবিতে মানুষের মুখ ব্যবহার করা হলে আরও বেশী আকর্ষণীয় হওয়ার উপায় থাকে।
৫। শুধুমাত্র ফেসবুক মার্কেটিং করেই অতি দ্রুত ব্যবসার প্রসার ঘটানো যায়, এক্ষেত্রে দরকার সঠিক জ্ঞান। কোনো নির্দ্বিষ্ট এলাকা, কোন নির্দ্বিষ্ট বয়সের কাস্টমার কিংবা জেন্ডার নির্বাচন করেও টার্গেট বুস্ট করে সহজেই ব্যবসার প্রসার ঘটানো সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সারের ক্রিয়েটিভিটি নষ্ট হওয়ার ৫ কারন
ফ্রিল্যান্সিং কাজে ক্রিয়েটিভিটি অমুল্য সম্পদ। অনেক ক্লায়েন্ট মুলত নতুন ধারনা পাওয়ার জন্যই নিয়মিত কর্মীর বদলে ফ্রিল্যান্সারের খোজ করেন। অথচ অনেক ফ্রিল্যান্সারেরই অভিজ্ঞতা, আশানুরুপ নতুন কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। কখনো কখনো মনে হয় নতুন কিছু মাথায় আসছে না।
এই সমস্যার সহজ কোন সমাধান নেই। বরং সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কিছু কারন মানুষের জানা। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারের বিভিন্ন কাজের পরিবেশ, প্রত্যাসা এবং সফলতা নানাভাবে পর্যালোচনা করে এগুলি পাওয়া গেছে।
প্রধান ৫টি কারন এখানে তুলে ধরা হচ্ছে:
1. একসাথে একাধিক কাজ করা
অনেকেই মনে করেন একসাথে অনেকগুলি কাজ করতে পারা (মাল্টিটাস্কিং) বড় যোগ্যতা। কারো কারো ক্ষেত্রে সেটা হলেও সবাই লিওনার্দো দা ভিঞ্চি নন। তিনি একইসাথে দুহাতে দুটি ভিন্ন বিষয়ে লিখতে পারতেন।
অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে একসাথে একাধিক কাজ করার চেষ্টা করলে প্রতিটি কাজেই মনোযোগে ভাটা পড়ে। সৃজনশীল কাজ যেখানে বিষয় সেখানে এই সমস্যা আরো প্রকট।
আপনার জন্য মাল্টিটাস্কিং সমস্যা কিনা যাচাই করে নিন। কাজের সময় ফোন রিসিভ করাও অনেকে ক্ষতিকর মনে করেন। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইমেইল যোগাযোগ ঠিক রেখে বাকিগুলি বন্ধ করে দিন। এ কাজ শেষ হলে অন্য কাজগুলি করুন।
সহজ একটি উদাহরন দেখা যাক, দুঘন্টা মনোযোগ দিয়ে যে কাজ শেষ করা যায় সেই কাজ মাল্টিটাস্কিং এ ৮ ঘন্টা লাগতে পারে। কোনটি লাভজনক হিসেব করে নিন।
2. কম ঘুম
ফ্রিল্যান্সারকে অনেক সময়ই অনিয়মিত কাজ করতে হয়। ফলে রাতের ঘুম নিয়ে সমস্যায় পরতে হয়। এর প্রভাব পড়ে মনোযোগের ওপর। এবিষয়ে পরামর্শ একেবারে নির্দিষ্ট। ঘুমের সমস্যা করে কাজ করবেন না। রাতের ঘুম ঠিক রেখে প্রয়োজনে সকালে উঠে করার চেষ্টা করুন।
3. ক্লায়েন্টের সমালোচনার ভয়
সম্ভবত প্রতিটি ফ্রিল্যান্সারকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। ক্লায়েন্ট যখন সমালোচনা করছেন তখন আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। সবসময়ই মনে হচ্ছে এভাবে করলে তিনি পছন্দ নাও করতে পারেন।
বিষয়টিকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। তিনি যদি সমালোচনা করেনই তাহলে সবচেয়ে বেশি যা হতে পারে, সেকাজটি হাতছাড়া হতে পারে। নিজেকে বিশ্বাস করার আপনি সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন, প্রয়োজনে আরো করবেন। হয়থ তিনি যেকথা বলেছেন সেটাই ঠিক। আপনার কাজ যথেষ্ট ভাল হয়নি।
সমালোচনাকে কখনো ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। বিশ্বের প্রতিটি মানুষই ভুল করেন, এমন কিছু করেন যা আসলেই সমালোচনাযোগ্য।
4. আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকা
এই সমস্যার সমাধান ইচ্ছে করলেই করা যায় না। যদি নিজের খরচ চালানোর মত আয় না হয় এবং অন্য কোন আয়ের উতস না থাকে, সহায়তা করার মত কেউ না থাকে তাহলে এর প্রভাব কাজে পরতে বাধ্য।
এই সমস্যা সমাধানে সার্বজনিন নিয়ম মেনে চলতে চেষ্টা করুন। যে কাজে সম্ভাবনা বেশি, অর্থ বেশি সেদিকে বেশি মনোযোগ দিন। পরিমানে কম, অর্থে বেশি এমন কাজের চেষ্টা করুন। কিছু সঞ্চয় করুন।
5. সময়মত কাজ শেষ করার চাপ
কাজের পরিমানের তুলনায় যদি হাতে সময় কম থাকে তাহলে এর প্রভাব কাজে পরতে বাধ্যভ প্রচলিত প্রবাদ, তাড়াহুড়ার কাজ ভাল হয় না। অথচ আপনার সাফল্য নির্ভর করছে ভাল কাজের ওপর।
কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজে হাত দিন। যে কাজে ৪ দিন সময় লাগার কথা সেকাজের জন্য আগেই ৬ দিন সময় নিন। কাজ ঠিক ঠিকবে, ক্লায়েন্ট খুশি থাকবেন।
বিষয়গুলি একসাথে করলে যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে, ক্রিয়েটিভিটির নিজস্ব গতি রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলেই তাকে বাড়িয়ে নিতে পারেন না। বরং সেটা ঠিক রাখার জন্য অনিয়মগুলি ত্যাগ করাই যথেষ্ট।
সবকিছু করে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার ক্যারিয়ারে গ্রোথ নাই (Career growth)। এই একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমি নিজেও গেছি বেশ কবার। আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি যে এই রকম আসলে হয় কেন। আমার কাছে তিনটা ব্যাপার এটার সাথে বেশ শক্ত ভাবে জড়িত বলে মনে হয়।
মানি ম্যানেজমেন্ট: এই জায়গাটাতে আমরা কম বেশি সবাই দুর্বল। কারণ আমাদের পরিবার, সমাজ কিংবা শিক্ষা ব্যবস্থা এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশ উদাসীন। কিন্তু প্রপার মানি ম্যানেজমেন্ট ছাড়া উন্নতি অসম্ভব। আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের মানি ম্যানেজমেন্ট আরো বেশি প্রয়োজন। কারণ দেখেন একে তো আপনি মাসে যে রেভিনিউ জেনারেট করছেন তা অন্য প্রফেশনের সাথে চিন্তা করলে আসমান জমিন তফাৎ। একসাথে এত টাকা পয়সার গরম সহ্য করে চলাটাও চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। ক্যারিয়ার গ্রোথ আবার একজন ফ্রিল্যান্সারের সারা বছর ইনকাম সমান থাকে না।
আমার অভিজ্ঞতা বলে ৭-৮ মাস ইনকাম বেশ ভালো থাকে আর বাকি সময় চলার মত। তো এখন আপনি পুরো বছর গড় করে যদি খরচের হিসাবটা না করে পিক টাইম ধরে খরচ করা শুরু করেন তবে অফ টাইমে সংকট দেখা দেওয়া কি স্বাভাবিক ঘটনা নয়? আর সেভিং, ইনভেষ্ট নিয়ে কি বলবো। এই মাসে ১ লক্ষ ইনকাম আরো ৫০ হাজার পরের/আগের মাসের ইনকাম যোগ করে এই সেই টাকা খরচ করা শুরু করি।
কমফোর্ড জোন: কাজ করতে করতে একটা সময় আমরা এই লুপ হলের মধ্যে পড়ে যাই। যেখানে সেই ধরাবাধা রুটিন বার বার রিপিট হতেই থাকে। যে কারণে দেখা যায় যে কাজ কর্ম, রেভিনিউ একটা জায়গায় ঘুরতে হয়ে থাকে। নিজের মধ্যেও একটা ফিল কাজ করে যে চলছে তো সবকিছু ঠিকঠাক চলুক না। কিন্তু এই কমফোর্ড জোন যে কতটা ভয়ানক তা সংকট আসার আগে পর্যন্ত অনুধাবন করা অনেক কঠিন। ক্যারিয়ারে গ্রোথ
ব্যাপারটা একটু ডিপলি চিন্তা করেন আপনার ইনকাম দুই বছর আগের মতোই আছে কিন্তু খরচ কি সেখানে আটকায়ে আছে? নাই না, সময় যাবে আপনার বিলাসিতা, প্রয়োজনীয়তা বাড়বে সাথে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি তো আছেই। এভাবে হয়তো কিছু সময় আপনি হেভি রিল্যাক্সে চলতে পারবেন তবে খুব বেশি সময় লাগবেনা আপনার শনি রবি আসতে।
রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান: আমাদের মাঝে রিটার্ডমেন্ট নিয়ে তেমন একটা চিন্তা ভাবনা আসেই না বলা চলে। এইটার কারণ হিসাবে বলা চলে আমরা তো বাসায় বসেই কাজ করি রিটার্ডমেন্টর কি আছে। ব্যাপারটা আসলে এমন না। আমি আমার কথাই যদি বলি আমার কাজ কর্মের বয়স ৮ বছরের বেশি হয়ে গেছে। এখন আমার বয়স ২৭ ছুঁই ছুঁই, সাধারণ লজিকে চিন্তা করেও আমি আর কত বছর কাজ করতে পারবো? ১০-১৫ সর্বোচ্চ। তো এর পরে কি হবে, আমি তো আর সরকারি চাকরি করি না যে বসে বসে বেতন ভাতা পাবো। তাহলে আমার আর আমার পরিবারের বাকি জীবন সাচ্ছন্দে কাটানোর জন্য আমার রিটার্ডমেন্ট প্ল্যান থাকা কি অবশ্যই প্রয়োজনীয় নয়? Career growth
আমি নিজেও সব সমস্যার উর্ধে নয়। কেউ ভাইবেন না যে আমি পারফেক্ট। আমি যে সমস্যা গুলো নিজে ফেস করি বা আসে পাশে দেখি সেগুলো নিয়েই কথা বার্তা বলার চেষ্টা করি। একজনের উপকার হলেও আমি সার্থক।
আমি এক বছরের মত বিভিন্ন পার্সোনাল সমস্যার জন্য কাজ কর্মে তেমন একটা ফোকাসড হতে পারিনি। তবে আমার ৩-৪ বছর ধরে তৈরী করা চ্যানেল গুলো থাকার কারণে খুব একটা সমস্যায় পড়ি নাই। তাই সবাইকেই বলি ইনকাম যতদিন ভালো আছে ইনভেস্ট করে কিছু রেভিনিউ জেনারেট করে এমন চ্যানেল তৈরী করেন। হোক সেটা অনলাইন বা অফলাইন। আর ইনভেস্ট করতে ভয় পাইলে ধুমায়া সেভিংস করেন।
একজন সফল ফ্রিলান্সারের জীবনী (Successful Freelancer) যদি জানতেন, তবে আপনি নিজেই প্রত্যেককে “লিজেন্ড” উপাধিতে ভূষিত করতেন। বিশ্বাস করুন, তারা শতবার ব্যর্থ হয়েছে। কাউকে সে কথা বলেনি। রাতের পর রাত পার করেছে শুধু তার স্কিল ডেভেলাপমেন্ট করার জন্য।
মাস্টার কার্ড Mastercard কি
বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড Mastercard সুবিধা
বাংলাদেশ ফ্রিলেনসিং শুরুতে আমাদের যে সমস্যাটি হয়ে থাকে তা হল পেমেন্ট। বাংলাদেশে পেপাল না থাকার কারনে আমাদদের অনেক ক্ষেত্রে পেমেন্ট নিতে পারিনা। আবার কোন যায়গায় পেমেন্ট করতেও পারিনা। পেমেন্ট করার জন্য প্রয়োজন পেপাল বা ইন্টারনেশনাল একটি মাস্টারকার্ড বা ক্রেডিট কার্ড।
তাই আমরা চাইলেও সব জায়গায় পেমেন্ট করতে পারিনা। পেপালের একটি সার্বিস জুম এটি বাংলাদেশে অনুস্টানিক ভালে চালু হলেও আমরা জুম এর মাধ্যমে কোন সাইটে পেমেন্ট করতে পারিনা। জুম এর মাধ্যমে সুধু আমরা পেমেন্ট কোন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে নিতে পারি কোন মার্কেট থেকে পেমেন্ট নিতে পারিনা। এবং আমরা জুম এর মাধ্যমে কোন কিনা কাটাও করতে পারিনা।
তাই আমাদের প্রয়োজন পেপাল বা একটা মাস্টারকার্ড আর ইবিএল ব্যংক ৩ টি কার্ড দিচ্ছে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সে কার্ড গুলু দিয়ে খুব সহজেই পেমেন্ট করতে পারবেন। আর এই কার্ডগুলি পাওয়াও খুব বেশি কঠিন না।
কিভাবে এই কার্ডগুলি পাবেন বিস্তারিত জানতে এখানে এখানে ক্লিক করুন।
ক্রেডিট কার্ড নেওয়াটা খুব জামেলার বিষয় তাই আপনি ইবিএল এর এই কার্ড গুলা দিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন খুব সহজেই।
ডিজিটাল পেমেন্ট সার্বিস এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল নিটিলার পেওনিয়র মাস্টারকার্ড এই কার্ড গুলা ব্যবহার করা খুব সহজ। এক্ষেত্রে রয়েছে বড় ধরনের একটি সমস্যা আমামদের বাংলাদেশে নিটিলার বাংলাদেশে কার্ড দেওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে।
পেওনিয়র এখোনো চালু রাখলেও অনেক সিমিত করে দিয়েছে পেওনিয়র কার্ড পেতে হলে আপনাকে পেওনিয়র একাউন্টে ১০০ ডলার থাকতে হবে তারপর কার্ড অডার করতে পারবেন কার্ড অর্ডার কারার সাথে ৩০ ডলার কেটে যাবে। পেওনিয়র এর এই নিয়ম চালু করার কারন হল বাংলাদেশে অনেকেই অযতা কার্ড অর্ডার করে এনে সেগুলা বিক্রি করতে নামে বেনামে এই কাজগুলা করত এবং অনেক কার্ড পেওনিয়র বাতিল করে দিয়েছে এই কাজ গুলি করার কারনে বাংলাদেশে জনপ্রিয় কম্পানি গুলা কার্ড দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের নিজেদের সুবিধা আমরাই নষ্ট করি এটাই আমাদের স্বভাব।
তাই বিনা কারনে কেউ কোন ব্যংক থেকে বা কোন ডিজিটাল পেমেন্ট সার্বিস প্রোবাইট কারীদের কাছ থেকে কার্ড নিবেন না যদি আপনার প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই নিবেন।
পেওনিয়র একসময় কার্ড সম্পুর্ন ফ্রিতেই দিত কিন্তু এখন অনেকটা কঠিন কারার পরও কার্ড সিমিত দিচ্ছে। আর নিটিলার ত বন্ধই করে দিয়েছে।
তাই আমাদের অনলানে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই যামেলা হয় আমাদের ফ্রিলেনসিং এবং আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে আমাদের যে কারনে একটি মাস্টারকার্ড প্রয়োজন তা হল ডোমেইন হোস্টিং কিনা।
ফেসবুক বুস্টিং, ওয়েব সাইটে এ্যড দেউয়া, ভিডিও বুস্টিং করা, মার্কেটিং করা, অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ডিজিটাল পেমেন্ট করতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের একটি মাস্টারকার্ড কার্ডের খুবই প্রয়োজন হয়। এবং পেপালের আমাদের দেশে অনেকেই পেপাল ব্যবহার করে সাইপারস দিয়ে। এক্ষে বিজনেস একাউন্ট করে কাজ করতে হয়
ফাইভার কি ?
ফাইভার হচ্ছে একটা মার্কেটপ্লেস। এখানে কাজ কখনো ফুরাবে না। এখানে ৫ডলার থেকে শুরু এবং সেটা ১৫০০+ ডলার
পর্যন্ত বা বেশিও হতে পারে। ফাইভার হচ্ছে একটি বেচা কেনা করার মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন
আর একজন বায়ার সেটি আপনার কাছ থেকে কিনবে। ফাইভার এখন এমন একটা জায়গা যেখানে কাজ শিখে সহজে কাজ পাওয়া যায়, একটু চেস্টা করলে। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু আপনি
এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে থাকবেন।
ধরুন আপনি AMAZON AFFILITE NICHE সাইট এর জন্য Keyword Research করতে পারেন,
ধরুন আপনি লিখলেন আমি 5 ডলারের বিনিময়ে Keyword Research করে দিতে পারি। এরপর যদি কোন বায়ার তার NICHE সাইট এর জন্য Keyword Research চায় তাহলে সে 5 ডলারের বিনিময়ে আপনাকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারে।
তবে বর্তমানে, নতুন অনেকেই অনেক ভালো করতেছে। মাসে ৫০০-৫০০০+ $ আয় করতেছে ফাইভার থেকে। কাজের ধরন অনুযায়ী।
ফাইবার জিনিসটা কি তা তো বুঝলাম কিন্ত ফাইবার এ কাজ করতে হলে তো আমাদের আগে একটা ফাইবার একাউন্ট লাগবে।আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক কি ভাবে একটা প্রোফেশনাল ফাইবার একাউন্ট করা যায়। ফাইবার একাউন্ট করাটা আমি আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য কয়েকটি ধাপ ধাপে দেখাব।
১.প্রথমে আমরা আপনার ব্রাউজার থেকে FIVERR প্রবেশ করব। FIVERR এ প্রবেশ করার পর নিচের মত একটা পেজ আসবে। পেজের উপরের দিকে দেখেন join লিখা আছে। আমরা এ ক্লিক করব.
২.ক্লিক করার পর নিচের মোট একটা পপ-আপ পেজ আসবে। ওই খানে আপনি আপনার যে মেইলটা দিয়ে ফাইবার একাউন্ট করতে চাইতেছেন সেটা বস্কে বসিয়ে দিন। এবং Continue বাটনে ক্লিক অথবা আপনি আপনার ফেজবুক ,টুইটার ,গুগল প্লাস দিয়া ও ফাইবার একাউন্ট করতে পারবেন এই অপশন গুলা ও আপনি পপ আপ বস্কে এ পাবেন।
৪.এরপর আপনার ইমেইল এ একটা কনফার্ম মেসেজ যাবে ম্যাসেজটা ওপেন Active Your Account করে ক্লিক করুন
৫.আপনার ফাইবার একাউন্টটা একটিভ হয়ে গেল ,এর পর আপনার প্রোফাইল এডিট করতে হবে কারন
আপনার প্রোফাইল যদি ভাল না থাকে তা হলে বায়ারের থেকে কাজ পাবার আশা ছেড়ে দিতে পারেন ,
কারন আপনি যত ভাল কাজ পারেন না কেন বায়ার কিন্তু আগে আপনার কাজ দেখবে না দেখবে আপনার প্রোফাইল
এই জন্য আগে আপনার প্রোফাইলটা প্রফেশনাল মানের করতে হবে.প্রোফাইল এডিট করার জন্য প্রথমে
আপনার User Name এর উপর ক্লিক করুন তারপর Satting এ ক্লিক করুন।
৬.তারপর নিচের মত একটা পেজ আসবে ওই খানে আপনি আপনার একটা ফরমাল প্রোফাইল পিকচার দিন ,
যদি ছবিটা হাসি হাসি মুখের হয় তাহলে সব থেকে ভাল হয় বাকি অপশন গুলা আমি যে ভাবে রাখছি
ওই ভাবে রেখে save change ক্লিক করুন।
৭.এর পর আবার আপনার user name এর উপর ক্লিক করুন তারপর satting এ ক্লিক করার পর my profile এ যান।
এর পর নিচের মত একটা পেজ আসবে ওখান থাকে edit discription ক্লিক করে আপনি আপনার মত করে লিখুন।
বাকি নিচের অপশন গুলা যদি থাকে তাহলে add করুন। এর পর সেভ করুন।
হয়ে গেল আপনার একটা ফাইবার একাউন্ট এখন এটাকে সুন্দর করার দায়িত্ব কিন্তু আপনার প্রোফাইল যত প্রফেশনাল হবে তত বায়ারের দৃষ্টি আকর্ষন করবে। আজকের মত এখানে শেষ করছি।ভাল থাকেব সবাই আর কেন কিছু ভুল হলে জানাবেনা।
YouTube চ্যানেলের Monetization প্রশ্নের উত্তর ২০১৮
প্রশ্ন ১। YouTube কবে আমার চ্যানেলের Monetization অ্যাপ্রুভ করবে? কথা ছিল এই এপ্রিলের শেষের দিকে অতচ এখন শুনতে পাচ্ছি সেটা মে মাসে?
উত্তরঃ এই বছর ইউটিউবের মেজর কিছু আপডেটের একটি হচ্ছে ‘ম্যানুয়াল রিভিউ সিস্টেম’, অর্থাৎ আগে যেকেউ ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করেই Monetization -এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হত, এখন আর তেমনটি হচ্ছে না; তার পরিবর্তে একজন ইউটিউব স্টাফ শুধুমাত্র আপনার চ্যানেলের ভিডিও গুলোই যাচাই করেন না, সেই সাথে যাচাই করেন চ্যানেল হিষ্ট্রি অর্থাৎ চ্যানেলের স্ট্রাইক, মন্তব্য, জিমেইল একাউন্ট এক্টিভিটি ইত্যাদি। এই কাজগুলো আগে করতো অটোম্যাটিক সিস্টেম আর সেখানে অনেক ফাঁক-ফোঁকর থেকে যেতো।
এ নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে ইউটিউবের দন্দ দেখা দেয়, তারপর আসে বিশাল পরিবর্তন, যাকে আমরা জানি Advertiser Friendly Policy নামে। YPP বা YouTube Partner Program -এর যোগ্য হতে হলে আপনার ভিডিওগুলো অবশ্যই Advertiser Friendly Policy মেনে চলতে হবে।
এই কাজের সবগুলোই এখন দেয়া হয়েছে স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের পরিবর্তে মানুষের হাতে, আর এখানেই দেখা দিয়েছে জনবল সঙ্কট। নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রায় ৬০০০ নতুন স্টাফ, চলছে তাদের প্রশিক্ষণ পর্ব, তাতেই প্রত্যাশিত সময়সীমা অতিক্রম করেছে আপনার Monetization Application -এর রিভিউ।
প্রশ্ন ২। তাহলে কবে নাগাদ আমরা রিভিউ -এর ফলাফল আশা করতে পারি?
উত্তরঃ অফিসিয়াল সুত্রে বলা হয়েছে জুন মাসের শেষের দিকে। নতুন স্টাফদের ট্রেনিং সম্পূর্ণ হলেই তাদের কাজে লাগিয়ে দেয়া হবে। যদিও এখন রিভিউ চলমান আছে এবং সেটা খুব যাচাই-বাচাই করেই প্রধান্য দেয়া হচ্ছে সর্বাধিক ভিউ আছে এমন চ্যানেল অউনারদেরকে।
প্রশ্ন ৩। হঠাৎ করে আমার চ্যানেলে Monetization ডিজেবল হয়ে গেছে, কিংবা বিজ্ঞাপনের হার কমে গেছে, কেন?
উত্তরঃ আপনার চ্যানেল নতুন নিয়ম অর্থাৎ YPP ফলো করে না তাই। এই নিয়ম অনুসারে যেকোনো সময় আপনি 4000hrs (চার হাজার ঘণ্টা) ওয়াচ টাইম ও 1000 (এক হাজার) সাবস্ক্রাইভার কোটা পূর্ণ করলে Monetization -এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রশ্ন ৪। ২০১৮ সালে কি কি আপডেট এসেছে?
উত্তরঃ এই বছরের শুরু থেকে:–
১ – ১০,০০০ সাবস্ক্রাইবার আছে এমনসব চ্যানেলে Community Tab চালু করা হয়েছে। (যদিও এটি সবার জন্য এখনো উন্মুক্ত নয়)
২ – কন্টেন্ট এর উপর কড়া নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বিজ্ঞাপনদাতাদের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে। এক্ষেত্রে যেকোনো ভিডিওতে আগের তুলনায় বিজ্ঞাপন দেখানো হয় না, সেটা কন্টেন্ট নির্মাতাদের বুঝিয়ে দেয়া হয় $ (Dollar Icon) আইকন হলুদ করে দিয়ে।
৩ – নেটওয়ার্ক কানেকশন স্লো -এমন ১৪০টি দেশে চালু করা হয়েছে YouTube Go.
৪ – YouTube Live ফিচারকে করা হয়েছে আরও সহজ, উন্মুক্ত। যুক্ত করা হয়েছে Live chat replays, অটোম্যাটিক ক্যাপশন ও লোকেশন ট্যাগ, বিস্তৃত করা হয়েছে ‘সুপার চ্যাট’ ও IFTTT (If This, Then That) নামের ফিচার।
৫ – হেইট স্পীচ, গ্রাফিক্স ও গান ভায়োলেন্স তথা কমিউনিটি গাইডলাইন সুরক্ষায় নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা।
৬ – জানুয়ারি ২০১৮ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৮৩ লাখেরও বেশী ভিডিও ডিলিট করে দেয়া হয়েছে একজন মানুষও সেগুলো দেখার আগে, এসবের অধিকাংশই ফ্ল্যাগ করেছিল ইউটিউবের অটোম্যাটিক সিস্টেম।
৭ – রিপোর্ট, ফ্ল্যাগ কিংবা যেকোনো ধরনের ইউজার ফিডব্যাককে পূর্বের তুলনায় অধিক গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপ্লাই ও সাপোর্ট বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৬০০ গুণ।
প্রশ্ন ৫। প্রতিদিন কিংবা প্রতি সপ্তাহে আমি ইউনিক ও উন্নত ভিডিও আপলোড দেই তবুও আমার ভিউ হয় না, সাবস্ক্রাইভার বৃদ্ধি পায় না, এমন কেন হচ্ছে?
উত্তরঃ এবার লক্ষ করুন নীচের ফটোটি। দুটি ফটোই এক, অতচ ১ নং ফটো থেকে ২ নং ফটোর পার্থক্য অবশ্যই চোখে পড়ার মত, নয় কি?
একে বলে স্কিল- দক্ষতা। আর এমন কিছু করতে দরকার হয় অভিজ্ঞতা, আবার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দুটোই আছে তবুও চ্যানেলে ভিউ নেই, সাবস্ক্রাইভার নেই, কারণ?
ইমাজিনেশন কিংবা সৃষ্টিশীলতা নেই আপনার কাজে। ৭৫,০০০ সদস্যের ইউটিউব গ্রুপে আপনাদের পোস্ট, প্রশ্ন আর ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে সেটাই মনে হল।
এই ছবিটি যুক্ত করার কারণ? এটা বুঝানো যে ‘সৃষ্টিশীলতা আর দক্ষতা’ অবশ্যই জরুরী।
আমাদের দেশে যত ইউটিউব হেল্প গ্রুপ আছে, পৃথিবীর অন্যকোন দেশে এমনটা আছে বলে আমার বিশ্বাস হয়না।
তারপরও আমাদের কয়জন সফল ইউটিউবার হতে পেরেছে? হাতেগোণা কয়েকজন।
যারা সফল হয়েছে তাদের কাজের ধরন দেখুন, ঈর্ষা না করে অনুকরণ ও অনুসরণ করুন। আর সফল ইউটিউবারদের কেউই কিন্তু গ্রুপে এসে হেল্প চায় না, তারা কোন গ্রুপের সাথেও নেই।
কেন?
কারণ- তাদের ইমাজিনেশন কিংবা সৃষ্টিশীলতা আছে আর সেটা তারা কাজে লাগায়। তারা গুরুত্ব দেয় দর্শকের পছন্দ ও চাহিদাকে।
আপনি যে কন্টেন্ট নিয়ে আজ Monetization -এর জন্য আবেদন করেছেন, অন্য ৯ জন থেকে আপনার চ্যানেল কতটা ভিন্ন একবারও বিচার করেছেন? প্রশ্ন থাকলো।
এবার আসি ভিউ প্রসঙ্গেঃ
তিক্ত সত্য উত্তর হচ্ছে- আপনাদের বস্তাপচা সস্তা ভিডিও আর টাইটেল, সেই টাইটেল কিংবা থাম্বনেইল -এর আড়ালে লুকানো বোরিং ভিডিও মানুষ দেখতে চায় না, এমন ভিডিও ইউটিউবে হাজার হাজার আছে, একই ধরনের ভিদিও মানুষ কতবার দেখবে? কপি-কাট আর কত? এরপরও আশা করেন মানুষ সাবস্ক্রাইভ করবে আপনার চ্যানেল?
কেন করবে?
কি এমন বিশেষ কিছু আছে যে দর্শক আপনার পরবর্তী ভিডিও দেখার জন্য উদগ্রীব থাকবে? এও প্রশ্ন থাকলো।
প্রশ্ন ৬। তাহলে আমরা যারা ছোটখাটো ইউটিউবার, আমরা কি ছেড়ে দেবো ইউটিউবিং?
উত্তরঃ আপনি ইউটিউবে কাজ করবেন না ইউটিউবকে DDoS করে ডাউন করে দেবেন সেটা আমি বলার কে, তাই না?
তবে বাংলাদেশী ইউটিউবারদের দুর্দশা দেখে ‘ফ্রী উপদেশ’ হিসেবে বলতে চাই- ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা এতো সহজ না। রাম, শ্যাম, যদু, মধুর ও চ্যানেল আছে তবে তারা কতটা ভালো, উন্নত কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করছে আর কতটাকা আয় করে সেটা বিচার্য।
ইউটিউবে আসার আগে কখনো ভিডিও এডিটিং শিখেছেন?
যে প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে কাজ করবেন কখনো তার নিয়ম-নীতিগুলো পড়ে দেখেছেন?
ভুল করেও ইউটিউব -এর Terms (https://www.youtube.com/t/terms) গুলো একটি বার চোখে দেখেছেন? কিংবা তাদের Community Guidelines (http://youtube.com/t/community_guidelines) গুলো?
আমি খুব সিউর বাংলাদেশের ৯৮% ইউটিউবার কোনোদিন এসবের নাম শুনে নি, ফলাফল কি হয়েছে দেখতে পেয়েছেন আশা করি?
আপনাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে ৪০০০ (চার হাজার ঘণ্টা)’র ভিডিও ভিউ আর ১ হাজার সাবস্ক্রাইভার।
CTR, CPA, CPR, Impression, Ad Unites, YPP, Ads Friendly Content এসবের নাম শুনেছেন?
কি বিশেষ দক্ষতা আপনার আছে যা ইউটিউবের মাধ্যমে মানুষকে দেখিয়ে টাকা আয় করার সাহস করেন?
YouTube -এর head tag অর্থাৎ পেজের একেবারে উপরের বাম দিকে চোখ বুলিয়ে দেখুন, লিখা আছে ‘YouTube – Broadcast Yourself’; মানে ‘নিজেকে সম্প্রচার করুন’ -নিজের কি যোগ্যতা কিংবা বিশেষ গুণ আছে যে সম্প্রচার করবেন?
কথাগুলো তিতা লাগছে? লাগাটাই স্বাভাবিক। তবুও আরেকবার পড়ুন, প্রশ্ন করুন নিজেকে আমি কতটা ভুল আর আপনি কতটা সঠিক?
কালেক্ট ফেসবুক>>>>>>-
CREDIT BY Minhaz Hussain
আসলেই কি অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়?
আজ আপনাদের সাথে আমি আলোচনা করবো কিভাবে অনলাইনে আয় করতে পারবেন?
অনলাইনে আয় করার ইচ্ছা কম বেশি সবার মাঝেই আছে।আমরা জানিনা কিভাবে অনলাইনে আয় করতে হয়?
একটু সময় নিয়ে পড়ুন আশা করি অনলাইন থেকে আয় এর ব্যাপার টা আপনাদের পরিষ্কার হয়ে যাবে। অনলাইনে আয়. চলুন তাহলে শুরু করা যাক
অনলাইনে নতুন যারা তারা অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আসলেই কি অনলাইন থেকেআয় করা যায়?
প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ। তবে শুনতে যতটা সহজ মনে হয় ইনকাম করা আসলে অত সহজ কাজ নয়।
তবে একদম অসম্ভব ও নয়। এর জন্য প্রথমেই আপনার যা লাগবে তা হচ্ছে দক্ষতা। আপনি যেই কাজটি করে আয় করতে চাচ্ছেন সেই কাজটিতে আপনার দক্ষ হতে হবে তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার সব কাজ জানার দরকার নেই, ভালভাবে যে কোন একটি কাজ শিখুন,তারপর সেই কাজের উপর আপনার দক্ষতা বাড়ান তাহলেই আপনি সহজে আয় করতে পারবেন।
দক্ষতার পর যে জিনিসটি লাগবে তা হচ্ছে আপনার ধৈর্য। যারা অনলাইনে আয় করতে ব্যার্থ হয় তাদের
এই ব্যার্থতার মূল কারন হচ্ছে ধৈর্য না থাকা। আপনি যদি দক্ষ হন তাহলে ধৈর্য ধরে কাজ করে গেলে এক সময় অবশ্যই সফল হবেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়সমূহ
- ওয়েব ডেভেলপিং
- এসইও
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- আর্টিকেল রাইটিং
- প্রোডাক্ট সেলিং
ওয়েব ডেভেলপিংঃ
একটি ওয়েবসাইটে কখন কখন বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হয়ে থাকে। যেমন রেজিষ্টেশন করা, ওর্ডার করা, নতুন তথ্য আপডেট করা। এই ধরনের কাজ গুল করার জন্য বিভিন্ন সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আপনি যদি নিজেকে একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে
অবশ্যই নির্দিষ্ট ধাপে বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে।ভাল একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে পারলে বেশ ভাল ইনকাম করা যায়।
এসইওঃ
এসইও (SEO) মানে হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এসইও এর কাজ হচ্ছে এক কথায় ওয়েবসাইট/ভিডিও র্যাংক করানো। আমরা গুগল অথবা ইউটিউবে অথবা যে কোন সার্চ ইঞ্জিন এ কিছু সার্চ করলে একটা পেজ এ
অনেক গুলো ওয়েবসাইট এর লিংক আসে। এ রকম এক টপিকের হাজার হাজার ওয়েবসাইট
আছে কিন্তু আপনি শুধু প্রথম ২/৩ টা সাইট অথবা ভিডিও দেখেন। তো এই প্রথম পেজে / প্রথম অবস্থানে
ওয়েবসাইট/ভিডিও আনার কাজটাই হল এসইও। বর্তমানে এসইওর চাহিদা অনেক।
চাইলে আপনি এটি দিয়েও আপনার অনলাইন ইনকাম শুরু করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোন একটা মার্কেটপ্লেস (ক্লিকব্যাংক, শেয়ারএসেল, এমাজন) থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে, মার্কেটিং করে প্রোডাক্ট সেল করবেন তার বিনিময়ে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বাংলাদেশ থেকে অনেকেই মান্থলি লাখ টাকার উপরে ইনকাম করছে।
আর্টিকেল রাইটিংঃ
ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার একটি স্মার্ট ওয়ে হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং।
বিশেষ করে স্টুডেন্টদের জন্য এটা খুবই পারফেক্ট। এটা চাইলে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে করা যাবে, তবে অন্য কাজগুলাও পড়াশুনার পাশাপাশি করা যাবে। কিন্তু আর্টিকেল রাইটিংটা আপনার পড়াশুনার কোন ক্ষতি করবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ এ এখন আর্টিকেল রাইটারদের অনেক চাহিদা কিন্তু সেই অনুযায়ী তেমন কোয়ালিটিফুল আর্টিকেল রাইটার নেই।
তাই আপনি চাইলেই এটা দিয়ে আপনার ইনকাম শুরু করতে পারেন।
তবে বলে রাখা ভাল এ জন্য আপনাকে ইংলিশ এ খুব ভাল হতে হবে।
প্রোডাক্ট সেলিংঃ
আপনি অনলাইনে আপনার প্রোডাক্ট সেল করেও ইনকাম করতে পারেন। আপনার যে প্রোডাক্ট আছে সেই প্রোডাক্ট এর উপরে ভিত্তি করে একটি ওয়েবসাইট/ফেসবুক পেজ ওপেন করে আপনার প্রোডাক্ট এর প্রচারণা চালাবেন। তারপর সেখান থেকে বিক্রি হলে আপনার ইনকাম হবে। আপনি চাইলে অন্য কারো কারো প্রোডাক্ট কমিশন এর ভিত্তিতে সেল করে দিতে পারেন।
আসলেই কি অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়?
অনলাইনে নতুন যারা তারা অনেকেই জিজ্ঞেস করেন, আসলেই কি অনলাইন থেকেআয় করা যায়?
প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ। তবে শুনতে যতটা সহজ মনে হয় ইনকাম করা আসলে অত সহজ কাজ নয়।
তবে একদম অসম্ভব ও নয়। এর জন্য প্রথমেই আপনার যা লাগবে তা হচ্ছে দক্ষতা। আপনি যেই কাজটি করে আয় করতে চাচ্ছেন সেই কাজটিতে আপনার দক্ষ হতে হবে তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার সব কাজ জানার দরকার নেই, ভালভাবে যে কোন একটি কাজ শিখুন,তারপর সেই কাজের উপর আপনার দক্ষতা বাড়ান তাহলেই আপনি সহজে আয় করতে পারবেন।
দক্ষতার পর যে জিনিসটি লাগবে তা হচ্ছে আপনার ধৈর্য। যারা অনলাইনে আয় করতে ব্যার্থ হয় তাদের
এই ব্যার্থতার মূল কারন হচ্ছে ধৈর্য না থাকা। আপনি যদি দক্ষ হন তাহলে ধৈর্য ধরে কাজ করে গেলে এক সময় অবশ্যই সফল হবেন।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়সমূহ
-
ইউটিউবিং
-
ব্লগিং
-
ডাটা এন্ট্রি
-
সিপিএ মার্কেটিং
-
গ্রাফিক্স ডিজইনিং
আসলে এমন কোন কাজ নাই যা অনলাইনে করা যায় না। অনলাইনে ইনকাম নিয়ে বেশ কয়েকটা আর্টিকেল লেখা যাবে চাইলে। কিন্তু আমি এখানে জনপ্রিয় উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম।
এ ছাড়া আরও অনেক উপায় আছে।
ইউটিউবিংঃ
ইউটিউব সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এখানে ভিডিও দেখে। আপনি নিজেও ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখে টাইম পাস করেন। এই ইউটিউব থেকেও আয় করা যায়। ইউটিউব ভিডিও মেকার/পাবলিশারদের ভিডিও তে এড দেখায় এর বিনিময়ে ভিডিও মেকার/পাবলিশারদের টাকা দেয়।
এখান থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার যেই টপিক টা ভাল পারেন সেই টপিক এর উপর ভিডিও
বানাতে হবে, আর হ্যাঁ ভিডিও অবশ্যই ভাল কোয়ালিটির হতে হবে। ভাল কোয়ালিটির ভিডিও হলেই আপনি ইউটিউব
থেকে আয় করতে পারবেন কিন্তু যদি লো কোয়ালিটি ভিডিও হয়, অথবা কপি করা চুরি করা ভিডিও হয় তাহলে
ইনকাম দূরের কথা ইউটিউব আপনার চ্যানেলই ব্যান করে দিবে। তাই সাবধান!
ব্লগিংঃ
ব্লগিং করে ইনকাম করতে হলে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট / ব্লগ তৈরী করতে হবে। তারপর সেই ব্লগে আপনার পছন্দ অনুযায়ী আপনি যেটি ভাল পারেন সেই টপিকের উপর লেখা, ছবি, ভিডিও তৈরী করবেন। ভাল টপিক হলে আপনার সাইটে ভিজিটর বাড়বে। তখন আপনার সাইটে বিভিন্ন এড নেটওয়ার্ক এর এড শো করে আয় করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রিঃ
ডাটা এন্ট্রি মার্কেটপ্লেস এ জয়েন করতে হবে। তারপর তারা আপনাকে কিছু কাজ দিবে সেই কাজগুলো করে দিলে আপনাকে টাকা দেয়া হবে।এগুলো হচ্ছে অনলাইন থেকে আয় করার উপায়। প্রত্যেকটা টপিক নিয়ে আলাদা আলাদা বিস্তারিত আলোচনা করে আবার পোস্ট দিব। এছাড়া ফটোগ্রাফি, ট্রান্সলেশন, ভিডিও এডিটিং, ডাবিং, ইবুক রাইটিং এগুলো করেও ইন্টারনেট থেকে আয় করা যায়।আবার যারা নতুন তারা লিংক শর্ট করে শেয়ার করে, ক্যাপচা এন্ট্রি করে তাদের প্রথম অনলাইনের ইনকাম শুরু করে।
সিপিএ মার্কেটিংঃ
CPA মানে হচ্ছে কস্ট পার একশন। এখান থেকে ইনকাম করার ওয়ে হচ্ছে যে কোন একটা সিপিএ মার্কেটপ্লেস এ জয়েন করতে হবে। তারপর তাদের সিপিএ অফার গুলো প্রমোট করতে হবে। প্রমোট করার পর কাস্টমার/ভিজিটর যে কোন একশন নিলে আপনার ইনকাম হবে। এখন কথা হচ্ছে একশন গুলো কয়ে রকম হতে পারে, যেমন ইমেইল কালেক্ট করা, কল করা, সার্ভে করা, কোন একটা এপস করা, সাবস্ক্রিপশন করা ইত্যাদি। এদের প্রত্যেকটাকে একশন বলা হয়, এবং এর যে কোন একটি করা হলে আপনাকে পেমেন্ট দেয়া হবে। এগুলো নিয়ে পরে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিংঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং একটি জনপ্রিয় ইনকাম করার উপায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর এত পরিমান কাজ আছে আপনি চাইলেই সব করতে পারবেন না।নির্দিষ্ট কোন একটা টপিক নিয়ে কাজ করতে পারেন।
যেমন, লোগো ডিজাইন, ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন, ব্যানার, ব্রোশিয়ার, পোস্টার, টিশার্ট ডিজাইনিং।আরও অনেক কাজ আছে। যে কোন একটা দিয়ে শুরু করতে পারেন।